শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ৫ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এটাকে দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে উল্লেখ করেছেন বিশ্লেষকরা।
এর আগে সর্বশেষ চলতি বছরের ২১ সেপ্টেম্বর দেশের অভ্যন্তরে ভূমিকম্প হয়। সেদিন দুপুর ১২টা ১৯ মিনিটে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এটির উৎপত্তিস্থল ছিল সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলা। ঢাকা থেকে উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ১৮৫ কিলোমিটার।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসের আজ ২১ তারিখ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে ১৯টি ভূমিকম্প হয়।
এর মধ্যে শুধু গত ১৪ মাসে (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত হয়েছে ১১টি ভূমিকম্প। এছাড়া ২০২৪ সালে ১২টি ভূমিকম্প হয়। আর চলতি ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসের ২১ তারিখ পর্যন্ত দেশে ৭টি ভূমিকম্প হয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পগুলোর মধ্যে সিলেটেই ঘটেছে সর্বাধিক ৮টি। এছাড়া দিনাজপুরে ২টি, রংপুরে ২টি, পাবনায় ১টি, কুমিল্লায় ১টি, শরীয়তপুরে ১টি এবং টাঙ্গাইলে ১টি, রাঙ্গামাটিতে ১টি, চুয়াডাঙ্গায় ১টি ভূমিকম্প হয়েছে। এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্প ছিল শরীয়তপুর জেলার জাজিরা উপজেলায়, ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকা থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪.১।
তবে ২০২৪ সালের ১৭ অক্টোবর এরপর আজ ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
শুক্রবার ভূমিকম্প পরবর্তী পরিস্থিতি জানতে ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক হুমায়ুন আখতারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে স্মরণকালে এত বড় ভূমিকম্প হয়নি। এটাকে দেশের ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।