Image description
 

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের সুরক্ষায় প্রয়োজন উপযুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা। বিএনপি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে শিক্ষা খাতে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হবে।

 

শনিবার কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন।

 
 

তিনি বলেন, পাঠ্যপুস্তকে খেলাধুলা ও বিভিন্ন দেশের ভাষা শিক্ষাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ব্যবহারিক, ভোকেশনাল শিক্ষাকে গতিশীল করা হবে, যাতে এসব শিক্ষা অর্জন করে তরুণরা দেশে-বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।

তারেক রহমান বলেন, বিশ্ব এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) যুগে প্রবেশ করেছে। মেধাবীদের জন্য এখন বিশ্বের দরজা উন্মুক্ত। জ্ঞান, বুদ্ধি, মেধা ও যোগ্যতার প্রতিযোগিতা চলছে সর্বত্র। তাই শিক্ষার্থীদের এ প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে টিকে থাকতে হলে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়া জরুরি।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘তোমরা মাদরাসা বা স্কুল, যেখানেই পড়াশোনা করো না কেন, মনে রাখতে হবে সম্মানের সঙ্গে টিকে থাকতে হলে আধুনিক ও ব্যবহারিক শিক্ষায় দক্ষ হতে হবে। জ্ঞানে-বিজ্ঞানে পারদর্শী হতে হবে। কারিগরি শিক্ষায়ও হতে হবে পারদর্শী।’ তিনি আরো বলেন, তোমরা যদি প্রত্যেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পার, তাহলে আমরা বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে পারব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আগামী দিনের শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক বিজ্ঞান ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সাজিয়ে তুলতে কাজ করছে। বর্তমান বিশ্বে নিজেকে অন্যের চেয়ে দক্ষ করে তোলার যে প্রতিযোগিতা চলছে, সেখানে একনিষ্ঠতা ও দৃঢ় ইচ্ছাশক্তির বিকল্প নেই।’

জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবদুস সালাম।

খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খন্দকার আল আশরাফ মামুন ও সাধারণ সম্পাদক রত্না খাতুনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন, তারেক রহমানের শিক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্র মেরামতে ৩১ দফার উপর খন্দকার শামসুল আলম ফাউন্ডেশন মেধাবৃত্তি পরীক্ষার আয়োজন করে। গত ১৬ আগস্ট পাকুন্দিয়া উপজেলার ১১টি কেন্দ্রে একযোগে এ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৮৪টি বিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেয়।