Image description
 

ফেসবুকে ভিউ বাড়ানোর উদ্দেশ্যে রামদা হাতে একটি ভিডিও ধারণ করে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে আপলোড করেছিলেন এক শিক্ষক। মুহূর্তের মধ্যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। পরে তিনি নিজেই ভিডিওটি মুছে ফেলেন।

 

জানা গেছে, ওই শিক্ষক রাহাত হোসাইন শাকিল, গৌরীপুর পৌর শহরের রাজেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন নিমতলী মহল্লার মৃত তোফাজ্জল হোসেন চুন্নুর ছেলে এবং চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (২ নভেম্বর) বিকেলে রাহাত হোসাইন শাকিল রামদা হাতে একটি ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে আপলোড করেন। ভিডিওতে তিনি বলেন, আমারে অপমান করবা, আমার দখল নেবা, আমারে চাকরিও করতে দিতা না, আমার জীবনডা নিবা গা-সব কিছুর মালিক তো আল্লাহ, জানি। যা কিছু করব, আল্লাহই করব।

 

ভিডিওটি দ্রুত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। সমালোচনার মুখে তিনি ভিডিওটি নিজের ফেসবুক থেকে সরিয়ে দেন। রাহাত হোসাইন শাকিলের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

 

এই বিষয়ে তার স্ত্রী সুমি আক্তার গনমাধ্যমকে বলেন, কয়েক দিন আগে উনি ফেসবুক থেকে মনিটাইজেশন পেয়েছেন। খুশিতে ভিউ বাড়ানোর জন্যই মজার ছলেই এই ভিডিও করেছিলেন। সমালোচনার পরই তিনি পোস্টটি ডিলিট করেছেন। বিষয়টি কেউ ভুল বুঝবেন না।

চান্দের সাটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিরিন আক্তার গনমাধ্যমকে জানান, রাহাত হোসাইন আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার তিনি ছুটি নিয়েছেন। কেন এমন ভিডিও করেছেন, তা জানা নেই।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আঞ্জুমান আরা গনমাধ্যমকে বলেন, শিক্ষকদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার নিয়ে আমরা সবসময় সতর্ক। একজন শিক্ষক হয়ে কেন তিনি এই ধরনের ভিডিও পোস্ট করেছেন, তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আমীন গনমাধ্যমকে বলেন, রামদা হাতে ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করার বিষয়টি আমরা জানি। এই ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।