Image description

বিপাকে পড়েছেন এনসিপি থেকে সদ্য পদত্যাগকারী নেত্রী তাসনিম জারা। কী ধরনের বিপদ? 

বাংলাদেশে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে হলে অবশ্যই বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে, ২৫ বছর বয়স পূর্ণ হতে হবে, ভোটার তালিকায় নাম থাকতে হবে এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো,  নির্বাচনী এলাকার মোট ভোটারের কমপক্ষে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর বা সমর্থন (হলফনামা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ) জমা দিতে হবে, তবে আগে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলে এই ১% স্বাক্ষরের বাধ্যবাধকতা থাকে না। এর সাথে আয়কর রিটার্ন, সম্পদের বিবরণী এবং নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ছবি ও হলফনামা জমা দিতে হয়, যা নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী পূরণ করতে হয়। 
 
এই শর্ত অনুযায়ী তাসনিম যারা গতকাল থেকে নির্বাচনী এলাকার খিলগাঁও থেকে সাক্ষর নেওয়া শুরু করেছেন।

কিন্তু আজ জানা গেলে তিনি বিপদে পড়েছেন। যেহেতু ভোটারদের সিরিয়াল নম্বর প্রয়োজন, কিন্তু সেই সিরিয়াল নম্বর পাওয়ার ৫ টি উপায় আছে। সব কয়টি পথ বন্ধ রেখেছে নির্বাচন কমিশন- এমনটাই জানালেন ঢাকা ৯ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী তাসনিম জারা।
 
তাসনিম যারা বললেন, ভোটার নম্বর লাগবে। কিন্তু নির্বাচন কমিশন কোনো উপায় রাখেনি যে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে। ৫ উপায়ে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে। এক হলো এসএমএস করে, অনলাইনে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে। কল করে ভোটার নম্বর পাওয়া যাবে।

কিউ আর কোড ব্যবহার করে পাওয়া যাবে। তো পাঁচটি উপায়ে ভোটার নম্বর পাওয়া যায়ম, কিন্তু একটা উপায়ও কার্যকর নয়। 

তিনি বলেন, ওয়েবসাইটের সার্ভার ডাউন।  আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হবো, এক্ষেত্রে ভোটার নম্বর লাগবে। কিন্তু ভোটার নম্বর পাওয়া যাচ্ছে। একদম অসম্ভব করে রাখা হয়েছে। প্রত্যকেওটা পথ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। 
এদিকে এই অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় ভোটার সিরিয়াল নম্বর পাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে তৈরি হয়েছে সংশয়। কেননা আজ মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।