আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের ছেড়ে দিতে হয়েছে। এরপর হংকং সুপার সিক্সেস এর জন্যও আকবর আলী, হাবিবুর রহমান সোহান, জিশান আলমরাও নেই। তৃতীয় রাউন্ডে এসে জাতীয় লিগ তাই অনেকটাই দ্যুতি হারিয়েছে। তার উপর ভেজা মাঠের কারণে খেলাও হয়নি ঠিকঠাক। সব মিলিয়ে জাতীয় লিগ ধরে রেখেছে উপেক্ষিত চরিত্র।
প্রথম শ্রেণীতে অভিষেকেই সেঞ্চুরির কাছে গিয়েও পেলেন না শাহ পরান। ২৪ বছর বয়সে আজ প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হলো শাহ পরানের। চট্টগ্রাম বিভাগের এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানের অভিষেকটা হতে পারত স্বপ্নের মত। সেঞ্চুরির খুব কাছেই পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নব্বইয়ের ঘরে থেমে যন্ত্রণায় পুড়তে হলো শাহ পরানকে। চট্টগ্রামে খুলনা বিভাগের লেগ স্পিনার ইয়াসিন মুন্তাসিরের বলে বোল্ড হয়েছেন তিনি। আউট হওয়ার সময় তাঁর রান ৯১। ১০০ বলের ইনিংসে ১০টি চার ও ৪টি ছক্কা মেরেছেন। সেঞ্চুরিটা পেলে শাহ পরান বাংলাদেশের চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে প্রথম শ্রেণির অভিষেকে শতকের কীর্তি গড়তেন। এখন পর্যন্ত এই কীর্তি আছে তিনজনের—আসিফ আহমেদ, আফিফ হোসেন ও অমিত হাসান। সাগরিকায় চট্টগ্রাম প্রথম দিন শেষে তুলেছে ৮ উইকেটে ৩৪০ রান।
অমিতও পেলেন না সেঞ্চুরি।আউটফিল্ড ভেজা থাকায় কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিলেট–রংপুর ম্যাচ শুরু হয় দুপুর সাড়ে ১২টায়। আলোকস্বল্পতায় খেলা শেষও হয় আগেভাগে। দিন শেষে ৪৮.১ ওভারে ৭ উইকেটে সিলেটের রান ১৭২। এর অর্ধেকের বেশি এসেছে অমিত হাসানের ব্যাট থেকে। ১১০ বলে ১১টি চার মেরে ৯১ রানে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন মুকিদুলকে। হাতছাড়া হয়েছে তাঁর প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দশম সেঞ্চুরির সুযোগ।
কক্সবাজারের একাডেমি মাঠেও খেলা হয়েছে মাত্র ৩২ ওভার, তাতে ঢাকার বিপক্ষে ২ উইকেটে ১০০ রান ময়মনসিংহের।খুলনায় বরিশাল বিভাগ গুটিয়ে গেছে ২১২ রানে। জবাবে রাজশাহী দিন শেষে বিনা উইকেটে ৬ রান তুলেছে। বরিশালের ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৮ রান এসেছে সালমান হোসেনের ব্যাট থেকে।