Image description
 

দিন দিন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আন্ডারওয়ার্ল্ড। একে অপরকে ঘায়েল করতে মরিয়া তারা। দীর্ঘদিন কারাগারে থাকায় প্রকাশ্যে করতে পারেনি চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ। ‘বিশেষ আশীর্বাদে’ কারামুক্ত হয়েই শীর্ষ সন্ত্রাসীরা সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে অপরাধ কর্মকা- চালিয়ে আসছে। হত্যাকা- ও চাঁদাবাজিতে লিপ্ত আছে কেউ কেউ।

 
 

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে একাধিক মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীরা জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে আসছে। এ নিয়ে ত্যক্ত-বিরক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার পেছনে আন্ডারওয়ার্ল্ড সরাসরি জড়িত। যারা দেশের বাইরে পালিয়ে আছে, তারাও বাংলাদেশে থাকা সহযোগীদের পরামর্শ দিচ্ছে। আর যে কারণে পুলিশ সদর দপ্তরে বিশেষ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

এদিকে শীর্ষ সন্ত্রাসীদের ছাড় না দিতে ইউনিটপ্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার এসপিদের কাছে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। এমনকি কোনো সন্ত্রাসী কারামুক্ত হলেই পুরনো মামলায় আবারও ধরার পরিকল্পনা নিয়েছে পুলিশ। মূলত আন্ডারওয়ার্ল্ড রুখতেই পুলিশ ভিন্ন কৌশল নিয়েছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র দেশ রূপান্তরকে জানিয়েছে।

 

মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও ঢাকা মহানগর পুলিশের নিউ মার্কেট জোনের একাধিক পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারসহ এলিফ্যান্ট রোড, নিউ মার্কেট ও আশপাশের এলাকা, ধানমন্ডির কিছু অংশের বিপণিবিতান, ইন্টারনেট, কেবল টিভির সংযোগ (ডিশ) ও ফুটপাতের চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ নিতেই সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসীচক্র নিজেদের শক্তির জানান দিতেই পরিকল্পিত হামলা চালিয়েছে।

 

মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের ব্যবসায়ী এহতেশামুলকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার সময় সন্ত্রাসী দলের ১৫ থেকে ২০ জনের মতো উপস্থিত ছিল। আশপাশের বিভিন্ন স্থানে আরও ২০ জনের মতো অবস্থান নিয়েছিল। মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের বিভিন্ন মার্কেটে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছেন এমন ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রায় সাড়ে চার মাস আগে থেকেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি চঞ্চলসহ কয়েকজন কয়েক দফায় মার্কেট পরিচালনা কমিটির কার্যালয়ে গিয়ে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের কথা বলে মার্কেট সংশ্লিষ্ট নানা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার বিষয়ে জানায়। মূলত এ ঘটনার পরই সন্ত্রাসীরা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের দোকানগুলোর ময়লার ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ বদলে যায়।

 

ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, কিছুদিন পর মামলার আরেক আসামি কালা জসিম যায় মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারে। সে ইমনের সেকেন্ড ইন কমান্ড মুন্নার নাম নিয়ে ইন্টারনেট সংযোগ, খাওয়ার পানি সরবরাহের ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নেওয়াসহ ক্যাশ টাকা দাবি করে। এগুলো না দিলে সমস্যা হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়। এরপরই হামলার ঘটনা ঘটে।

 

এ বিষয়ে নিউ মার্কেট থানার ওসি মোহসীন উদ্দিন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, ‘তদন্তাধীন মামলার বিষয়ে নো কমেন্টস। তদন্ত শেষ হবে তারপর কথা বলব।’

রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বসুন্ধরা শপিংমল এলাকায় ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা না পেয়ে গুলি, ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৫ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১১টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত ফাঁকা গুলি, ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপে করে পালিয়ে যায়। হঠাৎ এমন ঘটনায় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেদিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আকরাম। তিনি বলেন, ‘বসুন্ধরা শপিংমলের সামনে ফুটপাতে একটা ঝামেলা হয়েছে।’

এ ঘটনার বিষয়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দাদা পরিচয়ে এক ব্যক্তি ব্যবসায়ীদের বলেন কেউ চাঁদা চাইলে তাকে জানাতে। এর এক দিন পর এসে সেই ব্যক্তি নিজেই চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় গুলি, ককটেল ও পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। পেট্রোল বোমায় কয়েকটি দোকানের মালপত্র পুড়ে যায়। এ ছাড়া আরও কিছু দোকানের মালপত্র লুট করা হয়।

এ ছাড়া মিরপুর, মোহাম্মদপুর, ফার্মগেট এলাকায় ফুটপাত, রেস্তোরাঁসহ নানা স্থান-প্রতিষ্ঠানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর হানা আর উৎপাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। কিছু কিছু ঘটনায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভয়েই মুখ খুলছেন না অনেকে। অথচ ৫ আগস্টের পরে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যখন শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কারামুক্ত হচ্ছিল, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের নজরদারিতে রাখা হবে।

নজরদারি শুধু ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ আছে বলে মন্তব্য করেছেন সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ড. তৌহিদুল হক। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘এ ধরনের শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যখন মুক্তি দেওয়া হয়, তখন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাদের নজরদারিতে রাখা হবে। বাস্তব অবস্থা পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, এটা আসলে ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, নজরদারির মধ্যে না রাখলে শীর্ষ পর্যায়ের সন্ত্রাসীরা জামিনে বের হওয়ার পরে ভালো হয়ে যাবে, এই সরল বিশ্বাস রাখার তো কোনো সুযোগ নেই। সেই জায়গা থেকে নতুন করে অপরাধের পরিকল্পনা করেছে। নতুন করে দল গোছাচ্ছে, কেউ নতুন সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গড়ে তুলছে। এ রকমও হয়েছে, কেউ কেউ জামিনে বের হয়ে নতুন করে অপরাধে লিপ্ত হয়ে নতুন মামলায় আসামি হয়েছে। এ রকম দুজন শীর্ষ সন্ত্রাসীর নাম আমরা জেনেছি নানা মাধ্যমে। তারা চাঁদাবাজি, দখল, মাদক-বাণিজ্য ও অস্ত্র-বাণিজ্যের মতো অপরাধে যুক্ত হচ্ছে। এ ছাড়া একটি গ্রুপ অন্য একটি গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে যুক্ত হচ্ছে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে।’

এ ধরনের সন্ত্রাসীদের অপরাধ রুখতে তাদের ওপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির সঙ্গে রাজনৈতিক ছত্রছায়া যদি না দেওয়া মতো কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তৌহিদুল হক।

তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক কোনো ব্যক্তি বা দলের হয়ে কাজ করার যে প্রসঙ্গ, এ বাস্তবতাগুলোকে যদি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, তখন আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যে শতভাগ সক্রিয় হতে পারছে না, সেটা ফুটে উঠে। এ ধরনের সন্ত্রাসীরা যেন কোনো রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়া না পায় সেদিকে নজর রাখতে হবে আমাদের রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিদের।’

সংশ্লিষ্টরা দেশ রূপান্তরকে জানান, কয়েক মাস ধরে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশের ঊর্ধ্বতনরা দফায় দফায় বৈঠক করে চলেছেন। খুনখারাবি, চাঁদাবাজি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ বেড়ে গেছে আশঙ্কাজনকভাবে। পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে, আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সস্ত্রাসীরা কারামুক্ত হওয়ার পর থেকেই অপরাধের মাত্রা বেড়ে গেছে। প্রকাশ্য তারা অপরাধমূলক কর্মকা- চালাচ্ছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডকে রুখতে পুলিশ নানা কৌশল নিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে। যারা জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে এসেছে তাদের তালিকা করা হয়েছে। তাছাড়া সহযোগীদের তালিকা তৈরি করেছে পুলিশ। তালিকাটি সারা দেশের পুলিশের ইউনিটগুলোতে পাঠানো হয়েছে।  

পুলিশ সূত্র জানায়, সন্ত্রাসীদের তৎপরতা নিয়ে পুলিশের কয়েকটি ইউনিট প্রতিবেদন তৈরি করেছে। প্রতিবেদনটি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠিয়েছে। পুলিশের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে মালিবাগের সানরাইজ হোটেলে ডিবি পুলিশের দুই সদস্যকে হত্যার পর পালিয়ে যাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান দুবাইয়ে আত্মগোপন করে আছেন। টিপু হত্যাকা-ের পর তিনি আলোচনায় এসেছিলেন। দুবাইয়ে থাকলেও ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডে সবচেয়ে বেশি প্রভাব তার। জিসানের সহযোগী জাফর আহমেদ মানিক ওরফে ফ্রিডম মানিক ভারতে পালিয়ে আছেন। কিন্তু দেশে তার দখলবাজি, টেন্ডার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিতে নিয়ন্ত্রণ এখনো আছে। মোল্লা মাসুদ ও সুব্রত বাইন ভারতে থেকে সক্রিয় আছেন। তাদের সঙ্গে মোহাম্মদপুর এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, কিলার আব্বাস ও ইমনের ভালো যোগাযোগ আছে। তারা আবারও আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রায় ২০ বছর ধরে কারাগারে আটক ছিল হেলাল। তার বিরুদ্ধে আছে অন্তত এক ডজন মামলা। সব মামলায় জামিন হয়। ২০০১ সালের ২৬ ডিসেম্বর পুলিশ সদর দপ্তর ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষণা করে। তবে এই তালিকায় সুইডেন আসলামের নাম ছিল না। তাদের মধ্যে ১৩ জন বিদেশে আত্মগোপন করে আছে। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জামিনে মুক্ত হতে নানা চেষ্টা করেন। প্রথমে কারাগার থেকে মুক্ত হয় কিলার আব্বাস। আরও মুক্ত হয় সুইডেন আসলাম, মোহাম্মদপুরের ইমামুল হাসান হেলাল ওরফে পিচ্চি হেলাল, হাজারীবাগ এলাকার সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমন, খন্দকার নাঈম আহমেদ ওরফে টিটন ও খোরশেদ আলম ওরফে রাসু ওরফে ফ্রিডম রাসু।

দেশের বাইরে থাকা সন্ত্রাসীরা নিজেদের সহযোগীদের মাধ্যমে নতুন করে আধিপত্য বিস্তারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। এমনকি কারাগারে থাকা সন্ত্রাসীরাও সহযোগীদের নানা বিষয়ে বার্তা দিচ্ছে। যারা বের হয়েছে তারাও নতুন মেরূকরণে নেমেছে। এখনই তাদের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে বড় ধরনের ‘ঘাপলা’ হওয়ার আশঙ্কা আছে।

নাম প্রকাশ না করে পুলিশ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা দেশ রূপান্তরকে বলেন, ১৬ বছর ধরে আন্ডারওয়ার্ল্ডের শীর্ষ সন্ত্রাসীরা ইচ্ছা করে কারাগার থেকে বের হয়নি। তাদের মামলা জামিন হয়ে গেলেও নানা কৌশলে কারাগারে থেকে যায়। কিন্তু দেশের পটপরিবর্তনের পরই একাধিক শীর্ষ সন্ত্রাসী বের হয়। দেশের আইনশৃঙ্খলা অবনতি হওয়ার পেছনে তারা জড়িত। এখন আমরা কঠোর অবস্থানে গিয়েছি। যারা বের হয়েছে তাদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। এমনকি কোনো দাগি অপরাধী কারাগার থেকে বের হলে পুরনো মামলা থাকলেও তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। আর কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, আন্ডারওয়ার্ল্ড নিয়ে আমরা বেশ উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সন্ত্রাসীদের বিষয়ে ইউনিটপ্রধান, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে বিশেষ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। পুরস্কার ঘোষিত ২৩ শীর্ষ সন্ত্রাসীর মধ্যে ১৩ জন বিদেশে আত্মগোপনে আছে। ইন্টারপোলের রেড নোটিস জারি করা আছে। আন্ডারওয়ার্ল্ডের নতুন মেরূকরণের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তাদের কর্মকা- সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হচ্ছে।

সূত্র জানায়, রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কগুলোর একটি এলিফ্যান্ট রোড। দিন-রাত এই সড়কে যান ও মানুষ চলাচল করে। সেই সড়কে সুপরিচিত মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের (কম্পিউটার ও আইটি সরঞ্জামাদির মার্কেট) সামনে প্রকাশ্যে এহতেশামুল নামে একজনকে কুপিয়ে জখম করে দুর্বৃত্তরা। ভুক্তভোগী মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের একজন ব্যবসায়ী। গত ১০ জানুয়ারি রাতে মার্কেটের সামনে যখন এহতেশামুলকে কোপানো হচ্ছিল, তখন একই মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী ওয়াহিদুল হাসানের গাড়িতেও হামলা হয়। দুটি ঘটনায় নিউ মার্কেট থানায় একটি মামলা করেন মাল্টিপ্ল্যান দোকান মালিক সমিতির নেতা ও ভুক্তভোগী ওয়াহিদুল হাসান। তিনি এলিফ্যান্ট রোড কম্পিউটার সমিতিরও সভাপতি। মামলাটিতে সদ্য কারামুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ওরফে ইমনকে (৫২) প্রধান আসামি করে ১০ জনের নামসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও গুরুত্বপূর্ণ আসামিদের মধ্যে আছেন মুন্না, নিউ মার্কেট এলাকায় যুবদল নেতা হিসেবে পরিচিত এ কে এম চঞ্চল ও জসিম ওরফে কলা জসিম। যদিও সবাই এখন পলাতক। যদিও মামলার পরে গ্রেপ্তার হয়েছে আসিফুল হক ওরফে আসিফ ওরফে ঝন্টু (৩২), মো. কাউসার মৃধা (২৪) ও এনামুল ওরফে মুরগি এনামুল। তাদের মধ্যে প্রথম দুজন এজাহারভুক্ত আসামি। আর এনামুল সন্ত্রাসীদের তথ্যদাতা।