ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুর মৃত্যু থামছে না। গত এক সপ্তাহে ১৪ জন মারা গেছে ক্ষুদ্র এই প্রাণীটিতে। এ ছাড়া সারা দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ২ জনের প্রাণ গেছে। চলতি বছরে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৯৬ জনে। সবচেয়ে বেশি মারা গেছে রাজধানীর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ১৮৩ জন। উত্তর সিটিতে ৬৭ জন মারা যায় ডেঙ্গুতে। ঢাকার বাইরে বেশি মারা গেছে বরিশাল বিভাগে ৪৭ জন, চট্টগ্রামে ৩১ জন মারা যান ডেঙ্গুতে। সরকারি হিসাবে এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৯৮ হাজার রোগী। তবে বেসরকারি হিসাবে এই সংখ্যা আরও বেশি হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ডিসেম্বরেও ডেঙ্গুর চোখ রাঙানি থাকবে বলে আগেই সতর্ক করেন দেশের কীটতত্ত্ববিদরা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, একদিনে ডেঙ্গুতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন নতুন ৫১৬ জন ডেঙ্গু রোগী। গত ২৪ ঘণ্টায় যারা ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ৪৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৬ জন, ঢাকা বিভাগের অন্যান্য জেলায় ৯৬ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ১২৭ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৭৫ জন, খুলনা বিভাগে ৬ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৮ জন, রাজশাহী বিভাগে ৩১ জন, রংপুর বিভাগে ৫ জন, সিলেট বিভাগে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪০ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছর আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত ছাড়পত্র পেয়েছেন ৯৫ হাজার ৭৪৪ জন।
গত ১লা জানুয়ারি থেকে ৭ই ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে মোট ডেঙ্গু আক্রান্ত ৯৭ হাজার ৮২৯ জন বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৪ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী। মৃত্যুর পরিসংখ্যান বিশ্লেষণে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসে মারা গেছে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিল মাসে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন, জুন মাসে ১৯ জন, জুলাইতে মারা গেছেন ৪১ জন, আগস্টে ৩৯ জন, সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুতে প্রাণ ঝরে ৭৬ জনের, অক্টোবরে ৮০ জন এবং নভেম্বরে এ বছরের সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় ১০৪ জনের। গত বছর ডেঙ্গুতে প্রাণ গেছে ৫৭৫ জনের এবং আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল এক লাখ এক হাজার ২১৪ জন।