অনিয়ম, দুর্নীতি ও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের (ডিপিএইচই) ‘সমগ্র বাংলাদেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পটি জিম্মি করে রেখেছেন প্রকল্পের এস্টিমেটর (প্রাক্কলনিক) আনোয়ার হোসেন সিকদার ও তাঁর আস্থাভাজন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীরা। তাঁদের সিন্ডিকেটের কারণে এরই মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়েছে প্রকল্পটি। ৪০ হাজার টাকা বেতনের প্রকৌশলী আনোয়ারের ঢাকায় রয়েছে তিনটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট।
আনোয়ার সিকদারের চাকরি জীবন শুরু হয় একটি প্রকল্পের মাধ্যমে। এরপর মামলা করে আদালতের রায়ে রাজস্ব খাতের অন্তর্ভুক্ত হন তিনি। একের পর এক প্রকল্পের এস্টিমেটরের দায়িত্ব পালনের কারণে ঠিকাদারদের সঙ্গে বিশেষ সখ্য গড়ে উঠে আনোয়ারের। এরপর নিজের স্ত্রীকে ব্যবসায়ী বানিয়ে ছেলের নামে লাইসেন্স করে নিজেই ঠিকাদারি শুরু করেন। এ ছাড়া প্রভাব খাটিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিতে পরিকল্পিতভাবে বড় প্যাকেজ তৈরি, কাজের রেট বিক্রি, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে টেন পার্সেন্ট অতিরিক্ত মূল্যে পরিকল্পিতভাবে প্রকল্পের নামে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে এসব অভিযোগের প্রমাণও মিলেছে।
সম্প্রতি গোপালগঞ্জ, খাগড়াছড়ি ও বান্দবান জেলায় ‘সমগ্র বাংলাদেশ’ প্রকল্প থেকে বেশ কয়েকটি টেন্ডার আহব্বান করা হয়েছে। সেখানে পরিকল্পিতভাবে প্যাকেজের আকার বড় করা হয়েছে, যাতে আনোয়ারের পছন্দের ঠিকাদার ছাড়া অন্য কেউ কাজ না পায়। টেন্ডারগুলো যেন নিজের পছন্দের প্রতিষ্ঠান পায় সেজন্য অত্যন্ত সুকৌশলে ব্যবস্থা করেন এই কর্মকর্তা। টেন্ডার আহ্বানের আগে যে প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে, তার সব ডকুমেন্ট চেক করে এমন শর্ত দেওয়া হতো. যেন অন্য কেউ অংশগ্রহণ করলেও কোনো একটি ডকুমেন্টের অনুপস্থিত থাকে। এতে তখন তাঁর পছন্দের প্রতিষ্ঠানই কাজ পায়।
সম্প্রতি এই প্রকল্পের আওতায় সোলার প্যানেল স্থাপনের জন্য গোপালগঞ্জ জেলায় কয়েকটি টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এরই মধ্যে ১৫ কোটি টাকার একটি টেন্ডারে ‘সালেক সোলার লিমিটেড’ নামে একটি মাত্র লাইসেন্স অংশগ্রহণ করেছে। অভিযোগ রয়েছে, আনোয়ার শিকদারের নির্দেশে গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমেদ ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের কাছে সরকার নির্ধারিত হুবহু ১০ শতাংশ রেট বিক্রি করেছে এবং অন্য ঠিকাদারদেরকে অংশগ্রহণ করতে বাধা দিয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে অভিজ্ঞতা কাগজে ত্রুটি দেখিয়ে বাদ দেওয়া হয়। অন্যদিকে, ১৫ কোটি টাকার অন্য আরেকটি টেন্ডারে চারজন ঠিকাদার
অংশগ্রহণ করেছেন। সেখানে প্রথম তিন সর্বনিম্ন দরদাতাকে নানা কারণ দেখিয়ে বাদ দিয়ে চতুর্থ অস্থানে থাকা ‘মনির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ৯ পারসেন্ট অ্যাভাবে ১৮,৭৩,১০৮২৩ টাকা দরে অর্থাৎ সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ৪ কোটি টাকা বেশি দরে কাজ দেওয়ার পাঁয়তারা চলছে। তাই পুনরায় এই টেন্ডারের রিটেন্ডার চেয়েছেন স্থানীয় ঠিকাদাররা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়েজ আহমেদ বলেন, পিডি অফিস থেকে আমাকে যেভাবে করতে বলেছে আমি তাই করেছি। এখানে আমার কোনো হাত নেই। যেভাবে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেভাবেই টেন্ডার করেছি।
শুধু গোপালগঞ্জই নয় একই চিত্র দেখা গেছে খাগড়াছড়ি ও বান্দরবন জেলাতেও। সম্প্রতি, বান্দরবান জেলায় টিউবওয়েল ও সাবমারসিবলের আর্সেনিক দূর করণের জন্য একটি প্যাকেজে ১৫০০ এফআরপি ভেসেলের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে। এ ছাড়া খাগড়াছড়িতে ১৮০০ ও ১২০০ ব্যাসেলের দুটি টেন্ডার করা হয়েছে। ঠিকাদারদের অভিযোগ, ‘মনির ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন লিমিটেডকে কাজ দেওয়ার জন্য এই প্যাকেজের ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে অন্যরা কেউ অংশগ্রহণ করতে না পারে। এই কাজও অতিরিক্ত দরে নেওয়ার পরিকল্পনা চলছে। কারণ, একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানের কাছেই এই কাজ করার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র রয়েছে। এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি জেলা নির্বাহী প্রকৌশল অধিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, পিডি অফিস থেকে যেভাবে বলা হয়েছে, সেভাবেই করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে যানা যায়, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও মৌলভীবাজারসহ তাঁর পছন্দের জেলাগুলোয় অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়ে সরকারি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লুটপাট হয়েছে কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায়। এই দুই জেলার দায়িত্বে ছিলেন আনোয়ার শিকদারের আস্থাভাজন ও বর্তমান কক্সবাজার জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসরুল্লাহ। অভিযোগ রয়েছে, সম্প্রতি কুমিল্লা জেলায় ৪০টি স্কিমে ১২০ কোটি টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। প্রতিটি টেন্ডারেই ১০ শতাংশের ঊর্ধ্বে কাজ পেয়েছেন ঠিকাদাররা। অথচ দেশের অন্যান্য জেলায় ১০ শতাংশের নিজে কাজ করছে ঠিকাদাররা। জানা গেছে, অতিরিক্ত ১০ শতাংশের টাকা পরে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাসারুল্লাহ ও আনোয়ার শিকদারের মধ্যে ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে।
টেন্ডারের আগেই রেট ফাঁস : অভিযোগ রয়েছে, জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীরা ইজিপিতে টেন্ডার আহ্বান করার আগেই কাজের রেট ফাঁস করে দেন আনোয়ার শিকদার। এতে করে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী বলেন, আমরা চূড়ান্ত বরাদ্দ নির্ধারণ করে প্রকল্প পরিচালকের অফিসে পাঠাই। সেখানে পিডি ও ডিপিডি বরাদ্দ অনুমোদন করার পর সেটি আনোয়ার শিকদারের কাছে দেন এবং আনোয়ার শিকদারও তাতে স্বাক্ষর করেন। ওই সময় তিনি কাজের রেট তাঁর পছন্দের ঠিকাদারদেরকে দিয়ে দেন। ফলে মাঠ পর্যায়ে আমাদের বিপদে পড়তে হয়। তিনি বলেন, একবার একটি টেন্ডারে ১৬টি কাজের মধ্যে ১০টি কাজে ফাস্ট লোয়েস্ট হয়েছে একজন ঠিকাদার। তখন স্থানীয়ভাবে আমি খুব বিপদে পড়ে গেছিলাম। অন্য ঠিকাদাররা ভাবছেন, আমি হয়তো রেট দিয়েছি। তখন আমার কাছে বিষয়টি খটকা লাগল যে, এই ঠিকাদার সব কাজের রেট পেল কোথায়? পরে জানলাম পিডি অফিস থেকে এসব কাজ করছেন আনোয়ার শিকদার। এরপর থেকে আগে টেন্ডার করে পরে এস্টিমেট এপ্রুভ করাতাম। ওই সময় ওই ঠিকাদারকে বাধ্য হয়ে আমার ১০টি কাজ দিতে হয়েছিল। আরও কয়েকজন জেলা নির্বাহী প্রকৌশীর সঙ্গে কথা বলে আনোয়ারের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাঁর এসব অপকর্মে অতিষ্ঠ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
আনোয়ার শিকদারের অবৈধ সম্পদের বিবরণ : ডিপিএইচই সূত্রে যানা যায়, ১০ম গ্রেডের কর্মকর্তা আনোয়ার শিকদারের মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা। দুটি ইনক্রিমেন্ট পেয়ে বর্তমানে তাঁর বেতন ২৬ হাজার টাকা। বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ও আনুসঙ্গিক সব মিলিয়ে বর্তমানে তাঁর বেতন ৪০ হাজার টাকার বেশি নয়। এই বেতন অন্য এস্টিমেটররা যেখানে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন, সেখানে বিলাসী জীবন কাটাচ্ছেন আনোয়ার। চলাচলা করেন ৪০ লাখ টাকার গাড়িতে। অফিস শেষে ভবনের প্রধান গেট থেকে চুপচাপ করে গাড়িতে উঠেন তিনি। এ ছাড়া বসবাস করছেন মোহাম্মদপুর আদাবরে ১নং রোডে কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের পিসিকালচার হাউজিংয়ের ‘খ’ ব্লকের ১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাড়িতে তাঁর বিশালায়তনের একটি অ্যাপার্টমেন্টে। অ্যাপার্টমেন্টটি তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে কিনেছেন তিনি। পিসিকালচার হাউজিং এলাকায় প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের মূল্য ৭ হাজার টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী ১ হাজার ৫০০ বর্গফুটের অ্যাপার্টমেন্ট হলেও তার মূল্য ১ কোটি টাকার ওপরে। এ ছাড়া ধানমন্ডি ৬ এর ৭৮নং বাসায় চতুর্থ তলায় বিশাল আয়তনের ফ্লোর রয়েছে স্বামী-স্ত্রী উভয়ের নামে। সাভার পৌরসভা সংলগ্ন ৮নং রোডে স্ত্রীর নামে পাঁচ তলা আলিশান বাড়ি রয়েছে বলে যানা গেছে। এ ছাড়া তাঁর গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার টেংগুরিয়া উপজেলার আরোহ সালিনা গ্রামে বিলাসবহুল বাড়ি করেছেন তিনি। এলাকায় ১০ বিঘার ওপর জমি কিনেছেন তিনি। এ ছাড়া গোপালগঞ্জের ঠিকাদারি ‘মনির ইঞ্জিনিয়ারিং’র কর্ণধর কামাল হোসেনের পাইপ ফ্যাক্টরিতে তার বড় ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে বলে জানা গেছে। এর বাইরে বিদেশে তাঁর ভাইয়ের কাছে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচারের অভিযোগে রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার শিকদার আমাদের সময়কে বলেন, আমাকে টাকা দেবে কে সব ইজিপিতে হয়। এখানে কারসাজি করার সুযোগ নেই। সব অভিযোগ মিথ্যা। সম্পদের বিষয়ে জানতে চাইলে আনোয়ার সিকদার আমাদের সময়কে বলেন, পিসি কালচারে আমার একটি অ্যাপার্টমেন্ট আছে। ধানমন্ডিতে ৮ হাজার বর্গফুটের ফ্লোরের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, ৮ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট হতে হলে কত জায়গা লাগে ধারণা আছে? ঢাকায় এমন ফ্ল্যাট আছে উল্টো প্রশ্ন করেন তিনি। তবে তাঁর নেই, সেই কথা তিনি বলেননি।
সরকারি চাকরি করে নিজ কর্মক্ষেত্র থেকে নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে কাজ পাওয়া চাকরিবিধিমালার মধ্যে পড়ে কি নাÑ জানতে চাইলে আনোয়ার শিকদার আমাদের সময়কে বলেন, হ্যাঁ আমার স্ত্রীর নামে ঠিকাদারি লাইসেন্স রয়েছে। কাজ নিয়ে বিক্রি করে দেওয়ার যে কথা উঠেছে সেটা ঠিক না। আমার এক ভাইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কিছু কাজ করেছি। এটা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি নিয়ে করা যায়। চাকরিবিধিতে বাধা নাই।
তাঁর এসব অভিযোগের বিরুদ্ধে দুদকে একটা মমলা চলমান। মামলার চার্জশিট হলেও অদৃশ্য কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। জানা গেছে সেখানেও ম্যানেজ করেছেন আনোয়ার।
এ বিষয়ে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুল আউয়াল আমাদের সময়কে বলেন, সরকারি চাকরি করে ঠিকাদারি কাজ করার সুযোগ নেই। যদি কেউ করে থাকে, চাকরি বিধির পুরোপুরি লঙ্ঘন করেছেন। এ ধরনের অভিযোগ পেলে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশের সব অঞ্চলে বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চল, গ্রামীণ ও পৌর এলাকায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত পানি নিশ্চিত করতে ২০২০ সালের ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত একনেক সভায় ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের’ অনুমোদন দেয় সরকার। এটি সরকার ঘোষিত ১০০% সুপেয় পানি সরবরাহ এবং ‘এসডিজি’ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে সরকারের একটি বড় উদ্যোগ। সরকারি অর্থায়নে প্রকল্পটি ব্যয় ধরা হয় ৯ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন ২০২৫ পর্যন্ত। প্রকল্পটির পরিচালিত প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছেÑ সকলের জন্য সুপেয় পানি, নলকূপ স্থাপন, পানি শোধন ব্যবস্থা, ওয়াটার সেফটি প্ল্যান বাস্তবায়ন ও জনসচেতনতা বৃদ্ধি মূল কাজ। প্রকল্পটির শুরু থেকেই এস্টিমেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে আনোয়ার শিকদার। এর আগে তিনি ‘আর্সেনিক প্রকল্প’ ও ‘৩৭ পৌরসভা প্রকল্পের’ এস্টিমিটার ছিলেন আনোয়ার শিকদার। দুই প্রকল্পে লুটপাট করে তাঁর চোখ পড়ে ডিপিএইচের সবচেয়ে বড় প্রকল্প ‘সমগ্র বাংলাদেশ প্রকল্পে’। কাগজে কলমে প্রকল্প পরিচালক ও ডিপিডি থাকলেও প্রকল্পটির পেছনে কলকাটি নাড়ছেন আনোয়ার শিকদার। কোন জেলায় কত টাকা বরাদ্দ যাবে, প্যাকেজ কেমন হবে, কোন ঠিকাদার কাজ পাবে, কত পারসেন্ট অতিরিক্ত হবে, কোন ঠিকাদারকে কত টাকা বিল দেওয়া হবেÑ এর সবকিছুই ঠিক করেন আনোয়ার শিকদার।