ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় সাতজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করায় শাহরিয়ারকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।
অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিরা হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন। ডিবি বলছে, তাঁরা সবাই মাদক কারবারি।
মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আদালতে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আজ শনিবার সকালে অভিযোগপত্র দাখিলের বিষয়টি তিনি জানিয়েছেন।
ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ বলেন, অভিযোগপত্রে সাতজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
অব্যাহতির সুপারিশ পাওয়া আসামিরা হলেন—তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক, পলাশ সরদার ও সুজন সরকার।
গত ১৩ মে দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতরে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন শাহরিয়ার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
এ ঘটনায় ১৪ মে সকালে নিহত ব্যক্তির বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।