এ যেন সিনেমাকেও হার মানানোর গল্প। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ট্রং ভল্টের তালা ভেঙে অস্ত্র চুরির ২০ দিন মাথায় ওই ভল্টেই মিলল বেশ কিছু অস্ত্র। কীভাবে অস্ত্র গায়েব হলো আবার কীভাবেই বা একই ভল্টে ফিরে এলো তা নিয়ে কোনো উত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে।
১৯ নভেম্বর সন্ধ্যা। বিমানবন্দরের আমদানি কুরিয়ারের সামনে পুলিশের গাড়ি, ভেতরে কয়েকটি সংস্থার উপস্থিতিতে চলছে বস্তায় থাকা পণ্যর তালিকা তৈরির কাজ। সময় সংবাদের কয়েকদিন নজরদারির পর এদিন দেখা গেল, নতুন করে স্ট্রং ভল্টের মালামালের তালিকা করা হচ্ছে।
ঘটনার এতদিন পর আবারও কিসের তালিকা তৈরি হচ্ছে? দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর জানা যায়, সেই বস্তায় ছিলে কয়েকটি পিস্তল ও বেশ কিছু অস্ত্রের ভাঙা অংশ। এদের মধ্যে ব্যারেট্টা মডেলের পিস্তল ও অন্যান্য মডেলের বেশ কিছু অস্ত্র। এসবই হারিয়েছিল সে সময়। প্রশ্ন হলো অস্ত্র কি এখানেই ছিল, নাকি গায়েব করার পর আবারও ভল্টে যত্ন করে রেখা দেয়া হয়েছে?
এবার একটু পেছনে ফিরতে চায় সময় সংবাদ। গত ২৯ অক্টোবর বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বিমান কর্তৃপক্ষ। যাতে বলা হয়, ভল্টের তালা ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়।
গত ১০ নভেম্বর সময় সংবাদে প্রচার হওয়া রিপোর্টে তুলে ধরা হয় ওই ভল্টে ছিল এম/এস গানম্যাক্স কোম্পানির আমদানি করা একাধিক অস্ত্র। কিন্তু কোনো সংস্থা এ বিষয়ে সে সময় সঠিক তথ্য দেয়নি। তবে অস্ত্র ব্যবসায়ী মো. ফসাল কবির জানান- যেসব অস্ত্র এখন পাওয়া গেছে, সেগুলোর মধ্যে তার অস্ত্রও রয়েছে। তার দাবি, ১৬টি পিস্তলের খবর তাকে জানানো হলেও এখনো মেলেনি ২০ হাজার বুলেট।
গত ১৮ অক্টোবর বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। একমাস পেরোলেও বিমাবন্দরের অগ্নিদগ্ধ স্থান এমনকি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে উদাসীনতা লক্ষ্যণীয়। দিনের আলোতে বাহিনীগুলোর নিয়মিত টহল জারি থাকলেও রাত হলেই ভূতুড়ে পরিবেশ কুরিয়ার সেকশন জুড়ে। সন্দেহভাজন মানুষের আনাগোনা আর টাকা পয়সার লেনদেন নানা প্রশ্ন জন্ম দেয়। এমনকি স্ট্রং ভল্টটি যেখানে ছিল তার ১০০ মিটারের মধ্যে দেয়ালের অংশ ভাঙাতো বটেই পুরো দেয়াল জুড়ে থাকলেও কিছু অংশে নেই কাটাতারের বেড়াও।