ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে সব প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। নির্বাচন ঘিরে ‘সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি’ মোকাবিলার জন্যও সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে সরকারের উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকে এমন নির্দেশনা আসার কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠক বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রেস সচিব বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নির্বাচন বানচালের জন্য ছোটখাটো নয়, বড় শক্তি নিয়ে চেষ্টা করা হবে।
প্রেস সচিব আরও বলেন, ‘মাঠ প্রশাসনে, বিশেষ করে ডিসি, এডিসি, ইউএনওসহ বিচারিক দায়িত্বে এমন কাউকে পদায়ন করা হবে না; যিনি গত তিনটি নির্বাচনী কাজে যুক্ত ছিলেন। ন্যূনতম ভূমিকা থাকলেও তাকে এই নির্বাচনে দায়িত্বে রাখা হবে না।’
পদায়নের ক্ষেত্রে কর্মকর্তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, শারীরিক যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা, গণমাধ্যমে অনিয়মের প্রতিবেদন হয়েছে কি না, তাও দেখা হবে বলে জানান প্রেস সচিব।
শফিকুল আলম বলেন, সবচেয়ে ফিট কর্মকর্তাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পদায়ন করা হবে। তবে নিজ জেলা বা শ্বশুরবাড়ির এলাকায় কাউকে পদায়ন করা হবে না। তাদের কোনো আত্মীয়স্বজন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কি না, পদায়নের ক্ষেত্রে সে বিষয়েও লক্ষ রাখা হবে। আগামী ১ নভেম্বর এগুলো শুরু হবে।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাও জানিয়েছেন, পুলিশের পদায়নের বিষয়েও একইভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ৬৪ জেলার এসপিদের তালিকা করা হয়েছে। এমনটা উল্লেখ করেছেন প্রেস সচিব।