চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’-এ (গবেষণাকেন্দ্র) গবেষক পদ থেকে ইতিহাসবিদ অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দায়িত্ব পালন না করে অতিরিক্ত অর্থ নেওয়ায় ফেরত চেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। দ্য ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন। যদিও এর বাইরে আর কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
বিষয়টি নিয়ে গত ১৯ অক্টোবর চবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ নির্বাহী কমিটির ৭ম সভার ২ নম্বর সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ পদে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের নিয়োগ ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৫ তারিখ থেকে বাতিল করা হলো। উক্ত তারিখ থেকে পরবর্তী সময়ে আপনাকে পরিশোধিত সমুদয় অর্থ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফেরত প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হলো।
জানা গেছে, শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তার জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি দুই বছরের জন্য অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে তার মেয়াদ আরও দুই বছর বাড়ানো হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তার বেতন-ভাতা স্থগিত করা হয়। চলতি বছরের আগস্ট মাসে অনুষ্ঠিত ৫৬২তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক তার নিয়োগ বাতিল করা হয় এবং ওই সময় থেকে পরবর্তী সময় পর্যন্ত যে বেতন-ভাতা নিয়েছেন তা ফেরত দিতে বলা হয়।
জানা যায়, নিয়োগের পর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৪৩ মাসে মোট ৬০ লাখ টাকা বেতন-ভাতা নিয়েছেন। প্রতি মাসে ১ লাখ ৩৯ হাজার টাকা করে নিয়েছেন। অর্থ্যাৎ ২০২৩ সালের ১৫ মার্চ থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ১৭ মাস ১৫ দিনের অর্থ ফেরত দিতে হবে। টাকার অংকে তাকে ২৪ লাখ ৩২ হাজার ৫০০ টাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ফেরত দিতে হবে, এমনটাই জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী বছরে অন্তত দুটি প্রবন্ধ, চারটি বক্তব্য দেওয়ার কথা থাকলেও ২০২৩ সালের ৫ মার্চের পর থেকে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন কোনো গবেষণা প্রতিবেদন জমা দেননি। প্রবন্ধ রচনা বা বক্তব্য প্রদানের কোনো প্রমাণও পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।