Image description

চট্টগ্রামে বিমানের টিকিট এখন সিন্ডিকেটের কবলে। বিশেষ করে ওমরাহ হজের যাত্রীদের মধ্যে বিমানের টিকিটের জন্য হাহাকার চলছে। বিভিন্ন এয়ারলাইন্স টিকিটের দাম প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এক সপ্তাহ আগের ৫২ হাজার টাকার টিকিট এখন বিক্রি হচ্ছে ৯২ হাজার টাকা বা তারও বেশি মূল্যে। এতে ট্রাভেল এজেন্সিগুলো বিপাকে পড়েছে। অভিযোগ রয়েছে, বিমানের অসাধু কর্মকর্তারা কৌশলে টিকিট কুক্ষিগত করে রেখেছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর টিকিটের মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে সরকারের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো ওমরাহ টিকিটের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা হাতিয়ে নিচ্ছে।

রমজান মাসে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ধর্মপ্রাণ মুসলমান সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে যান। আগামী মার্চে রমজান মাস। এ সুযোগে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের কিছু অসাধু কর্মকর্তা সিন্ডিকেট করে টিকিটের দাম বাড়িয়েছে। প্রতি রিটার্ন টিকিটের মূল্য ৩০ থেকে ৪০ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে। বাংলাদেশ বিমান ও সাউদিয়া এয়ারলাইন্স ছাড়াও থার্ড ক্যারিয়ারগুলোর ওমরাহ টিকিটের দাম হঠাৎ বাড়ানো হয়।

নভেম্বরে সৌদিয়া এয়ারলাইন্সের টিকিটের দাম ছিল জনপ্রতি ৭৫ হাজার টাকা। ডিসেম্বরে পাঁচ হাজার টাকা বেড়ে দাঁড়ায় ৮০ হাজার টাকা। জানুয়ারি মাসে টিকিট বিক্রি হয় ৮৫-৯০ হাজার টাকায়। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৯৫ হাজার টাকা। মার্চ মাসের টিকিট পাওয়া যেন দুষ্কর। মার্চে ওমরাহ হজের অগ্রিম টিকিট কিনতে হচ্ছে আসা-যাওয়া এক লাখ ১০-২০ হাজার থেকে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে। প্রায় একই পরিস্থিতি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সেরও। মার্চ মাসের একটি রিটার্ন টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য দেখা গেছে ৯৮ হাজার টাকা পর্যন্ত।

বিভিন্ন সূত্র অভিযোগ করেছে, সৌদিয়া এয়ার লাইন্স, এয়ার অ্যারাবিয়া, গালফ এয়ার, জাজিরা এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের হাজারো টিকিট কিছু কালোবাজারির কাছে কুক্ষিগত রয়েছে। টিকিট বিক্রির সিস্টেমে ঢুকলে দেখা যাচ্ছে কোনো টিকিট নেই। সব বিক্রি হয়ে গেছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে-বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের অসাধু কর্মকর্তারা এসব টিকিট ব্লক করে রেখে দিয়েছেন। তারা কিছু নির্দিষ্ট এজেন্সির মাধ্যমে চড়া দামে বিক্রি করছেন।

চট্টগ্রামের উইনার ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সির মালিক খোরশেদ আলম যুগান্তরকে বলেন, বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো নাম ছাড়া বুকিং দিয়ে ওমরা টিকিট বিক্রি করছে। এ কারণে সিন্ডিকেট ওমরা টিকিটের দাম বাড়ানোর সুযোগ পাচ্ছে।

নিউ আল মানারাত এজেন্সির মালিক কায়সার আলম জানান, এয়ারলাইন্সগুলো সিন্ডিকেট করে গত ১০ নভেম্বর থেকে প্রতি ওমরাহ টিকিটের মূল্য ১৭ হাজার টাকা বাড়িয়েছে। জানুয়ারিতে টিকিটের দাম বেসামাল অবস্থায় পৌঁছেছে।