বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ পতনের পর থেকে শুরু। তারপর পুরো পৃথিবী যেন রূপ নিয়েছে আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখে। বিশেষত, ২০২৫ সালে বিশ্বজুড়ে সরকারবিরোধী প্রতিবাদে শহরগুলো ভরে উঠতে দেখা যায়। সাব-সাহারান আফ্রিকা থেকে পূর্ব ইউরোপ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত। ৭০টিরও বেশি দেশে নতুন প্রতিবাদ শুরু হয়।
কার্নেগি'র গ্লোবাল প্রোটেস্ট ট্র্যাকার অনুযায়ী, এর মধ্যে ২৭টি "আংশিক স্বাধীন" দেশ, ২৬টি "স্বাধীন" দেশ এবং ১৭টি "পরাধীন" দেশে জেনজি দ্রোহ সংঘটিত হয়েছে। প্রতিবাদের প্রধান কারণ ছিল সরকারি দুর্নীতি এবং মানবাধিকার লংঘন। প্রতিবাদের একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল সমতার দাবি। এর বাইরে প্রতিবাদের অন্যান্য দুটি প্রধান কারণ ছিল ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অর্থনৈতিক দুরবস্থার ভিতরেও শাসকশ্রেণির অপচয় ও বিলাসবহুল জীবনযাপন।
বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে নির্দিষ্ট দুর্নীতি তথা কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। মার্চ মাসে, উত্তর মেসিডোনিয়া প্রতিবাদে ফেটে পড়ে, যেখানে ক্লাবের অগ্নিকাণ্ডে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু নিয়ে দুর্নীতি ও ঘুষের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেড্রো সানচেজের প্রশাসনের দুর্নীতি ও রাজনৈতিক কেলেঙ্কারির কারণে ৪৫,০০০ জন লোক প্রতিবাদে নামে। গাম্বিয়াতে সরকারি জবাবদিহিতার দাবিতে প্রতিবাদ হয়েছিল, যেখানে দুর্নীতির দীর্ঘস্থায়ী সমস্যা সামনে আসে। নেপালের জেনজি প্রতিবাদ প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির কারণে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। শেষে প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির পদত্যাগে পরিণত হয়। প্রায় একই সময়ে, ফিলিপাইনে জলাধার প্রকল্পের দুর্নীতির কারণেও প্রতিবাদ হয়েছিল। প্রতিটি ক্ষেত্রে অনলাইন মাধ্যম থেকে প্রতিবাদ শুরু করেছিল জেনজিরা।
অন্যান্য দুর্নীতি সংক্রান্ত প্রতিবাদগুলি কোনো নির্দিষ্ট কেলেঙ্কারি বা অভিযোগের কারণে নয়, বরং সরকারি দুর্নীতি এবং অন্যান্য অপব্যবহারের প্রতি জনগণের দীর্ঘস্থায়ী অসন্তোষের কারণে সংঘটিত হয়েছে। মে মাসে, মঙ্গোলিয়াতে প্রধানমন্ত্রীর ছেলের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল জনতা। পরে তা আরও বড় একটি দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে পরিণত হয়। ফলাফল হিসেবে প্রধানমন্ত্রী লুউসান্নামস্রাইন অইউন-এর্দেনেকে ক্ষমতাচ্যুত করে। ইন্দোনেশিয়াতে, জেনজি সংসদ সদস্যদের উচ্চ বেতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিল। এটা সরকারের প্রতি দীর্ঘস্থায়ী অসন্তোষের অংশ ছিল।
মরক্কোতেও জেনজি প্রতিবাদ ছিল দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এটি প্রথমে সরকারি খরচ এবং সরকারের সেবার অবহেলা নিয়ে অসন্তোষ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। মেক্সিকোতে, উরুয়াপান শহরের মেয়র কার্লোস আলবের্তো মঞ্জোর মৃত্যুর পর দেশব্যাপী প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল, যা দুর্নীতি এবং সহিংস অপরাধের বিরুদ্ধে ছিল। ২০২৪ সালের নভেম্বরে সার্বিয়ায় নোভি সাদ রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ধসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হয়। পরে তা দুর্নীতিবিরোধী এবং প্রেসিডেন্ট আলেকসান্দার ভুসিচের সরকারের পতন আন্দোলনে রূপ নেয়।
এর আগের বছর অর্থাৎ, ২০২৪ সালের জুলাইতে শিক্ষার্থী জনতার উপর গুলি চালিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের নির্বাচনে কারচুপি করে প্রধানমন্ত্রীর পদ দখলকারী শেখ হাসিনা। পুরো প্রশাসন, আইন ও বিচার বিভাগ তার পক্ষে থাকার পরেও তাকে হেলিকপ্টারে চেপে ভারত পালিয়ে গিয়ে প্রাণরক্ষা করতে হয়েছিল। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগের সূচনাবিন্দু ভোটডাকাতি এবং অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারি থেকে। শুরুতে রাতের বেলায় জালভোট দিয়ে ক্ষমতা দখল করা ছিল তার বিরুদ্ধে জন অসন্তোষের মূল কারণ। তারপর কোটার মাধ্যমে চাকরিতে বৈষম্য সৃষ্টি আর মেগা প্রকল্পের নামে ধারাবাহিক দুর্নীতিতে বিব্রত জনতা নানাভাবে প্রতিবাদ করছিল। অনেক মানুষকে নির্মমভাবে খুন করার পাশাপাশি অপরিসর গুমটি ঘরে গুম করে রাখা হয়েছিল। তারপরেও সব ভয়কে জয় করে রাস্তায় নেমেছিল বাংলাদেশের জেনজি। ফলাফল হিসেবে পালিয়ে যেতে হয় হাসিনাকে।
বেশিরভাগ দেশে ক্ষমতাসীনদের ক্ষমতার অপব্যবহার ২০২৪ সালের প্রতিবাদগুলোর একটি প্রধান বিষয় ছিল। পরের বছর ২০২৫ অভিন্ন প্রতিবাদগুলিকে চালিত করেছে। সরকারি ক্ষমতার সম্প্রসারণের ব্যাপারে সরকারের ব্যাপক দাবি প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। ইন্দোনেশিয়াতে, ছাত্ররা এবং প্রো-ডেমোক্রেসি কর্মীরা সামরিক আইন সংশোধনের বিরোধিতা করেছিল। এই আইন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সিভিলিয়ান সরকারের পদে কাজ করার অনুমতি দেয় এবং এর ফলে সেনাবাহিনীর ভূমিকা সিভিলিয়ান বিষয়গুলিতে বাড়ানো হয়। এর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছিল দেশটির জনগণ।
মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ফাউস্টিন-আরশাং টুয়াদেরা তার তৃতীয় মেয়াদের জন্য বাংলাদেশের শেখ হাসিনা স্টাইলে নির্বাচন করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে। সে হাজার হাজার মানুষকে জড়োও করেছিল। অন্যদিকে তার থেকেও কয়েকগুণ মানুষ তার দীর্ঘস্থায়ী শাসনের বিরোধিতা করেছিল। ফলাফল হিসেবে তাকে সরে যেতে হয়। ওদিকে মালিতে সামরিক জান্তার শাসন আরেকটি নতুন মেয়াদ হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য বাড়ানো হয়। এরপর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে জনতা। জান্তা তাদের সমস্ত রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে দেয়। তারপরেও জনদ্রোহের মুখে সুবিধা করতে পারেনি সামরিক জান্তা।
টোগোর প্রেসিডেন্টও হাসিনা স্টাইলে নির্বাচন করে তার মেয়াদসীমা বাড়াতে চেষ্টা করে। পরে তার অপসারণের উদ্দেশ্যে রাস্তায় নামলে জনতার উপর গুলি চালানো হয়। এরপর শুরু হয় ভয়াবহ প্রতিবাদ। এই প্রতিবাদগুলি ঘটেছিল জেনজির মাধ্যমে। সেখানে সবাই ফাওর গনাসিংবির দীর্ঘস্থায়ী শাসন নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিল। দেশের গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন জনতার সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয় জেনজি দ্রোহ। যুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যেও ইউক্রেনে হাজার হাজার মানুষ একটি আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসে। তারা ভয় পেয়েছিল যে এটি দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাগুলির স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করবে। এটিকে তাদের প্রেসিডেন্টের নিয়োগকৃত প্রসিকিউটর জেনারেলের অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত জনগণ মানতে পারেনি।
ব্রাজিলের “শিল্ডিং” বিল, যা আইন প্রণেতাদের জন্য বড় আকারের অভয়দান করে। এই বিল পাশের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ নাগরিকদের সমবেত হতে দেখা যায। তারা নতুনভাবে প্রতিবাদে উত্থিত হয়েছিল জেনজির সংযুক্তির মাধ্যমে। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রেই বছরের মধ্যে একাধিক প্রতিবাদ হয়েছে। তারা প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনের কর্তৃত্ববাদী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে ছিল। এখানে সরাসরি রাস্তায় নেমে প্রতিবাদের যে ট্রেন্ড চালু হয়েছে এটা একেবারেই নতুন এবং অভিনব।
বিশ্বের নানা দেশে সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিকভাবে বিরোধীদের প্রতি আক্রমণ কিংবা সিভিল সোসাইটির প্রতি চড়াও হওয়ার ফলেও নাগরিকদের রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে। অভ্যন্তরীণ বিরোধীদল কিংবা বিরোধী ব্যক্তিদের উপর আক্রমণ নিয়ে ক্ষোভ উত্থিত হয়েছে। যেমন, ইস্রায়েলে শিন বেট প্রধান রোনেন বারের বরখাস্তের প্রতিবাদ, আইভরি কোস্টে ২০২৫ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদ, এবং তুরস্কে বিভিন্ন বিরোধী ব্যক্তির গ্রেফতারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ২০২৪ সাল থেকেই চলছে।
অনেক দেশে নাগরিক অধিকার এবং স্বাধীনতার প্রতি হুমকি সৃষ্টির বিপরীতে প্রতিবাদ হয়েছে। যেমন, স্লোভাকিয়াতে একটি এনজিও বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। এটি রাশিয়ার বিদেমি এজেন্ট আইনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ ছিল। যুক্তরাজ্যে ট্রান্সজেন্ডার অধিকার বিরোধী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ হয়েছে। হাঙ্গেরিতে প্রাইড প্রতিবাদ নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে এবং বিদেশি তহবিল বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। এটাও অনেকটা রাশিয়ার বিদেশি এজেন্ট আইনের অনুরূপ ছিল।
নানাবিধ নাগরিক অধিকারের বাইরে অর্থনৈতিক মন্দাভাবও ২০২৫ সালকে অগ্নিগর্ভ করে তুলেছিল। অনেক প্রতিবাদের পেছনে একটি প্রধান চলক ছিল অর্থনৈতিক দুরবস্থা। বেশ কয়েকটি দেশে কঠোরতামূলক আর্থিক ও অর্থনৈতিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়। বেলজিয়াম, ইন্দোনেশিয়া, ফ্রান্স, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া এবং আর্জেন্টিনার দ্রোহ এর মধ্যে পড়ে। সেখানে দেশের চলমান অর্থনৈতিক সমস্যায় হতাশ হয়ে বিপ্লবীরা যুক্তি দিয়েছিলেন যে, বিভিন্ন সংস্কার পেনশন, শিক্ষা, এবং কর্মী সুবিধাগুলিতে প্রভাব ফেলেছিল। এই পদক্ষেপগুলো তাদের বর্তমান কষ্টগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তাই প্রতিবাদের বাইরে অন্য কোনো পথ তাদের জন্য খোলা নেই। অন্যদিকে, গ্রিস এবং চিলিতে, শ্রমিকরা সরকার থেকে আরও বড় সুরক্ষা এবং সুবিধার দাবি জানিয়েছিল। আঙ্গোলা এবং ইকুয়েডরে, জ্বালানির দাম বাড়ানোর ফলে হাজার হাজার অসন্তুষ্ট প্রতিবাদী রাস্তায় নেমে আসে।
স্পেনের নানা স্থানে উচ্চ বাড়িভাড়ার দাম মেটাতে না পেরে ক্ষিপ্ত হয় মানুষ। এই অঞ্চলটির পর্যটন বৃদ্ধির কারণে আরও বৃদ্ধি পেয়েছিল ভাড়া। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের ব্যাপক প্রতিবাদ উদ্বেল করে তোলে দেশ। তারা সরকারি পদক্ষেপ দাবি করে এবং সস্তা আবাসন বৃদ্ধির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।
তবে, কিছু প্রতিবাদ ২০২৪ সালে শুরু হয়ে ২০২৫ সালেও তার গতি বজায় রেখেছে। সার্বিয়ার দুর্নীতিবিরোধী প্রতিবাদ এবং জর্জিয়ায় নির্বাচন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে যোগদান সংক্রান্ত প্রতিবাদগুলি গত বছরের পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে। অন্যান্য প্রতিবাদ, যেমন তুরস্কে বিরোধী ব্যক্তিদের গ্রেফতারের বিরুদ্ধে, ফ্রান্স এবং বেলজিয়ামে কৃষকরা এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন-মার্সুর বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কিত প্রতিবাদ এখনও চলছে। গাজায় হামলা চালিয়ে নিরীহ মানুষ হত্যা করে বেড়ালেও ইস্রায়েল নিজে ভাল নেই। তাদের অতিপ্রাচীন ধর্মীয় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে চলছে বিক্ষোভ। তাদের দেশে ২০২৫ সালে মূল সরকারের পদক্ষেপের উপর জায়নবাদী নেতাদের অনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছে অনেকেই। গাজায় হামলা করে নিরীহ মানুষ মারার বিরুদ্ধেও ইস্রায়েলি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হয়েছে। অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে এই প্রতিবাদ হয়েছে বিশ্বজুড়ে। শুরুতে ইতালি ও মরক্কো থেকে ম্যালেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল।
সব মিলিয়ে ২০২৫ সালের শেষের দিকে ইন্দোনেশিয়া, নেপাল, ফিলিপাইন, পেরু, তিমোর-লেস্তে, মাদাগাস্কার, মরক্কো এবং মেক্সিকোসহ বিভিন্ন দেশে তরুণদের নেতৃত্বাধীন প্রতিবাদ সবকিছু নড়বড়ে করে দিয়েছে। সবাই একটি বৈশ্বিক “জেন-জি আন্দোলনের” ধারণা উপস্থাপন করছেন। তবে আন্দোলনগুলোর উল্লেখযোগ্য অংশই নতুন কোনো প্রবণতা নয়। তরুণরা বছরের পর বছর ধরে বিভিন্ন দেশের প্রতিবাদ নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্ত, ২০২২ সালের অর্থনৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে হওয়া শ্রীলঙ্কার গণবিক্ষোভ, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে সরকার পতনের পর জেনজি সাফল্যের যে শুরু, তার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে। গ্লোবাল প্রোটেস্ট ট্র্যাকার থেকে পাওয়া তথ্য ও উপাত্ত থেকে দেখা যাচ্ছে, এই প্রতিবাদ নতুন বছরেও ধারাবাহিক হতে পারে। আর সেখানেও বিক্ষোভে উত্তাল দুই হাজার পঁচিশের নেপথ্যে যে কারণগুলো সক্রিয় ছিল সেগুলোই মূল অনুঘটকের ভূমিকায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ড. মো. আদনান আরিফ সালিম, গবেষক ও কনটেন্ট ক্রিয়েটর। অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।