বহুল প্রতীক্ষিত জাতীয় নগর নীতিমালা করতে নতুন করে খসড়া প্রস্তুত করেছে সরকার। সব নাগরিক সেবা নগর কর্তৃপক্ষের অধীনে নিয়ে নগর সরকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ রাখা হচ্ছে নীতিতে। আগামী মে মাসের মধ্যে ‘জাতীয় নগর নীতি, ২০২৫’ চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকার দুই সিটিসহ (ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর) অন্যান্য সিটি করপোরেশনের সীমাবদ্ধতার বিষয়টি বিভিন্ন সময়ই আলোচনায় এসেছে। রাজউক, ওয়াসা, পিডিবি, ডেসা, ডেসকো, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশসহ বিভিন্ন সেবাদানকারী সংস্থার কাজের সমন্বয়ের দায়িত্ব যৌক্তিকভাবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মেয়রদের হাতে থাকার কথা থাকলেও সংকটের সময় তাদের ক্ষমতাহীনতার বিষয়টি প্রকটভাবে ধরা পড়ছে। এ সমস্যার সমাধান হতে পারে সিটি গভর্নমেন্ট বা নগর সরকার। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোতে এটি রয়েছে।
কিন্তু, এর আগে কোনো সরকারই নগর সরকার করতে আগ্রহী হয়নি। কয়েক দশক ধরে দফায় দফায় জাতীয় নগর নীতির খসড়া করা হলেও বিএনপি, আওয়ামী লীগ কেউই খসড়াটি অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আসা অন্তর্বর্তী সরকার নীতিমালাটি করে যেতে চায়।
জাতীয় নগর নীতির খসড়া নিয়ে গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) অংশীজন কর্মশালা হয়। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচির (ইউএনডিপি) সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
নগর সরকার আমরা অনেক দিন ধরে চাচ্ছি। সবগুলো সার্ভিস যদি একটি জায়গায় আনা যায়, সেটার সমন্বয়টা ভালো হয়। সেজন্যই নগর সরকারের ধারণাটা এসেছে। পৃথিবীর অন্য দেশেও এটা আছে।-অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান
তবে খসড়া নীতিতে কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। খসড়া প্রণয়নে অংশীজনদের মতামত নেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ তুলেছেন কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ।
স্থানীয় সরকার বিভাগের নগর উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘নগর নীতিমালার খসড়ার কাজ অনেক দিন হলো শুরু হয়েছে। এটি মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদনের জন্য দুবার গিয়েছিল। কিন্তু ফেরত এসেছে। ২০১৬ সাল থেকে এর কার্যক্রম বন্ধ ছিল। এরপর আবার ২০২২ সাল থেকে নতুন করে নগর নীতির কার্যক্রম শুরু হয়। আমি এসেছি ২০২৪ সালে, আমরা চারটি পরামর্শ সভা করেছি তখন। গত ২৮ জানুয়ারি আবার বড় আকারে পরামর্শ সভা করেছি, সেখানে ২৫ থেকে ৩০টি মন্ত্রণালয় অংশ নিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আমরা সবার মতামত বিবেচনায় নিয়ে খসড়াটি উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদনের জন্য পাঠাবো। এরপর আমরা এটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্যও পাঠাবো। আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে- আমরা আগামী মে মাসের মধ্যে নীতিটি সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত করতে চাই। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছি।’
এ অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ‘নগর সরকার আমরা অনেক দিন ধরে চাচ্ছি। সবগুলো সার্ভিস যদি একটি জায়গায় আনা যায়, সেটার সমন্বয়টা ভালো হয়। সেজন্যই নগর সরকারের ধারণাটা এসেছে। পৃথিবীর অন্য দেশেও এটা আছে। এখন ভালো একটা পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বাংলাদেশে সেটা হবে কি না জানি না।’
এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা নীতিতে বলেছি এ কাজগুলো করতে হবে। নীতিতে নগর সরকার শব্দটি নেই। কিন্তু নীতিমালার মধ্যে এ বিষয়টি অন্তর্নিহিত আছে। সমন্বিত পদ্ধতিতে সেবা দিতে হলে সেগুলো একটি জায়গায় আসা উচিত।’
আমরা মতামত লিখিত পাঠিয়েছি। যেভাবে আছে এটা অনুমোদন দেওয়া যায়। বহুদিন হয়ে গেছে। ২০১১ থেকে ২০২৬ সাল, আর কত, সামান্য একটি নীতিমালা। কিছু ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আমি বলেছি সেটা ঠিক করে অনুমোদন করা যায়। এটা দ্রুত করা গেলে একটা সংস্কার হবে নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে।-নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম
নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ‘নগর নীতির খসড়া করার শুরুটা হয়েছে ২০০৬ সালে। ২০১১ সালে আমার নেতৃত্বে তিনদিনের সেমিনারে খসড়াটা অনুমোদিত হয়। ২০১৪ ও ২০১৬ সালে খসড়াটা রিভিশন হয়। ২০২৪ সালে বিগত সরকারের আমলে সেটা আবার রিভিশন হয়। সেটি অনুমোদনের উদ্যোগ গত সরকার নিতে পারেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমি আমার মতামত লিখিত পাঠিয়েছি। যেভাবে আছে এটা অনুমোদন দেওয়া যায়। বহুদিন হয়ে গেছে। ২০১১ থেকে ২০২৬ সাল, আর কত, সামান্য একটি নীতিমালা। কিছু ত্রুটি ও সীমাবদ্ধতা রয়েছে, আমি বলেছি সেটা ঠিক করে অনুমোদন করা যায়। এটা দ্রুত করা গেলে একটা সংস্কার হবে নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে।’
তবে নগর দর্শন নামে একটি বিষয় নীতিতে যোগ করতে হবে বলেও জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।
নগর নীতির খসড়া করার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহ-সভাপতি স্থপতি ইকবাল হাবিব। তিনি বলেন, ‘অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নগর নীতির খসড়া করা হয়নি। এ ধরনের ডকুমেন্ট যত বেশি অংশীজন সমৃদ্ধ হয় ততই এটি কার্যকারিতা পায়, অর্থবহ হয়। আমাদের নগরায়ণ অত্যন্ত বিশৃঙ্খল। জনস্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় অভিঘাত অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নীতিহীন নগরায়ণ। সেটাকে এভাবে পাশ কাটিয়ে দেখাটা ঠিক নয়।’
ইকবাল হাবিব বলেন, ‘বিগত সরকার চারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও নগর নীতিমালা পাস করতে পারেনি। কারণ এর ফলে যে বিরাট দায়িত্ব নগর সরকার ব্যবস্থার ওপরে আসে, সেটা নেওয়ার মতো তাদের মানসিকতা নেই। নগর সরকার ব্যবস্থা গত আওয়ামী লীগ সরকার কোনোমতেই গ্রহণ করছিল না। তারা নগর সরকারে বিশ্বাস করতো না। সেজন্য তারা সেটা অনুমোদন দেয়নি।’
জনগণকে ক্ষমতায়িত না করলে নগর নীতি কার্যকর করা যাবে না জানিয়ে স্থপতি হাবিব বলেন, ‘জনগণকে ক্ষমতায়ন ও শক্তিশালী করার অন্যতম প্রধান জায়গা মূলত নগর সরকার। আপনি যদি স্থানীয় সরকারকে তার সম্পদ আহরণ, বিনিয়োগ, সম্পদ বণ্টন, ব্যবহার এবং ব্যবহারের মধ্য দিয়ে ওই নগরের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে তার কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে না পারেন, কেন্দ্রীয় সরকারের মাধ্যমে যদি করতে চেষ্টা করেন তাহলে এ অচলায়ন থেকে এতটুকু উত্তরণ হবে না।’
বাপার অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘বাপা তো এটার সঙ্গে আগেও জড়িত ছিল। গতকাল মিটিংয়েও তো ওনারা মতামত দিয়েছেন। আগের খসড়াটা খুব বেশি আমরা পরিবর্তন করিনি। কনসাইজ আকারে সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।’
যা আছে নগর নীতিতে
খসড়া নীতির প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে, বর্তমানে নগর জনগোষ্ঠী দেশের মোট জনসংখ্যার ৩২ শতাংশ হলেও জাতীয় উৎপাদনে নগর/শহরের অবদান ৬০ শতাংশেরও বেশি, যা পল্লি অঞ্চলের তুলনায় নগর অঞ্চলের অধিক উৎপাদনশীলতার নির্দেশক। বাংলাদেশের মোট নগর জনসংখ্যা সাড়ে পাঁচ কোটির বেশি এবং বছরে প্রায় ৩ শতাংশ হারে বাড়ছে। রাজধানী ঢাকা ও বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার আরও বেশি। দেশে ৫৩২টি নগর কেন্দ্রের ভৌগোলিক আয়তন ১১ হাজার ২৫৮ বর্গকিলোমিটার, যা দেশের আয়তনের মাত্র ৭ দশমিক ৬৬ শতাংশ। নগর এলাকার মধ্যে বসবাসরত ৬০ শতাংশ লোকই সিটি করপোরেশনগুলোতে এবং বৃহৎ অংশ ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় বসবাস করে।
অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে নতুন নগর নীতির খসড়া করা হয়নি। এ ধরনের ডকুমেন্ট যত বেশি অংশীজন সমৃদ্ধ হয় ততই এটি কার্যকারিতা পায়, অর্থবহ হয়। আমাদের নগরায়ণ অত্যন্ত বিশৃঙ্খল। জনস্বাস্থ্যের সবচেয়ে বড় অভিঘাত অপরিকল্পিত নগরায়ণ, নীতিহীন নগরায়ণ। সেটাকে এভাবে পাশ কাটিয়ে দেখাটা ঠিক নয়।- স্থপতি ইকবাল হাবিব
অপরিকল্পিত দ্রুত নগরায়ণ সামাজিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে বিপুল চাপ পড়ছে বিদ্যমান অবকাঠামো ও পরিষেবায়। বর্ধিত জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন, পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, শিক্ষা, চিকিৎসা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ সুবিধা ইত্যাদি পরিষেবা নিশ্চিত করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশের সামগ্রিক ও নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পরিকল্পিত নগরায়ণ না হলে এসব চ্যালেঞ্জ সরকারের পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। টেকসই উন্নয়ন অর্জন করার জন্যই টেকসই নগরায়ণ প্রয়োজন। উৎপাদনশীলতা বিবেচনায় নগর হলো অপার সম্ভাবনার উৎস। সামগ্রিক প্রেক্ষাপটে নগরায়ণের চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার উদ্দেশ্যে ‘জাতীয় নগর নীতি’ প্রণয়ন করা হয়েছে, যা নগরবাসীকে প্রয়োজনীয় পরিষেবা দিতে সক্ষম হবে।
জনসংখ্যা ও আর্থিক সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে খসড়ায় বাংলাদেশের নগরগুলো মেগাসিটি (জনসংখ্যা এক কোটি বা বেশি), মহানগর/মেট্রোপলিটন সিটি (জনসংখ্যা ৫ লাখ থেকে এক কোটি), মাঝারি শহর/জেলা শহর (জনসংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ), উপজেলা শহর, ছোট শহর/উপজেলা কেন্দ্রে (জনসংখ্যা ২০ থেকে ৫০ হাজার) বিন্যাস করা হয়েছে।
খসড়া নীতিতে উদ্দেশ্যের বিষয়ে বলা হয়েছে, টেকসই উন্নয়নের জন্য নগরায়ণ ব্যবস্থার কাঠামোবদ্ধ ক্রমবিন্যাস ও বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে আঞ্চলিক ভারসাম্যপূর্ণ পরিকল্পিত নগরায়ণ করা হবে। নগর ভূমি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা, নগর ও পল্লি এলাকার আন্তঃযোগাযোগ ও সমন্বিত উন্নয়ন, সবার জন্য নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা এবং নগর ব্যবস্থাপনা কৌশল ও পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে জলবায়ুসহিষ্ণু নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা হবে।
নাগরিকদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান ও খাদ্যনিরাপত্তাসহ অন্য নিত্য পরিষেবা যেমন- পানি, স্যানিটেশন, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং পরিবহন ব্যবস্থাপনার যথাযথ প্রতিপালন করা হবে।
নগর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নকালে জনঅংশগ্রহণের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা, লৈঙ্গিক ভারসাম্যতা নিশ্চিত করা, নগর সংক্রান্ত গবেষণা উৎসাহিত করা, তথ্যভাণ্ডার প্রতিষ্ঠা, প্রাতিষ্ঠানিক ও প্রশাসনিক সক্ষমতা বাড়াতে প্রশিক্ষণের আয়োজন এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে।
নীতিতে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য নীতিগুলো তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে নগর ভূমি ব্যবস্থাপনা, নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা, সবার জন্য নিরাপদ আবাসন ব্যবস্থা, নগর ব্যবস্থাপনা কৌশল ও পরিচালনায় জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া নগরকেন্দ্রিক সামাজিক সুরক্ষা বেষ্টনী কর্মসূচি, নগর সুশাসন, নাগরিকবান্ধব নগর, যুগোপযোগী আইন প্রণয়ন, সংশোধন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণের বিষয়ে বিস্তারিত বলা হয়েছে।
সরকার প্রধানকে সভাপতি করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, মেয়র ও কাউন্সিলরদের স্বীকৃত সংগঠনের প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থার প্রধানদের সমন্বয়ে জাতীয় নগর উন্নয়ন কাউন্সিল গঠন করা হবে। এ কাউন্সিল নগরায়ণ সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা দেবে। কাউন্সিলকে সহায়তার জন্য একটি নগর উপদেষ্টা পরিষদ থাকবে বলে খসড়া নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।