সরবরাহ বাড়তে থাকায় শীতের সবজির দাম কিছুটা কমতে শুরু করলেও তাসন্তোষজনক নয়। বেশিরভাগ সবজির দাম দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে উচ্চ অবস্থানে স্থির রয়েছে। এছাড়া সরকারের অনুমতি ছাড়াই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল। নতুন মৌসুম শুরুর শেষ মুহূর্তে পেঁয়াজের দামও বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা।
শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে লম্বা বেগুন ৮০-১০০ টাকায় এবং গোল বেগুন বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা পর্যন্ত দামে। এই দাম এখন কমে লম্বা বেগুন ৭০-৮০ টাকা এবং গোল বেগুন ৮০-৯০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে এখন মোটামুটি দুই রকমের শিম পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে সবুজ শিমের দাম ৮০ টাকা থেকে কমে ৫৫-৬০ টাকায় নেমেছে। দাম কমেছে রঙিন শিমেরও। এই শিমের দাম ১০০-১২০ টাকা থেকে কমে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাঝারি আকারের প্রতিটি ফুলকপি এখন ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেছে বাঁধাকপির দামও। প্রতিটি বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকায়। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৪০-৫০ টাকা। একইভাবে দাম কমে আসছে টমেটোর। প্রতি কেজি টমেটোর দাম ১২০-১৪০ টাকা থেকে কমে মান ও বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকার মধ্যে।
এ ছাড়া শালগম প্রতি কেজি ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া প্রতি কেজি ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৪০ টাকা, নতুন আলু প্রতি কেজি ১২০ টাকা, পেঁয়াজের ফুল প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৯ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। একইভাবে ৫ লিটারের বোতলের দাম ৪৩ টাকা এবং দুই লিটারের বোতলের দাম বাড়িয়েছেন ১৮ টাকা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন গত বুধবার সাংবাদিকদের জানান, সরকারের অনুমতি ছাড়াই ব্যবসায়ীরা তেলের দাম বাড়াতে পারেন না। এটা আইনের ব্যত্যয়। আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে, আমদানি হচ্ছে না বলে নতুন মৌসুম শুরুর শেষ মুহূর্তে পেঁয়াজের দামও বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা। শেষ দুই-তিন দিনের ব্যবধানে কেজিতে দাম বেড়েছে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত। এখন প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দামে।
পেঁয়াজের ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ সংকটের কারণেই পুরনো পেঁয়াজের দাম বেড়েছে।
তবে বাজারে মুড়িকাটা নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। যদিও সেটা পরিমাণে খুব অল্প। আর পাতাসহ পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।
সবজি বিক্রেতারা বলছেন, শীতের সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এ কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। এতে করে বিক্রিও বেড়েছে।
তবে ক্রেতাদের দাবি মৌসুমে সবজির বাজার চড়াই রয়েছে। যে দাম কমেছে তা পূর্বের বছরগুলোর তুলোনায় অনেক ফারাক। ডিসেম্বরে শীতের সবজির দাম আগে কখনো এত ছিল না।
এদিকে, বাজারে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল ডিম-মুরগির দাম। ফার্মের মুরগির ডিমের দাম একেবারেই কম। গত তিন-চারদিন ধরেই প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হয়েছে ১১৫-১২০ টাকা দরে।
ব্রয়লার মুরগির দামও স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৭০ টাকার মধ্যে।
আমাদের সময়