Image description

‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি পালন করছেন বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডার প্রভাষক পরিষদ। এতে সরকারি কলেজগুলোতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকাল থেকে চট্টগ্রামের কলেজগুলোতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের প্রভাষকরা এ কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে রোববার (১৬ নভেম্বর) সকাল ৯ টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করের তাঁরা। যার কারণে কলেজগুলোতে কোনও ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি।

চট্টগ্রাম কলেজ, সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ও সরকারি সিটি কলেজে কর্মরত প্রভাষকরা জানান, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিতর্কিত ও বিধিবহির্ভূত আদেশের কারণে সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা। ৩২তম থেকে ৩৭তম বিসিএস ব্যাচের কয়েক হাজার পদোন্নতি প্রত্যাশী মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরলেও দেখার কেউ নেই। কারও কারও চাকরির বয়স একই পদে ১২ বছর পার হয়ে গেছে। এই সমস্যাগুলো মন্ত্রণালয়কে সমাধানের দাবি জানালেও কর্তৃপক্ষের সাড়া নেই। দীর্ঘ অপেক্ষা, অনিশ্চয়তা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ কর্মকর্তারা আন্দোলনে নেমেছেন। এখন চলছে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচি।

সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, পদোন্নতি বঞ্চিত যোগ্য প্রভাষকদের সহকারী অধ্যাপক পদে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতির জিও জারির আগ পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।

এদিকে ‘নো প্রমোশন, নো ওয়ার্ক’ কর্মসূচির ফলে চট্টগ্রামের সরকারি কলেজগুলোতে দৈনন্দিন কাজে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। বেশিরভাগ বিভাগে বন্ধ রয়েছে পাঠদান। অনুষ্ঠিত হয়নি, ইনকোর্স, ক্লাস টেস্টসহ বিভিন্ন পরীক্ষা। 

সংশ্লিষ্ট শিক্ষকেরা জানিয়েছেন, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারে প্রভাষক থেকে সহকারী অধ্যাপক পর্যায়ের পদোন্নতি ১৭ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। সর্বশেষ পদোন্নতির জন্য চলতি বছরের ৪ জুন প্রথম দফায় ডিপিসি (ডিপার্টমেন্টাল প্রমোশন কমিটি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সেই বৈঠকের পর গত পাঁচ মাস পার হলেও কাউকে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি। আত্তীকৃত শিক্ষকদের মামলার অজুহাতে এ পদোন্নতি প্রক্রিয়া বন্ধ রাখে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

৩২তম ও ৩৩তম বিসিএস ব্যাচের চার শতাধিক প্রভাষক চাকরিতে যোগদানের এক যুগ পরও পদোন্নতি পাননি। এছাড়া ৩৪তম বিসিএস ১০ বছর, ৩৫তম বিসিএস ৯ বছর, ৩৬তম বিসিএস ৮ বছর, ৩৭তম বিসিএস ৭ বছর পার করলেও পদোন্নতি পাচ্ছেন না।