চট্টগ্রামের ‘সন্ত্রাসী’ সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদকে রাজশাহী কারাগারে এবং তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিনকে ফেনী কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। গত সপ্তাহে তাঁদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পৃথক কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বিষয়টি গতকাল সোমবার জানাজানি হয়।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল হোসেন আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার স্বার্থে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তাঁর স্ত্রীকে পৃথক কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ মার্চ ঢাকার একটি শপিং মল থেকে সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১৭টি মামলা রয়েছে। তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর তাঁর স্ত্রী তামান্না শারমিন ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বলেন, স্বামীকে ‘বান্ডিল বান্ডিল টাকা ছেড়ে’ ছাড়িয়ে আনবেন। তাঁর পোস্টটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ তামান্নাকেও পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার করে।
ছোট সাজ্জাদ বিদেশে পলাতক ‘শিবির ক্যাডার’ হিসেবে পরিচিত সাজ্জাদ আলী খানের শিষ্য। ছোট সাজ্জাদ কারাগারে যাওয়ার পর তাঁর অনুসারী মোহাম্মদ রায়হান ও মোবারক হোসেন চট্টগ্রাম শহর ও রাউজানে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। সাজ্জাদ আলীর প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ‘সন্ত্রাসী’ সরোয়ার বাবলাকে ৫ নভেম্বর বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লার গণসংযোগে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলে নিহত হন সরোয়ার। এরশাদ উল্লাহসহ আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় করা মামলায় বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ; রায়হান ও মোবারককে আসামি করা হয়েছে।
এর আগে ৩০ মার্চ নগরের বাকলিয়া এক্সেস রোডে একটি প্রাইভেট কার লক্ষ্য করে গুলি করা হলে ঘটনাস্থলে দুজন মারা যান। পরে এই ঘটনায় গ্রেপ্তার আসামিরা পুলিশকে জানায় সরোয়ারকে লক্ষ্য করেই গুলি করা হয়েছিল, কিন্তু তিনি ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান। সাজ্জাদের নির্দেশেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে বলে জানায় পুলিশ।
চট্টগ্রাম কারাগারে বসেই মুঠোফোনে নিজ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে ছোট সাজ্জাদ যোগাযোগ করে আসছিলেন এমন অভিযোগ রয়েছে। তবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার ইকবাল হোসেন বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।