Image description

কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজশাহীর জনজীবন। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় শীতের তীব্রতা ক্রমেই বাড়ছে। হিম বাতাসের সঙ্গে কমছে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। শীতের প্রকোপ বাড়ায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে গত ১১ ও ১৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা ছিল এ মৌসুমের সর্বনিম্ন। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। আগের দিন শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির ওপরে থাকলেও বাতাসের কারণে শীতের অনুভূতি বেশি হচ্ছে। এতে করে বাইরে কাজ করা মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ।

মহানগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকার নির্মাণ শ্রমিক রফিকুল ইসলাম বলেন, এই কনকনে শীতে কাজে আসতে খুব কষ্ট হয়। বাতাস থাকায় শীত আরও বেশি লাগে। তারপরও কাজ না করলে পরিবার না খেয়ে থাকবে।

গৃহকর্মী মাসুমা খাতুন বলেন, এই ঠান্ডার মধ্যে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করা খুব কষ্টকর। পানিতে হাত দেওয়া যায় না। তবুও জীবনের তাগিদে কাজ করতে হয়।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন জানান, শীতের এই প্রবণতা আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে।