Image description

মাদারীপুরের কালকিনিতে রাতের আধারে এক নারীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে গণধোলাইয়ের শিকার সেই স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. রেজাউল ওরফে কমিশনারকে শালিশ বৈঠকে ২০ বার জুতাপেটা ও নগদ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে স্থানীয় মাতবররা।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে পৌর এলাকার জনারদরদ্দি গ্রামে শালিশ বেঠকে তাকে এ শাস্তি দেওয়া হয়।

এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার জনাদরদ্দি গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ও সাবেক পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মো. রেজাউল করিম গত মঙ্গলবার রাতে একই গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে এক নারীর ঘরের পাশে গিয়ে উত্ত্যক্ত করে। এ বিষয়টি টের পেয়ে ওই নারীর স্বামী রেজাউলকে আটক করে। পরে তাকে ওই বাড়ির লোকজন মিলে উত্ত্যক্তের অভিযোগ এনে গণধোলাই দেয়। এ সময় তিনি গণধোলাই খেয়ে দিশেহাড়া হয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

পরে গত বুধবার সকাল থেকে ওই গণধোলাইয়ের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। শনিবার রাতে স্থানীয়ভাবে মাতুব্বরা শালিস বৈঠক করে স্বেচ্ছাসেবক দল রেজাউল করিমকে জুতাপেটা ও জরিমানা করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগীর এক ভাই জানান, রেজাউল বাড়িতে ঢুকে বোনকে উত্ত্যক্ত করায় তাকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে। পরে তাকে জুতাপেটা দিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। 

 

 

ইলিয়াস হোসেন নামে এক যুবদল নেতা জানান, স্থানীয় মোশারফসহ কয়েকজনের নেতৃত্বে শালিস বৈঠক হয়। সেখানে রেজাউলেকে জুতাপেটা ও জরিমানা করা হয়।

এ বিষয় জানতে চাইলে অভিযুক্ত স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রেজাউল করিম বলেন, আমি পাওনা টাকা চাইতে গেলে রুস্তমসহ বেশ কয়েকজন মিলে যড়যন্ত্রের করে আমাকে মারধর করেছে। এ বিষয় শালিসের মাধ্যমে সমাধান হয়েছে।

 

এ বিষয় কালকিনি থানার এসআই সুজন জানান, বিষটি আমরা জেনেছি। শালিস করে সমাধান হয়েছে।