পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় পতিতাবৃত্তি ও মাদকের ভয়াবহ বিস্তারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঐক্য শিক্ষা নেতৃত্বের আয়োজনে এবং কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্সের উদ্যোগে কুয়াকাটা প্রেসক্লাব থেকে মিছিলটি বের করা হয়।
মিছিলটি কুয়াকাটার গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে পুনরায় কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে পরিণত হয়। এসময় অংশগ্রহণকারীরা পতিতা-মাদক বন্ধ করো, যুবসমাজ রক্ষা করো, মাদকমুক্ত কুয়াকাটা চাইসহ নানা প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
মহিপুর থানা ইমাম সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা মোহাম্মদ মাঈনুল ইসলাম মন্নান বলেন, পতিতাবৃত্তি ও মাদক সমাজের জন্য সবচেয়ে বড় অভিশাপ। এসব অপকর্মের কারণে আমাদের যুবসমাজ ধ্বংসের পথে যাচ্ছে। কুয়াকাটার মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকায় এ ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ড কোনোভাবেই চলতে দেওয়া যায় না।
প্রশাসন ও সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একযোগে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সমাজসেবক মাওলানা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ শুধু একজন মানুষকে নয়, একটি পরিবার ও পুরো সমাজকে ধ্বংস করে দেয়। আজকের এই ঝটিকা মিছিল প্রমাণ করে কুয়াকাটার শিক্ষার্থী ও যুবসমাজ আর নীরব থাকবে না।
সংগঠনের আহ্বায়ক মো. মহিম বলেন, যুবসমাজকে রক্ষা করতে হলে এখনই মাদক ও পতিতাবৃত্তির বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। আমরা প্রশাসনের কাছে দ্রুত অভিযান ও স্থায়ী সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।
কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্সের মুখপাত্র মো. মুজাহিদ সিফাত বলেন, অবিলম্বে পতিতাবৃত্তি ও মাদক ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। দাবি আদায় না হলে ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সমাজসেবক রাসেল মুসুল্লি, কুয়াকাটা স্টুডেন্ট এলায়েন্সের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম, স্টুডেন্ট এলায়েন্সের সদস্য সচিব আরিফুল ইসলাম, সদস্য জাহিদ মুসুল্লিসহ বিভিন্ন পেশার সচেতন মানুষ।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মহব্বত খান বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়মিত অভিযান চলছে। হোটেলে পতিতাবৃত্তির লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।