দেশে ফেরার দিনটি নিজের জীবনে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “এই মুহূর্তগুলো আমি কোনোদিন ভুলতে পারব না।” শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান লিখেছেন, “প্রিয় বাংলাদেশের বন্ধুরা, বোনেরা ও ভাইয়েরা; গত বৃহস্পতিবার দিনটি সারা জীবনের জন্য আমার হৃদয়ে অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। দীর্ঘ ১৭ বছর পর আমি আবার আমার মাতৃভূমির মাটিতে পা রেখেছি। আপনাদের উষ্ণ অভ্যর্থনা, ঢাকার রাস্তাজুড়ে মানুষের ঢল আর লাখো মানুষের দোয়া—এই মুহূর্তগুলো আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না।”
সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই ফিরে আসা নিয়ে আমার ও আমার পরিবারের মনে যে ভালোবাসা আর সম্মান কাজ করছে, তা শুধুমাত্র কথায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যারা সব প্রতিকূলতার মাঝেও আমাদের পাশে ছিলেন, কখনো আশা হারাননি, আপনাদের সাহস আমাকে প্রতিনিয়ত শক্তি জোগায়।”
নাগরিক সমাজ, তরুণ প্রজন্ম, পেশাজীবী, কৃষক ও শ্রমিকসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “আপনারাই আমাদের মনে করিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশ তখনই সবচেয়ে শক্তিশালী হয়, যখন এ দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকে।”
গণমাধ্যম ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তারেক রহমান তাঁর পোস্টে উল্লেখ করেন, “এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটি দায়িত্বশীলতা ও যত্নের সঙ্গে দেশ-বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আর যারা আমার ফিরে আসার সময় নিরাপত্তা ও শান্তি নিশ্চিত করেছেন এবং দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন, সেই সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সেবার গুরুত্ব অপরিসীম।”
অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “আমি অন্যান্য রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনের নেতৃবৃন্দকেও ধন্যবাদ জানাতে চাই, যারা আমার দেশে ফেরাকে স্বাগত জানিয়েছেন। গণতন্ত্র, বহুদলীয় সহাবস্থান এবং জনগণের অদম্য ইচ্ছাশক্তির ওপর জোর দেওয়া—এসব ভাবনার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বানকেও আমি গুরুত্ব দিচ্ছি এবং এসব পরামর্শ বিনয় ও সম্মানের সঙ্গে গ্রহণ করছি।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বৃহস্পতিবার আমি শুধু কোনো স্বপ্নের কথা বলিনি, আমি বাংলাদেশের ভবিষ্যতের জন্য একটি বাস্তব পরিকল্পনার কথা বলেছি; যে বাংলাদেশে শান্তি ও মর্যাদা থাকবে, যেখানে প্রতিটি মানুষ নিজেকে নিরাপদ ও সম্মানিত মনে করবে। এই পরিকল্পনা সকল বাংলাদেশির জন্য, একটি ঐক্যবদ্ধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের জন্য।”
সবশেষে তিনি বলেন, “দেশে ফিরে আসার সময় আমাকে বরণ করে নেওয়ার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। আল্লাহ বাংলাদেশকে এবং আপনাদের সবাইকে সবসময় তাঁর রহমতে রাখুন।”