ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান করে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ সময় তার পকেট থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পৌর শহরের শান্তিপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
নিহত তরিকুল ইসলাম (৩৫) সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পৌর দত্তবাড়ি এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে। তিনি ‘ড্রাগ ইন্টারন্যাশনাল’ ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে রাণীশংকৈলে কর্মরত ছিলেন। চাকরির সুবাদে তিনি স্ত্রী আশা বেগমকে নিয়ে শান্তিপুর এলাকার সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা মৃত শহিদুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দাম্পত্য জীবনে তরিকুল ও তার স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই কলহ-বিবাদ লেগে থাকত। শুক্রবার বিকেলে ঝগড়ার পর তরিকুল ঘরের দরজা বন্ধ করে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে স্ত্রী ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।
এ সময় তরিকুলের প্যান্টের পকেট থেকে একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। চিরকুটে তিনি লিখেছেন—‘আমি অপরাধী বটে, কিন্তু তুমি যে অপবাদ দিয়েছ—আমি নাকি চরিত্রহীন, তা আমি মেনে নিতে পারিনি। আল্লাহর কসম করে বলছি, তুমি ছাড়া আমি আর কখনও কোনো নারীকে স্পর্শ করিনি। মৃত্যুর আগে কেউ কখনো মিথ্যা কথা বলে না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘তুমি যত কথা বা অভিযোগ দিয়েছ তা আমি মাথা পেতে নিয়েছি। কিন্তু এই অপবাদ নিতে পারলাম না। আমার সন্তানদের দেখে রেখো। আমি সত্যি তোমাকে অনেক ভালোবাসতাম। আলবিদা...আলবিদা...আলবিদা। ইতি, তোমার ঘৃণার পাত্র।’
এ বিষয়ে রাণীশংকৈল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহ. আরশেদুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ জেলা মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।