পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা বিস্ফোরক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, কাশিমপুর কারাগার এবং কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন। সকাল থেকে কারাগার তিনটির সামনে বিডিআর সদস্যদের স্বজনরা তাদের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ফুল ও ফুলের মালা নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে দুপুর ১টার দিকে জামিনপ্রাপ্ত বিডিআর সদস্যরা একে একে বের হতে থাকেন। ধাপে ধাপে কারাগার থেকে বের হয়েই মুক্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানান তারা। এ সময় তাদের দেখে স্বজনরা দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরেন। কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই। এক আবেগঘন মুহূর্তের সৃষ্টি হয়। স্ত্রী-সন্তান বা স্বজনদের জড়িয়ে ধরে বার বার কান্নায় ভেঙে পড়ছিলেন বিডিআর সদস্যরা। সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বজনরাও কাঁদতে থাকেন।
কারাগার থেকে বের হয়ে বিডিআর সদস্যরা বলেন, বিনা দোষে জীবন থেকে আমাদের ১৬টি বছর চলে গেছে। আমাদেরকে অন্যায়ভাবে ১৬টি বছর কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। এখন মুক্ত আকাশে বের হয়ে আমাদের ভালো লাগছে।
কারামুক্ত হয়ে আল আমিন নামে এক বিডিআর সদস্য বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতার থেকে নামাতে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। আমাদেরকে বিনা দোষে এত বছর ধরে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়। আজ আমরা কারামুক্ত। তবে এখনো আমাদের যেসব ভাইয়েরা বিনা দোষে কারাগারে রয়েছেন তাদেরকে দ্রুত মুক্ত করার ব্যবস্থা করুক সরকার।
এ বিষয়ে কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স-ঢাকা বিভাগ) মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুর থেকে সাবেক বিডিআর সদস্যদের কারামুক্তি শুরু হয়েছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৪৩ জন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ থেকে ২৭ জন, কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে ৯৫ জন ও কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার হতে ১৩ জনসহ সর্বমোট ১৭৮ জন সাবেক বিডিআর সদস্য আজ পর্যায়ক্রমে কারামুক্ত হয়েছেন।