ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান বিন হাদির মরদেহ দেশে আনার পর জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে রাখা হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, হাদির মরদেহ এখানে রাখার ব্যাপারে আপাতত সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা আমাদের বলার পর আমরা প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। তবে পরিবর্তন হতে পারেও বলে আভাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিকে হৃদরোগ ইন্সটিটিউটে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের একজন কর্মকর্তা বলেন, হাদির মরদেহ এখানে রাখার কথা বলার পর আমরা আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কথা ছিল সিঙ্গাপুরের দ্য আঙ্গুলিয়া মসজিদে স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ১০টায় ওসমান হাদির জানাজা হবে। পরে তা সম্ভব হচ্ছে না জানিয়ে সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশের হাই কমিশন শুক্রবার এক ফেইসবুক পোস্টে বলেছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের ক্লিয়ারেন্স না পাওয়ায় তার জানাজা সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে না ।
এই জন্য হাইকমিশন দুঃখ প্রকাশ করছে। সিঙ্গাপুর প্রবাসী ভাইদের কে সিঙ্গাপুর এর আইনের প্রতি সম্মান দেখানোর অনুরোধ জানাচ্ছি উল্লেখ করে ইনকিলাব মঞ্চ জানিয়েছে, বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে হাদির কফিন দেশে আনা হয়েছে। স্থানীয় সময় বিকাল ৩ টা ৫০ মিনিটে ফ্লাইট ছেড়ে ঢাকায় নামে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে।
সেখান থেকে তার কফিন নেওয়া হবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে। জাতীয় পতাকা মোড়া হাদির কফিনের একটি ছবিও ফেইসবুকে প্রকাশ করেছিল ইনকিলাব মঞ্চ। হাদির মরদেহবহনকারী গাড়িটি বিমানবন্দর ৮নম্বর গেইট থেকে বের হয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে হাতিরঝিলের সড়কে উঠবে। এরপর এফডিসির পাশের রাস্তার দিয়ে মগবাজার হয়ে হাই কোর্ট ও দোয়েলচত্বর এবং টিএসসির পাশ দিয়ে ঢাকা বিশ্বববিদ্যায়লের কেন্দ্রীয় মসজিদে পৌঁছাবে।
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর সোয়া ২টার দিকে রাজধানীর বিজয়নগর পানির ট্যাংকির সামনে রিকশায় করে যাওয়ার সময় ওসমান হাদির উপর আক্রমণ হয়। ওই সময় মোটরসাইকেলে করে এসে দুজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। একপর্যায়ে পরিবারের ইচ্ছায় তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এরপর সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) তার চিকিৎসা চলে এবং সেখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।