Alfaz Anam(আলফাজ আনাম)
জামায়াত ও এনসিপির মধ্যে আসন সমঝোতা প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। আগামি কালের মধ্যে এ ঘোষণা আসতে যাচ্ছে। ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ ইসলামপন্থী অন্য দলগুলোর সাথে দরকষাকষির চাপ অনেকটা কমে এসেছে বলে একজন জামায়াত নেতা জানালেন।
তার মতে সব দল এখন ছাড় দিতে প্রস্তুত। আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে । এনসিপি আসার পর এই মনোভাব জোরদার হয়েছে। কর্নেল ওলি আহমদ এই জোটে আসতে পারেন - এমন আভাষ পাওয়া গেছে। জামায়াতের সূত্রগুলো বলছে, নির্বাচনে তারা একটি বড় আকারের অ্যালায়েন্স গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।
জামায়াতের নেতৃত্বে এ ধরনের অ্যালায়েন্স গড়ে তোলা সম্ভব হলে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আরো বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে। এটি মুলত দ্বিদলীয় রাজনীতির নতুন ধারা সৃষ্টি করবে। যদি ভোটার উপস্থিতি বাড়ে তাহলে দেশের রাজনীতির দৃশ্যপট থেকে আওয়ামীলীগ হারিয়ে যাবে।
এখনও প্রকাশ হয়নি এমন একটি জরিপে দেখা যাচ্ছে , ৮৬ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়ার ক্ষেত্রে আগ্রহী। অর্থাৎ নির্বাচনী ইতিহাসে এবার সর্বাধিক ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবে বলে ধারনা করা যায়।
রাজনীতির এই নতুন মেরুকরনে বিএনপি- জামায়াতের পাশাপাশি এনসিপি ধীরে ধীরে তৃতীয় রাজনৈতিক শক্তি হিসাবে গড়ে উঠার সুযোগ পাবে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সাধারনত তৃতীয় রাজনৈতিক দল শক্তি সঞ্চয় করে।
বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ পায়। যেমনটা জামায়াত- বিএনপির সাথে জোটবদ্ধ থাকার সুযোগ নিয়েছে।
বিভিন্ন জরিপে জামায়াতের যে ভোট বাড়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে - এই ভোট মুলত বিএনপির ওপর বিক্ষুদ্ধ ভোট, যা জামায়াতের দিকে হেলে পড়েছে। ভবিষ্যতে এনসিপি যদি সফল রাজনৈতিক নেতৃত্ব দিতে পারে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট তাদের দিকে আসতে পারে।
এবারের নির্বাচনে আওয়ামীলীগবিহীন এক নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠতে যাচ্ছে।