চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপ-উপাচার্য একাডেমিক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খানের পদত্যাগ দাবিকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ দাবিকে ঘিরে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের পাল্টাপাল্টি অবস্থান দেখা গেছে।
সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবন এলাকায় পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেয়। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে উপ-উপাচার্যের বক্তব্যের প্রতিবাদে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে তালা দেয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে চলমান আন্দোলনের মধ্যস্থতা করতে ঘটনাস্থলে আসেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) ইব্রাহিম হোসেন রনি ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস) সাঈদ বিন হাবিব। দুই পক্ষের আলোচনার মধ্যেই ছাত্রদল ও বাম সংগঠনের নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে ‘পাকিস্তানের দালালেরা হুঁশিয়ার, সাবধান’ স্লোগান দেওয়া হলে উত্তেজনা তৈরি হয়।
এরপর প্রশাসনিক ভবনের পাশেই অবস্থান নেয় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা এবং তারা পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করে।
ক্যাম্পাসের সার্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. হোসেন শহীদ সরওয়ার্দী বলেন, আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
এর আগে, গত শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চবি প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণের দিন নির্ধারিত ছিল। তারা (পাকিস্তান সেনাবাহিনী) ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তারা জীবিত না মৃত অবস্থায় ফিরবে- সে বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা ছিল না। এমন পরিস্থিতিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করবে- এই ধারণা রীতিমতো অবান্তর। ’
তিনি আরো বলেন, ‘এটি একটি আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। এই দেশকে অন্য একটি দেশের করদরাজ্যে পরিণত করার লক্ষ্যেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছে।'