মরদেহে থাকা রশির সূত্র ধরে ফরিদপুরে শিশু জায়ান এর সন্দেহভাজন হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের পাঁচ দিনের মাথায় জড়িত সন্দেহে মো. ইউনুস মোল্যা (৪৬) নামের ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ইউনুস শিশু জায়ান রহমানের প্রতিবেশী।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ইউনুস মোল্যাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ফরিদপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. শাহজালাল আলম। এর আগে সোমবার তার নিজবাড়ি থেকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
গ্রেপ্তারকৃত ইউনুস মোল্লা ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের মৃত মনির উদ্দিন মোল্যার ছেলে।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামের গ্রীস প্রবাসী পলাশ মোল্যার ছেলে জায়ান রহমানের ঝুলন্ত মরদেহ বাড়ির পাশের একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই দিনই নিহতের মা সিনথিয়া বেগম অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র হয়ে ওঠে শিশুটির গলায় পেচানো রশিটি। ওই রশির আলামত ধরে তদন্তে অগ্রসর হতে থাকে ও পাশের টাবনী বাজারের একটি মুদি দোকান থেকে রশিটি ক্রয়ের তথ্য পায়। সেই তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনার ১০ থেকে ১৫ দিন আগে শিশু জায়ানের প্রতিবেশী মো. ইউনুস মোল্লা টাবনী বাজারের মুদি দোকানি মফিজ খানের কাছ একটি রশি কিনেছিলেন। সেই রশির সঙ্গে উদ্ধার হওয়া রশির হুবহু মিল রয়েছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে ইউনুস মোল্যাকে সন্দেহের তালিকায় এনে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক সুজন বিশ্বাস জানান, মামলার তদন্ত ও হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের জন্য আগামীকাল বুধবার আদালতে রিমান্ড আবেদন জানানো হবে।