দেশে মাদকের গডফাদার ৮৫ আর কারবারি প্রায় ১২ হাজার। সম্প্রতি এই তথ্য দিয়েছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এদিকে সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি বদি গ্রেপ্তার হওয়ার পর কক্সবাজারের মাদকের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে তাঁর স্বজনদের হাতে। প্রায় নিয়মিতই সিন্ডিকেট প্রধানদের ধরতে তৎপরতার কথা বলা হলেও রাশ টানা যাচ্ছে না মাদকের।মিয়ানমার থেকে যে ইয়াবা-আইস ঢোকে, টেকনাফ-উখিয়াসহ কক্সবাজারের নানা পয়েন্ট দিয়ে এর একক নিয়ন্ত্রণ ছিল আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির হাতে।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০ আগস্ট সেই বদি আটক হলে তাঁর সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ নেন পাঁচ ভাইসহ স্বজনেরা। এর মধ্যে রয়েছে আব্দুল আমিন, আব্দুল শুকুর, মুজিবুর রহমান, শফিকুল ইসলাম ও ফয়সালের নাম। এ ছাড়াও তালিকায় আছেন তিন ভাগ্নে নিপুণ-সালমান, নাহিদ, চাচাতো ভাই ফরিদ আলম, বদির সহযোগী নূর মোহাম্মদ প্রকাশের নাম। তাঁরা মাদক ছাড়াও অস্ত্র ও অর্থপাচার মামলার আসামি।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক তানভীর মমতাজ বলেন, মাদক চোরাচালানের সিন্ডিকেট ভাঙতে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। সারা দেশে ১২ হাজার মাদক ব্যবসায়ীর তালিকাও করেছে অধিদপ্তর। এদের মধ্যে গডফাদার বলা হচ্ছে ৮৫ জনকে।এ নিয়ে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থার (মানাস) সভাপতি অরূপ রতন চৌধুরী বলেন, শুধু মাদক বহনকারী গ্রেপ্তার করেই দায় সারলে হবে না, আইনের আওতায় আনতে হবে রাঘব বোয়ালদের।