ক্যান্টনমেন্ট ও সিটি কর্পোরেশন এলাকার ৩৬টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর-২ আসনে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক প্রচারণা চালিয়ে আসছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হোসেন আলী। স্থানীয়ভাবে তার প্রচারণা ও উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হলেও সমমনা দলগুলোর সঙ্গে আসন সমঝোতার পর এ আসনে জামায়াতের সমর্থক ও ভোটারদের মধ্যে হতাশা বাড়তে দেখা যাচ্ছে। সমঝোতার অংশ হিসেবে এ আসনটি ছেড়ে দিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় নেতা আলী নাসেরকে প্রার্থী হিসেবে প্রায় চূড়ান্ত করায় সৃষ্টি হয়েছে বিভ্রান্তি ও অসন্তোষ।
স্থানীয় জামায়াত নেতাকর্মীরা বলছেন, হোসেন আলীর দীর্ঘদিনের প্রচারণায় যে সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল, তা এখন অনেকটাই স্তিমিত হয়ে পড়েছে। ভোটারদের একাংশের প্রশ্ন— ‘আলী নাসের কে? তাকে কখনো এলাকায় দেখিনি।’ তাদের দাবি, আলী নাসের এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেননি। ফলে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে আক্ষেপ ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে আলী নাসেরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ‘আমাকে জোট থেকে গাজীপুর-২ আসনের প্রার্থী করা হয়েছে। তবে আমি এখন ব্যস্ত আছি, পরে কথা বলব।’
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী হোসেন আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, হোসেন আলী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামী জরিপ পরিচালনা করবে এবং সেই জরিপের ফলাফলের ভিত্তিতেই আসন ছাড়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে ভোটার ও সচেতন নাগরিকদের মতে, ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথ হিসেবে গাজীপুর-২ আসনের কৌশলগত গুরুত্ব অনেক বেশি। তাদের ভাষ্য, এ আসনে জামায়াতের প্রার্থীর দীর্ঘদিনের প্রচারণা ও জনপ্রিয়তা রয়েছে, যা শরিক দল এনসিপির পক্ষে কাজে লাগানো কঠিন হবে। সচেতন মহলের আশঙ্কা, সঠিক সিদ্ধান্ত না এলে জোটের ভেতরেই এ আসনে ভোটের সমীকরণ জটিল হয়ে উঠতে পারে।