জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মাহামুদুর রহমান সৈকতের বোন সাবরিনা আফরোজ সেবন্তী বলেছেন, আমরা শুধু এই রায়েই চুপ থাকতে চাই না। আমাদের দাবি, তাকে (শেখ হাসিনা) দেশে এনে জনসম্মুখে ফাঁসি দেওয়া হোক।
কারণ, সে যা করেছে, আমার ভাইকে এবং বাকি অনেক মায়ের বুক খালি করেছে, তাদের সন্তানদের হত্যা করেছে। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত থামব না, যতক্ষণ পর্যন্ত তার শেষ না দেখি। আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের লড়াই চালিয়ে যাব।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সেবন্তী বলেন, শহীদ পরিবার হিসেবে অবশ্যই আমরা প্রত্যাশা করি, সর্বোচ্চ শাস্তি হবে, ফাঁসি হবে। তবে আদালত যদি মনে করেন যে খুনের ন্যায়বিচার ফাঁসি, তবে ফাঁসিই দেবেন।
আদালত যদি অন্য কিছু মনে করেন, আমরা সেটা বিজ্ঞ আদালতের ওপর ছেড়ে দিচ্ছি। আমরা জোর দিয়ে বলব না যে আমরা ফাঁসিই চাই। আমরা চাই যেটা ন্যায়বিচার, যতটুকু তার প্রাপ্য ততটুকু শাস্তি তাকে দেওয়া হোক।
তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি, তার যদি সেই সৎ সাহসটা থাকত, তবে সে দেশে এসে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াত। তার সেই সৎ সাহস নেই। সে নিজেও জানে, সে কী পরিমাণ দোষী এবং সে যা যা করেছে, তার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। এ জন্যই তার সৎ সাহস নেই। সে আদালতে কাঠগড়ায় আসার মতো সাহস পাচ্ছে না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই রাজধানীর মোহাম্মদপুরের নূরজাহান রোডে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন মাহামুদুর রহমান সৈকত।
মাহামুদুর রহমান সৈকতের মৃত্যুর পর তার বাবা মাহাবুবের রহমান মামলা করতে চাননি। তবে আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ায় ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট তিনি বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মামলা করেন।
এ মামলায় শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও পুলিশ সদস্যদের আসামি করা হয়।
শীর্ষনিউজ