Image description
সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ১৭ মামলা

রপ্তানি বাণিজ্যের আড়ালে বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমান প্রায় এক হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এই কোম্পানিগুলো বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে পণ্য রপ্তানি করলেও নির্ধারিত সময়ে রপ্তানিমূল্য দেশে ফেরত আনেনি। ফেরত না আনা বিপুল পরিমাণ অর্থ রেখে দেওয়া হয়, যা আইনের ভাষায় অর্থ পাচার হিসাবে গণ্য হবে। মূলত বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে রপ্তানিকৃত এই বিপুল অঙ্কের অর্থ দিয়ে আসামিরা বিদেশে ভোগবিলাস ও সম্পদ অর্জনের কাজে ব্যয় করেন। সিআইডির তদন্তে উঠে এসেছে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য। ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বেক্সিমকোর ১৭টি রপ্তানিনির্ভর প্রতিষ্ঠান এলসির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকার পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে। নিয়মানুযায়ী চার থেকে ছয় মাসের মধ্যে রপ্তানিমূল্য দেশে ফেরত আনার কথা। কিন্তু তা করা হয়নি। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অর্থ পাচারের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা করে সিআইডি।

সম্প্রতি এসব মামলার তদন্ত শেষে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এতে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে তার ভাই ও ছেলেসহ ২৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। বাকিরা সংশ্লিষ্ট কোম্পানির বিভিন্ন কর্মকর্তা। তদন্তে দেখা গেছে, মোট পাচারের পরিমাণ ৮ কোটি ৮ লাখ ১৭ হাজার ৯৮৯ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৯৮৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা।

ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের ডিসি মিয়া মোহাম্মদ আশিস বিন হাছান যুগান্তরকে বলেন, তদন্ত শেষে ১৭ মামলায় আদালতে অভিযোগ পত্র জমা দেওয়া হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

এ বিষয়ে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন যুগান্তরকে বলেন, সালমান এফ রহমানের মতো অর্থ পাচারকারীরা দেশ ও জাতির শত্রু। ফ্যাসিস্ট হাসিনার প্রত্যক্ষ মদদে এভাবে দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা হয়। তিনি বলেন, তাদের বিরুদ্ধে করা অর্থ পাচার মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করে সাজা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আইনি লড়াই চালিয়ে যাব।

স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মার্কিন ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্কাইনেট অ্যাপারেলস লিমিটেডের বৈদেশিক বাণিজ্যের (রপ্তানি) আড়ালে প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের ২৭ জুন থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি এলসি গ্রহণ করে। তবে এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও রপ্তানিমূল্য ২৬ লাখ ৪৪ হাজার ৯৯২ মার্কিন ফেরত আনেনি। তদন্ত শেষে এ মামলায় সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে।

আরমান ফ্যাশন লিমিটেডের মাধ্যমে ১ লাখ ২০ হাজার ডলার পাচার : আরমান ফ্যাশন লিমিটেড বেক্সিমকো গ্রুপের বাংলাদেশ এক্সপার্ট ইমপোর্ট কোম্পানি। ২০২২ সালের ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তিনটি এলসি গ্রহণ করে। তবে এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় পার হলেও এক লাখ ২০ হাজার ৫১৩ মার্কিন ডলার ফেরত আনেনি। এ মামলার তদন্ত শেষে দুই প্রতিষ্ঠান ও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে সিআইডি।

অটাম লুপ এপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ২৮ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার পাচার : ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর থেকে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনটি এলসির মাধ্যমে ২৮ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি করে বেক্সিমকো গ্রুপের করপোরেট গ্যারান্টেড প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ এপারেলস লিমিটেড। তবে এটার বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় পার হলেও ২৮ লাখ ৩২ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত আনেননি। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে তিন প্রতিষ্ঠান ও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

অ্যাপোলো এপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ২ কোটি ৩০ লাখ ডলার পাচার : ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অ্যাপোলো এপারেলস লিমিটেড ১৮টি এলসি গ্রহণ করেন। তবে এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় পার হলেও দুই কোটি ৩০ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত আনেননি। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে তিন প্রতিষ্ঠান ও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

এডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেডের মাধ্যমে ২৩ লাখ ২৮ হাজার মার্কিন ডলার পাচার : ২০২২ সালের ২৮ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডভেঞ্চার গার্মেন্টস লিমিটেড দুটি এলসি গ্রহণ করেন। এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময় পার হলেও ২৩ লাখ ২৮ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত আনেননি। এ মামলার তদন্ত শেষে তিন প্রতিষ্ঠান ও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।

পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টসের মাধ্যমে ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ১৭৬ মার্কিন ডলার পাচার : ২০২২ সালের ২৮ জুন থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিঙ্ক মেকার গার্মেন্টস তিনটি এলসি গ্রহণ করেন। তবে এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে রপ্তানিকৃত মূল্য ফেরত আনেননি। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ১৭৬ মার্কিন ডলার পাচার করেছে। তদন্ত শেষে তিন প্রতিষ্ঠান ও ছয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দেয় সিআইডি।

পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেডের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৯৮ হাজার মার্কিন ডলার পাচার : পিয়ারলেস গার্মেন্টস লিমিটেড দুটি এলসি গ্রহণ করে বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করে। তবে রপ্তানিকৃত মূল্য ফেরত আনেননি। আসামিরা বৈদেশিক বাণিজ্যের আড়ালে ১৯ লাখ ৯৮ হাজার মার্কিন ডলার পাচার করে।

মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেডের মাধ্যমে ২৯ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার পাচার : ২০২২ সালের ২৩ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মিডওয়েস্ট গার্মেন্টস লিমিটেড দুটি এলসি গ্রহণ করেন। তবে এর বিপরীতে পণ্য রপ্তানি করেও রপ্তানিকৃত মূল্য ফেরত আনেননি। এর ফলে আসামিরা ২৯ লাখ ৩৬ হাজার মার্কিন ডলার পাচার করেছে।

কাঞ্চনপুর এপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ২৯ লাখ ৭৯ হাজার মার্কিন ডলার পাচার : ২০২২ সালের ৩০ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কাঞ্চনপুর এপারেলস লিমিটেড তিনটি এলসি গ্রহণ করে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে। রপ্তানিকৃত পণ্যের বিপরীতে ২৯ লাখ ৭৯ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত না এনে তা পাচার করেছে।

কোজি এপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ১৯ লাখ ৬৪ হাজার মার্কিন ডলার পাচার : ২০২২ সালের ২৪ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোজি এপারেলস লিমিটেড তিনটি এলসি গ্রহণ করে বিদেশে পণ্য রপ্তানি করে। তবে এটার বিপরীতে রপ্তানিকৃত অর্থ ১৯ লাখ ৬৪ হাজার মার্কিন ডলার ফেরত না এনে তা পাচার করেন।

বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেডের মাধ্যমে ১ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বেক্সটেক্স গার্মেন্টস লিমিটেড ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ১৭টি এলসির মাধ্যমে ১ কোটি ৯০ লাখ ৩০ হাজার ২৩৬ মার্কিন ডলারের মূল্যবান পণ্য সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি করে অর্থ পাচার করে। মামলার তদন্ত শেষে পাচার করা প্রতিষ্ঠান ও ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি।

কসমোপলিটান এপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ২৯ লাখ ৯৭ হাজার ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান কসমোপলিটান এপারেলস লিমিটেড ২০২২ সালের ২৩ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২টি এলসির মাধ্যমে ২৯ লাখ ৯৭ হাজার মার্কিন ডলারের মূল্যবান পণ্য বিদেশে রপ্তানি করে নির্ধারিত সময়ে দেশে ফেরত না এনে সেই অর্থ পাচার করে। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে পাচার করা প্রতিষ্ঠান ও ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে সিআইডি।

স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্প্রিংফুল অ্যাপারেলস লিমিটেড ২০২২ সালের ২৬ জুলাই থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৬টি এলসির মাধ্যমে ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮৭৫ মার্কিন ডলারের মূল্যবান পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি করে। নির্ধারিত সময়ে রপ্তানির অর্থ দেশে ফেরত না এনে তা পাচার করে। এ মামলায় তদন্ত শেষে পাচার করা প্রতিষ্ঠান ও ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।

উয়িন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেডের মাধ্যমে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান উয়িন্টার স্প্রিন্ট গার্মেন্টস লিমিটেড ২০২২ সালের ২৮ জুন থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৩টি এলসির মাধ্যমে ২৩ লাখ ৯৬ হাজার ৬৬৪ মার্কিন ডলারের মূল্যবান পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময়ে দেশে প্রত্যাবাসন না করে অর্থ পাচার করে। এ মামলাটি তদন্ত শেষে পাচার করা প্রতিষ্ঠান ও ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।

ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়ার এন্ড এপারেলস লিমিটেডের মাধ্যমে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল নিটওয়ার এন্ড এপারেলস লিমিটেড ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এলসির মাধ্যমে ৪৫ লাখ ৪১ হাজার ২০৩ মার্কিন ডলারের মূল্যবান পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময়ে দেশে প্রত্যাবাসন না করে অর্থ পাচার করে। এ মামলাটি তদন্ত শেষে পাচার করা প্রতিষ্ঠান ও ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।

এসেস ফ্যাশন লিমিটেডের মাধ্যমে ৩৮ লাখ ২২ হাজার ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান এসেস ফ্যাশন লিমিটেড ২০২১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৭টি এলসির মাধ্যমে ৩৮ লাখ ২২ হাজার ১৮৭ মার্কিন ডলারের মূল্যবান পণ্য রপ্তানি করে নির্ধারিত সময়ে দেশে প্রত্যাবাসন না করে অর্থ পাচার করে। এ ঘটনায় মামলাটি তদন্ত শেষে পাচার করা প্রতিষ্ঠান ও ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।

প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেডের মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬ হাজার ডলার পাচার : বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিষ্ঠান প্লাটিনাম গার্মেন্টস লিমিটেড ২০২২ সালের ২৮ জুন থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এলসির মাধ্যমে ১৮ লাখ ৬ হাজার ১৪৩ মার্কিন ডলারের মূল্যবান পণ্য সংযুক্ত আরব আমিরাতে রপ্তানি করে নির্ধারিত সময়ে দেশে প্রত্যাবাসন না করে অর্থ পাচার করে। এ ঘটনায় তদন্ত শেষে পাচার করা প্রতিষ্ঠান ও ৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।

এদিকে উল্লিখিত ১৭টি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন-বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান। তিনি কারাগারে আছেন। এছাড়া তার ভাই এএসএফ রহমান, সালমানের ছেলে আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান, সোহাইলের ছেলে আহমেদ শাহরিয়ার রহমান, আনোয়ারুল বাশার, নাসরিন আহমেদ, আরমান ফ্যাশন লিমিটেডের এমডি হেলাল, শাহিদা রহমান, ওয়াসিউর রহমান, সৈয়দ ফরিদুজ্জামান, কামরুন নাহার নাসিমা, কাজী উম্মে কুলসুম মৈত্রী, রুম্মান আহমেদ ফাহিম খান, কোহিনুর আবেদিন, মোহাইমিনুল ইসলাম, রেজিয়া আক্তার, মাহফুজুর রহমান খান, সৈয়দ তানবীর এলাহি আফেন্দী, মাশরুকা খানম, সাইফুর রহমান, মোহাম্মদ আলিফ ইবনে জুলফিকার, নুসরাত হায়দার, আবু নাঈম মোহাম্মদ সালেহীন, মোস্তাফিজুর রহমান তানভীর, সাজিয়া জামান, পরিচালক খাদিজা বিনতে আলম, আহমদ জালাল খান মজলিস ও ইমরান খান।