Image description

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে পদত্যাগ করে ঢাকা–৯ সংসদীয় আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তাসনিম জারা। সেই লক্ষ্যে এই আসনের এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন তিনি। 

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই কার্যক্রমে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার এক শতাংশ ভোটারের সমর্থন-সংবলিত স্বাক্ষরযুক্ত তালিকা মনোনয়নপত্রের সঙ্গে যুক্ত করে দিতে হয়। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন আগামীকাল সোমবার। এর মধ্যেই তাসনিম জারাকে এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে।

খিলগাঁও, সবুজবাগ ও মুগদা থানা এবং মান্ডা এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা–৯ আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ জন। সেই হিসাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য তাসনিম জারাকে ৪ হাজার ৬৯৩ জন ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে।

ঢাকার এই আসনে এনসিপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা। নির্বাচনি ব্যয় নির্বাহের জন্য ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে ৪৭ লাখ টাকা তুলেছেন এই চিকিৎসক। কিন্তু এনসিপির সঙ্গে জামায়াতের আসন সমঝোতার বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়ার পর গতকাল শনিবার এনসিপি থেকে পদত্যাগ করেন জারা। 

পরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি বলেন, বাস্তবিক প্রেক্ষাপটের কারণে আমি কোনো নির্দিষ্ট দল বা জোটের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।...এই নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-৯ থেকে অংশগ্রহণ করব। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণে যারা তাকে দেওয়া অর্থ ফেরত পেতে চান, তাদের তা ফেরত দেবেন বলেও জানান তিনি।

একটি বুথ বসানো হয়েছে খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটসংলগ্ন ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের বিপরীত পাশে। অন্যটি বাসাবো বালুর মাঠে।

স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেওয়ার পর আজ বেলা ১১টা থেকে ঢাকা–৯ আসনভুক্ত দুটি এলাকায় বুথ বসিয়ে ভোটারদের স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন তাসনিম জারা। একটি বুথ বসানো হয়েছে খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেটসংলগ্ন ন্যাশনাল আইডিয়াল কলেজের বিপরীত পাশে। অন্যটি বাসাবো বালুর মাঠে।