Image description
 

জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারে কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর।

আবেদনটির শুনানি শেষে বুধবার (২২ জানুয়ারি) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
 
এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসানের পক্ষ থেকে আবেদনটি করা হয়।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার ও ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধন করে জারি করা অধ্যাদেশ চ্যালেঞ্জ করা হয়েছিল। আমরা বলেছি, এটা (আবেদন) করলে সাংবিধানিক আদালত তথা হাইকোর্টে করতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তথা এই ফৌজদারি কোর্টে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই।’

এছাড়া আবেদনকারীরা বর্তমান সরকারের বৈধতাও চ্যালেঞ্জ করেছেন উল্লেখ করে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘সেক্ষেত্রেও আমরা বলেছি, এটি এখানে চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ নেই।’

তাজুল ইসলাম আরও বলেন, ‘এছাড়া আমরা বলেছি, যুদ্ধাপরাধ বা মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে থাকবে, তার কোনও মৌলিক অধিকার থাকবে না। তার বিচারের জন্য করা কোনও আইন যদি সংবিধানের কোনও অনুচ্ছেদের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণও হয়, সেটা চ্যালেঞ্জ করা যাবে না। সাংবিধানিকভাবে এক্ষেত্রে সুরক্ষা দেওয়া আছে। এছাড়া ট্রাইব্যুনালের সংশোধিত আইনে গুমের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে, যেটি তারা চ্যালেঞ্জ করেছে।’

‘আমরা দেখিয়েছি, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এটি বিচারের সুযোগ আছে। সেটি আগে বা পরে যখনই হোক না কেন। সর্বোপরি মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ট্রাইব্যুনালের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে আসামির খালাস চেয়ে তারা আবেদন করেছিলেন। আমরা সে আবেদন সরাসরি খারিজের পাশাপাশি এ ধরনের আবেদন করায় তাদের (কস্ট) জরিমানা করার আবেদন জানিয়েছি’, বলেন তাজুল ইসলাম জানান।
 
প্রসঙ্গত, গত জুলাই-আগস্টে গড়ে ওঠা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে আওয়ামী লীগ সরকার, দলীয় ক্যাডার ও সরকারের অনুগত প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ তোলা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পুনর্গঠিত করা হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।