প্রিয় রাসূল (দ.) এর ভালোবাসায় যুগে যুগে যারা ইতিহাসে স্মরণীয় ও বরণীয় হয়ে আছেন তাঁরা কালের বুকে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধারণ করে চিরধন্য হয়েছেন। সময়ের পরিক্রমায় এমন একজন কালজয়ী ব্যক্তিত্ব হলেন খলিফায়ে রাসূল (দ.) হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)।
নবীজি (দ.) এর অনুসরণ ও অনুকরণে তিনি যেমন অনবদ্য ব্যক্তিত্ব ছিলেন তেমনি স্বীয় অনুসারীদেরকেও পবিত্র কুরআন-সুন্নাহ ও নবীজি (দ.) এর ভালোবাসার তালিম দিয়েছেন। ফলশ্রুতিতে আধুুনিকতার ভয়াল স্রোতে হারিয়ে যাওয়া যুব সম্প্রদায়ের মধ্যে সৃষ্টি করেছেন অভূতপূর্ব রূহানী জাগরণ। হযরত গাউছুল আজম (রা.) এর তরিক্বতে রয়েছে প্রতিদিন মুহাব্বতের নিয়তে এগারোশত এগারো বার দরূদে মোস্তফা, ফয়েজে কুরআন, মোরাকাবা, জিকিরে জলী ও জিকিরে খফির অনুশীলন।
শুধু তাই নয় আরো রয়েছে তাওয়াজ্জুহর মাধ্যমে প্রিয় রাসূল (দ.) নূরে বাতেন ক্বলবে নেওয়ার ঐশী ব্যবস্থা। যে নূর পুরুষ তরিক্বতপন্থীরা তাওয়াজ্জুহ বিল হাজের এর মাধ্যমে দরবার শরীফে এসে গ্রহণ করতে পারে। মহিলার নিজ নিজ ঘরে বসে তাওয়াজ্জুহ বিল গায়েবের মাধ্যমে গ্রহণ করতে পারে, তাই কোনো মহিলাকে দরবার শরীফে আসতে হয় না। আধুনিক যুগে এর চেয়ে বিজ্ঞানময় ও বাস্তবসম্মত তরিক্বত সত্যিই বিরল।
গতকাল, ২৯ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম নগরীর লালদীঘি ময়দানে অনুষ্ঠিত ঐতিহাসিক গাউছুল আজম কনফারেন্সে কাগতিয়া দরবার শরীফের মাননীয় মোর্শেদে আজম প্রধান মেহমানের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য ও সংগঠনের মহাসচিব প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত গাউছুল আজম কনফারেন্সে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জমিয়তুল মোদার্রেছীন এর মহাসচিব হযরতুলহাজ্ব আল্লামা অধ্যক্ষ শাব্বির আহমদ মোমতাজি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. জালাল আহমদ।
মিলাদ-কিয়াম শেষে মাননীয় প্রধান মেহমান দেশ, জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি-সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মুনাজাত পরিচালনা করেন।