ঘুষ গ্রহণকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিমের হাতে আটক হয়ে বরখাস্ত হওয়া ফটিকছড়ি উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সেই আজিমেল কদরকে পুনর্বহাল করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) ফটিকছড়ি শিক্ষা অফিসে যোগদান করেছেন তিনি। এই খবরে শিক্ষক সমাজ ক্ষোভে ফুঁসছেন। সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষক নেতারা তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং তাকে প্রত্যাহার করা না হলে কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন।
এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষক সমাজ নেত্রী রহিমা বেগম কালের কণ্ঠকে জানান, শিক্ষকের সুনির্দিষ্ট অভিযোগে দুদকের টিম হাতে উনাকে ঘুষসহ গ্রেপ্তার করে। নিম্ন আদালতে তার সাজাও হয়। উচ্চ আদালত সেই সাজা বহাল রাখেন। কিন্তু আবার কিভাবে তিনি চাকরি ফেরত পান এবং একই স্থলে যোগদান করেন তা বোধগম্য নয়? শিক্ষক সমাজ বিষয়টি মানতে পারছেন না।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ফটিকছড়ির বেড়াজালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তাসলিমা আক্তারকে বদলির জন্য ৩০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন শিক্ষা কর্মকর্তা আজিমেল কদর। এ ঘটনায় ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ তাসলিমা আক্তার দুদক চট্টগ্রাম জেলা অফিসে অভিযোগ করেন।
অভিযোগ পেয়ে, ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুদক টিম ফাঁদ পেতে ঘুষের ১০ হাজার টাকাসহ আজিমেল কদরকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় দণ্ডবিধি ১৬১ ধারায় ১ বছর ৬ মাস কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
রায়ের পর দণ্ডপ্রাপ্ত শিক্ষা অফিসার আজিমেল কদর উচ্চ আদালতে আপিল করেন। তার আপিল গৃহীত হয় এবং দুদকের এক সভায় ওই মামলায় আর আপিল না করার সিদ্ধান্ত হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষা অফিসার আজিমেল কদর বলেন, আইনিভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়েছে। এরপর মন্ত্রণালয় নিয়ম অনুযায়ী আমাকে পদায়ন করেছে। এর বেশি কিছু বলার সুযোগ নেই।