সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় নিজ বাড়িতে খুন হওয়া আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রাজ্জাক হত্যা মামলায় তার একমাত্র পুত্র আসাদ আহমদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মহানগর হাকিম প্রথম আদালতের বিচারক শফিকুল হক শুনানি শেষে আসাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ মামলা না করায় পুলিশ নিজ উদ্যোগে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। দক্ষিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনোয়ারুল কামাল মামলাটি দায়ের করেন। পুলিশের মামলায় নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার (১ নভেম্বর) কারাগারে পাঠানো হয়।
নিহত আবদুর রাজ্জাকের পেট, বুক ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ২২ ইঞ্চি লম্বা ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার করা ছুরিটি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপি’র এডিসি (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, নিহত রাজ্জাকের ছেলে আসাদ আহমদকে (৩২) এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার কারাগারে পাঠানো হয়। হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্দেশ্যে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নিহত আবদুর রাজ্জাকের এক ছেলে ও এক মেয়ে; দুজনেরই বিয়ে হয়েছে। মাস দুয়েক আগে তিনি সন্তানদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করেন। এরপর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং চিকিৎসার জন্য ভারতে যান। তার বিরুদ্ধে গত বছরের ৫ আগস্টের পর একটি মামলা রয়েছে বলে পরিবার জানিয়েছে। মামলা থাকলেও তিনি নিজ বাড়িতেই অবস্থান করতেন।
বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনায় পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে লাশ উদ্ধারের আগ পর্যন্ত ওই বাড়িতে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেখা যায়নি। শুধু সকাল ৮টার দিকে গৃহকর্মী বাড়িতে প্রবেশ করেন। তিনি ঘরে গিয়ে রাজ্জাককে দেখতে না পেয়ে খোঁজ করতে গিয়ে সিঁড়ির ঘরে লাশ দেখতে পান।
তখন সিঁড়ির দরজা তালাবদ্ধ ছিল এবং সিঁড়ির চাবি রাজ্জাকের কাছেই ছিল।
শনিবার দায়ের করা মামলায় কারো নাম উল্লেখ করা হয়নি। তবে পরিবারের কয়েকজন সদস্যকে সন্দেহভাজন হিসেবে মামলার বিবরণে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসএমপির এডিসি (মিডিয়া) সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘হত্যা মামলায় নিহত ব্যক্তির ছেলেকে কারাগারে পাঠানোর পর সোমবার আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।’