কেউ কি জনস্রোতে উত্তাল এমন জানাজার কথা কখনো ভেবেছিলেন। যেখানে লাখো মানুষের ঢল নামবে। বুকে সবার ক্ষোভের আগুন, চোখে অশ্রুধারা। জনতার প্রতিবাদী মুষ্টিবদ্ধ হাত তোপ দাগছে কামানের মতো। সহযোদ্ধা হত্যার বিচারের দাবিতে গগণবিদারি স্লোগানে প্রকম্পিত চারদিক। সবার মুখে একই কথা, ‘কাঁদতে আসেনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি।’ সময়টা শনিবার ভরদুপুর। সংসদ ভবনের চারদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ। যেন তিলধারণের ঠাঁই নেই। রাজধানীর সব পথের জনস্রোত এসে মিশেছে যেখানে। আবাল, বৃদ্ধ-বনিতা, ধনী-দরিদ্র, দিনমজুর-কে আসেননি-সেখানে। কিন্তু কেন? সবাই সমবেত হয়েছে এক বিপ্লবী বীরকে চিরবিদায় জানাতে। কে সেই ইতিহাসের মহানায়ক। যাকে বিদায় জানাতে স্মরণকালের বৃহত্তম এই জানাজা। লক্ষ জনতার অন্তরে যার প্রতিধ্বনি। যিনি লাখ লাখ তরুণ জেন-জিদের বিপ্লবের মহামন্ত্র, বুকের ভেতর লুকিয়ে থাকা আগ্নেয়গিরি।
যাকে আজ বিদ্রোহী কবি নজরুলের সেই ‘মহাবিদ্রোহী’ চরিত্র বললেও ভুল বলা হবে না। তিনি আর কেউ নন, খাঁটি দেশপ্রেমিক ‘শরিফ ওসমান বিন হাদি’। ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র। ঘাতকের তপ্ত বুলেট যাকে শাহাদতের তামান্না উপহার দিয়েছে। সবার প্রিয় হয়ে ওঠা সম্মুখসারির জুলাই যোদ্ধা ওসমান হাদিও চেয়েছিলেন বীরের মতো এমন মৃত্যু। শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় স্মরণকালের এ জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা লাখ লাখ মানুষ সমবেত হন। তখনো সবার কণ্ঠে স্লোগান-হে বিপ্লবী বীর তোমাকে সংগ্রামী সালাম। প্রিয় হাদি ভাই তোমাকে সালাম। আমরা তোমাকে কোনোদিন ভুলব না। তুমি সবার বুকের মধ্যে বিপ্লবের যে আগুন জ্বালিয়ে গেছ-তা আর কোনোদিন নিভবে না। তুমি লক্ষ লক্ষ হাদি তৈরি করে গেছ। যাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে সব শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হবে প্রিয় বাংলাদেশ। তুমিই আমৃত্যু শুনিয়ে গেছ বিপ্লবের অমীয় মন্ত্র। আধিপত্যবাদ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথানত না করার প্রেরণা।
এমন ইতিহাস সৃষ্টি করে চিরবিদায় নিলেন বিপ্লবী বীর ওসমান হাদি। শোকাহত ও ব্যথিত হৃদয়ে অশ্রুসিক্ত ভালোবাসায় তাকে বিদায় জানাল পুরো জাতি।
চিরস্মরণীয় হয়ে থাকা এই বিপ্লবীর জানাজায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের পাশাপাশি বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও আপামর সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এ সময় তারা ওসমান হাদির খুনিদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানান। তারা বলেন, হাদি মরেনি। তিনি বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে। তার আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ও ব্যক্ত করেন তারা।
এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতাল থেকে ওসমান হাদির লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়নাতদন্ত শেষে ১১টা ৪৫ মিনিটে ফের নিয়ে আসা হয় হৃদরোগ হাসপাতালে। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে তার লাশ গোসল করানো হয়। সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দুপুর সোয়া ১টার দিকে হাদির লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স আসাদগেটসংলগ্ন সংসদ ভবনের গেট দিয়ে দক্ষিণ প্লাজায় আনা হয়। এ সময় পুরো রাস্তায় লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের পিছু পিছু ছুটতে দেখা যায় তার সহযোদ্ধাদেরও।
এদিকে জানাজায় অংশ নিতে সকাল থেকেই দলে দলে মানুষ মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে জড়ো হন। দুপুরের আগেই প্রশস্ত ওই সড়ক কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তাদের কারও মাথায় ছিল জাতীয় পতাকা বাঁধা, কেউ আবার গায়ে জড়িয়েছিলেন জাতীয় পতাকা। অনেকে স্লোগান দিচ্ছিলেন-‘আমরা সবাই হাদি হব যুগে যুগে লড়ে যাব’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’। খামারবাড়ি গোল চত্বরের সামনে দিয়ে আগতদের মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে ঢোকানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কাউকে সন্দেহ হলে তার দেহ তল্লাশি করা হয়। তবে এত বিপুলসংখ্যক মানুষকে তল্লাশি করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটে খুলে দেওয়া হয় সংসদ ভবনের প্রধান গেট।
যে সংসদে যাওয়ার জন্য ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনি মাঠে নেমেছিলেন হাদি, দুপুর ২টার দিকে তার নিথর দেহ প্রবেশ করে সেই সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায়। সেখানে তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন লাখো মানুষ। হাদির লাশ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর পরই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সেখানে পৌঁছান। এ সময় তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় বলেন, প্রিয় ওসমান হাদি, তোমাকে আমরা বিদায় দিতে আসিনি এখানে। তুমি আমাদের বুকের ভেতরে আছো; চিরদিন, বাংলাদেশ যতদিন আছে, তুমি সব বাংলাদেশির বুকের মধ্যে থাকবে। এটা কেউ সরাতে পারবে না। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা আজকে তোমাকে বিদায় দিতে আসিনি। আমরা তোমার কাছে ওয়াদা করতে এসেছি। তুমি যা বলে গেছ, সেটা যেন আমরা পূরণ করতে পারি। সেই ওয়াদা করার জন্য আমরা একত্র হয়েছি।
এর আগে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন এবং ওসমান হাদির জীবনী পড়ে শোনান। পরে হাদির পরিবারের পক্ষে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের আবেগঘন বক্তৃতা করেন। এরপর বক্তব্য দেন হাদির বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিক। তিনি বলেন, হাদি ছিল ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোট। অথচ এখন তার লাশ আমার কাঁধে। তিনি বলেন, আমাদের একটাই দাবি। ৭ থেকে ৮ দিন হয়ে গেল, খুনি যদি পার পেয়ে যায়, এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই। তারা কেমন করে গেল, এই প্রশ্ন জাতির কাছে রেখে গেলাম। ওসমান হাদির রেখে যাওয়া আট মাসের শিশু সন্তানের কথা স্মরণ করে তার বড় ভাই বলেন, এই আট মাসের সন্তানকে তিনি রেখে গেছেন। সন্তানের নামকরণের আগে ওসমান হাদি আমাকে যা বলেছিলেন, সেই স্মৃতি আজ বারবার মনে পড়ছে। তার বক্তৃতার সময় ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে দেখা যায় হাজারো মানুষকে। আবার অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের পর বেলা আড়াইটার দিকে হাদির জানাজা শুরু হয়। এসময় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ছাড়াও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ের পাশাপাশি সংলগ্ন সড়কে। খামারবাড়ি থেকে আসাদ গেট, ধানমন্ডি থেকে মোহাম্মদপুর, পুরো এলাকাও জনসমুদ্রে পরিণত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন হাদির বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়াও উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা এবং তিন বাহিনী প্রধান অংশ নেন। পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, জুলাই যোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নেন।
জানাজা শেষে লাশবাহী গাড়ির সঙ্গে মিছিল করে জনতা রওনা হয় শাহবাগের দিকে। বিকাল ৩টা ২২ মিনিটের দিকে শহীদ হাদির লাশ বহনকৃত অ্যাম্বুলেন্সটি সমাধিস্থলে পৌঁছে। ওই সময় শববাহী অ্যাম্বুলেন্সেই ছিলেন ডাকসুর ভিপি সাদিক কায়েম, এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলমসহ বেশ কয়েকজন ছাত্র ও রাজনৈতিক নেতা। তাদের কেউ অ্যাম্বুলেন্সের সামনের সিটে, কেউবা অ্যাম্বুলেন্সের ছাদে বসেই সমাধিস্থলে আসেন।
এদিকে ওসমান হাদির দাফনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই শাহবাগ মোড়, টিএসসি, ঢাবি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, জাতীয় কবির সমাধিস্থল ও চারুকলা এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে ফেলা হয়। এ সময় সাধারণ মানুষের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়। পুলিশ-বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা পুরো এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবস্থান নেন। যখন ওসমান হাদির লাশবাহী কফিন জাতীয় কবির সমাধিস্থলের ভেতরে আনা হয়, তখন সমাধিস্থলের ভেতরে থাকা ওসমান হাদির পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের পাশাপাশি ঢাবি প্রশাসনের সদস্য, শিক্ষকসহ রাজনৈতিক দলের নেতারা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
হাদির দাফন সম্পন্ন হয় ৩টা ৫১ মিনিটে। ৩টা ৫৭ মিনিটে ওসমান হাদির বড় ভাই মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক ওসমান হাদির কবরের পাশে দাঁড়িয়ে মোনাজাত করেন। এ সময় পুরো সমাধি এলাকায় উপস্থিত জনতা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ছোট ভাইয়ের জন্য মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক মোনাজাতের সময় কবরের খানিকটা দূরে বসে বিলাপ করতে দেখা যায় ওসমান হাদির এক বোনকে। সরেজমিন দেখা যায়, ভাইয়ের জন্য বোন বারবার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন। তাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে অন্য স্বজনরাও বিলাপ করছিলেন। মোনাজাত শুনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক সদস্যও কান্নায় ভেঙে পড়েন।
দাফনের সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওসমান হাদির শ্বশুর ও বোনসহ পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মামুন আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের নেতা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ আল জাবের, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, জাতীয় নাগরিক পার্টির শীর্ষ নেতা আখতার হোসেন, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম এবং আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ প্রমুখ।
দাফন শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান বলেন, শহীদ হাদির পরিবারকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সম্প্রসারিত পরিবারের অংশ হিসাবে বিবেচনা করে। আমরা মনে করি, তার পরিবার আজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় পরিবারেরই অংশ। এই কঠিন সময়ে ধৈর্য ও সাহসের সঙ্গে যে সহযোগিতা তারা করেছেন, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানটি কেবল একটি দাফনস্থল নয়, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সম্মান জানানোর একটি প্রতীক।
সমাধিস্থল দেখতে ভিড় : এদিকে দাফনের পরও সাধারণ মানুষের অনেকে সেখানে হাদির জন্য দোয়া করতে সমবেত হন। এর আগে দাফনের আগে সকাল থেকেই সেখানে অনেকে আসার চেষ্টা করেন। তবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার প্রশ্নে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ওই সময় কাউকে প্রবেশ করতে দেননি। চাঁদপুর থেকে আসা মাওলানা বিল্লাল হোসেন বলেন, বিপ্লবীর জানাজায় আসতে পেরে তিনি নিজেকে ধন্য মনে করছেন। নরসিংদী থেকে আসা আনোয়ারা বেগম জানালেন, তার নিজের আলেম ছেলের সঙ্গে হাদির সমাধিস্থল দেখতে এসেছেন। হাদি তার সন্তানের মতো জানিয়ে তিনি বলেন, হাদির কর্মজীবন ধারণ করতে পারলেই বাংলাদেশ আর কখনো পথ হারাবে না।
দাফন শেষে স্লোগানে উত্তাল শাহবাগ : শরিফ ওসমান বিন হাদিকে শেষ বিদায় দিয়ে ফের শাহবাগে জড়ো হন ইনকিলাব মঞ্চসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা। বিকাল ৪টা থেকে তারা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এসময় হাদি হত্যার প্রতিবাদে ও দায়ীদের গ্রেফতার-বিচারের দাবিতে সেখানে অবস্থান নিয়ে ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা, ঢাকা’, ‘হাদির স্মরণে ভয় করি না মরণে’ ‘তাকবিরের স্মরণে, ভয় করি না মরণে’-এমন নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। তাদের একের পর এক স্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে ওঠে পুরো শাহবাগ এলাকা।
প্রসঙ্গত, ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির ওপর গুলি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেদিনই পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সোমবার এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে হাদিকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়; সেখানেই বৃহস্পতিবার রাতে মৃত্যু হয় এই জুলাইযোদ্ধার।