ক্যানসার চিকিৎসায় এক যুগান্তকারী অগ্রগতি অর্জন করেছেন বিজ্ঞানীরা। নতুন এক ধরনের ক্যানসার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক মানবদেহে পরীক্ষায় পাওয়া গেছে শতভাগ সাড়া—যা বিশ্বজুড়ে ক্যানসার আক্রান্তদের জন্য নতুন আশার আলো জ্বালাচ্ছে।
নতুন ক্যানসার ভ্যাকসিন ‘এন্টারোমিক্স’ মানবদেহে প্রাথমিক পরীক্ষায় শতভাগ কার্যকারিতা ও নিরাপত্তা দেখিয়েছে। রাশিয়ার বিজ্ঞানীদের দাবি, পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী রোগীদের টিউমার উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে গেছে এবং কারও শরীরে গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ভ্যাকসিনটি তৈরি করা হয়েছে mRNA প্রযুক্তি ব্যবহার করে—যা করোনা ভাইরাসের টিকা তৈরিতেও ব্যবহার করা হয়েছিল।
গবেষকেরা জানিয়েছেন, ‘এন্টারোমিক্স’ দেহের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ইমিউন সিস্টেমকে এমনভাবে প্রশিক্ষণ দেয় যাতে তা ক্যানসার কোষ শনাক্ত করে ধ্বংস করতে পারে। এর ফলে প্রচলিত চিকিৎসা যেমন কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের তুলনায় এটি অনেক নিরাপদ ও বুদ্ধিদীপ্ত বিকল্প হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
প্রাথমিক পরীক্ষার ফলাফলে দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের টিউমার উল্লেখযোগ্যভাবে ছোট হয়ে গেছে এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছিল খুবই সামান্য। ফলে প্রচলিত কেমোথেরাপি বা রেডিয়েশনের তুলনায় এটি অনেক নিরাপদ বিকল্প হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গবেষকেরা আশাবাদী, পরবর্তী ধাপের পরীক্ষাগুলোতেও যদি একই ফলাফল পাওয়া যায়, তবে এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রেও সমান কার্যকর প্রমাণিত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই আবিষ্কার ক্যানসার চিকিৎসায় এক নতুন যুগের সূচনা করতে পারে। এতে রোগের অগ্রগতি রোধ, রোগীদের আয়ুষ্কাল বৃদ্ধি এবং জীবনমান উন্নয়নের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। সফলভাবে প্রয়োগ করা গেলে এই ভ্যাকসিন বিশ্বব্যাপী ক্যানসারবিরোধী লড়াইয়ে হয়ে উঠতে পারে এক কার্যকর অস্ত্র।