Image description
চট্টগ্রাম বন্দরের লাভজনক মূল স্থাপনা বেহাত করার কারসাজি!, নির্মিত ও আধুনিক যন্ত্রপাতি সজ্জিত বন্দরের নিজস্ব টাকায় : নৌবাহিনীর ড্রাইডকের পরিচালনায় এনসিটিতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং বেড়েছে ২৭ শতাংশ : নতুন বিনিয়োগের আর কোনো অবকাশই নেই, বিতর্কিত ডিপি ওয়ার্ল্ড কোম্পানিকে ইজারা প্রদানের বিরুদ্ধে ‘বন্দর বাঁচাও মানববন্ধন’ আগামীকাল : দিনব্যাপী গণঅনশন কর্মসূচি ১ নভেম্বর

চট্টগ্রাম বন্দরের থিম সেøাগান- ‘সমৃদ্ধির স্বর্ণদ্বার চট্টগ্রাম বন্দর’ এবং ‘কান্ট্রি মুভস উইথ আস’। চট্টগ্রাম বন্দরকে বলা হয় দেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি এবং হৃৎপি-। আর, দেশের প্রধান এই সমুদ্র বন্দরের হৃৎপি- হচ্ছে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি)। এই ‘হৃৎপি-’ বা এনসিটিকে দুবাইভিত্তিক বিদেশি কোম্পানি ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে ২৫ বছরের ইজারা প্রদানের লক্ষ্যে নেপথ্যে চলছে চুক্তির তোড়জোড় প্রস্তুতি।

তীব্র শ্রমিক-রাজনৈতিক বিক্ষোভ, প্রতিবাদী আন্দোলনের মুখে মাঝখানে প্রায় তিন মাস এই উদ্যোগ অনেকটাই চাপা পড়ে যায়। সেই ডিপি ওয়ার্ল্ডকে ইজারাদানে নতুন করে ফাইল চালাচালি, বন্দর এলাকায় মিছিল-মিটিং-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে চুক্তির তোড়জোড় শুরু হতেই নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বাঁচাতে আন্দোলনের উত্তাপ-উত্তেজনা ক্রমেই জোরালো হয়ে উঠেছে শ্রমিক-রাজনৈতিক অঙ্গনে ও নাগরিক মহলে। এনসিটিকে ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও আন্দোলনকারীরা বলছেন, চট্টগ্রাম বন্দরের ধারাবাহিকভাবে লাভজনক মূল স্থাপনা এনসিটি হাতছাড়া করার কেন এই আত্মঘাতী কারসাজি! কার এজেন্ডা বাস্তবায়নে কোন উদ্দেশ্যে এহেন তাড়াহুড়া? এনসিটিকে ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে ছেড়ে দেয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল গণঅভ্যুত্থানে উৎখাত পলাতক শেখ হাসিনার আমলে (২০২৩-২৪ সালে)। ফ্যাসিবাদী হাসিনা-অলিগার্কের সেই জাতীয় স্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত কেন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কী মোহে বাস্তবায়ন করতে চাইছে, প্রতিবাদ ও আন্দোলনকারীরা সেই প্রশ্ন তুলেছেন।

বিতর্কিত বিদেশি ডিপি ওয়ার্ল্ড কোম্পানিকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) ইজারাদানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ-অসন্তোষ প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে শ্রমিক-কর্মচারী সংগঠনসমূহ। তাছাড়া ‘চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা কমিটি’র আহ্বানে বামধারা রাজনৈতিক-সামাজিক দল-সংগঠনসমূহ আগামীকাল শনিবার বন্দরনগরীর আগ্রাবাদে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করবে। আগামী ১ নভেম্বর গণঅনশন কর্মসূচির ডাক দিয়েছে বৃহত্তর শ্রমিক জোট শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ) চট্টগ্রাম শাখা। স্কপ-এর উদ্যোগে গত বুধবার আগ্রাবাদ থেকে বন্দরমুখী বিক্ষোভ মিছিল বের হলে পুলিশ থামিয়ে দেয়। অনুষ্ঠিত হয় আগ্রাবাদে শ্রমিক সমাবেশ। এনসিটি রক্ষায় এবং ডিপি ওয়ার্ল্ডকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে ১ নভেম্বর কঠোর থেকে কঠোরতর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা আসবে এবং হরতাল-অবরোধের কর্মসূচির কথাও বিবেচনায় আছে বলে গতকাল বৃহস্পতিবার দৈনিক ইনকিলাবকে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম স্কপ-এর যুগ্ম আহ্বায়ক ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক সাবেক বন্দর সিবিএ নেতা কাজী শেখ নুরুল্লাহ বাহার। তিনি বলেন, বন্দরের কোনো শ্রমিক-কর্মচারী এবং দেশপ্রেমিক নাগরিক চাইবেন না দেশের প্রধান চট্টগ্রাম বন্দরের সবচেয়ে লাভজনক স্থাপনা এনসিটি বিনাকারণে অযৌক্তিকভাবে ডিপি ওয়ার্ল্ড তথা বিদেশিদের কাছে হাতছাড়া হোক; বরং সবাই চান বন্দরের সুষ্ঠু পরিচালনা ও উন্নয়ন।

চট্টগ্রাম বন্দরের মুনাফা বাবদ নিজস্ব আয় দ্বারাই নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) নির্মিত হয়েছে। সর্বাধুনিক ভারী যন্ত্রপাতি (ইকুইপমেন্টস) দ্বারা সুসজ্জিতও হয়েছে বন্দরের নিজস্ব টাকায়। এখানে সরকারি রাজস্ব ব্যয় হয়নি এক কানাকড়ি। গত প্রায় ১৬ বছর যাবত এনসিটি চট্টগ্রাম বন্দরের আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশ এককভাবে যোগান দিচ্ছে। মোট কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ৪৪ শতাংশই সামাল দিচ্ছে এনসিটি। এই এনসিটি দ্বারাই গৌরবের আসনে চট্টগ্রাম বন্দর। আগের অপারেটর সাইফ পাওয়ারটেকের হাত থেকে বদল হয়ে বাংলাদেশ নৌবাহিনী পরিচালিত প্রতিষ্ঠান চিটাগাং ড্রাইডক লিমিটেডের মাধ্যমে গত ৭ জুনাই থেকে পরিচালিত হচ্ছে এনসিটি। দুর্নীতিমুক্ত এবং সুদক্ষ, সুশৃঙ্খল, গতিশীল, স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনায় এনসিটিতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং ইতোমধ্যে বেড়েছে ২৭ শতাংশ পর্যন্ত। আমদানি-রফতানিকারক, ব্যবসায়ী, বন্দর ব্যবহারকারীরাও (স্টেক হোল্ডারগণ) বর্তমানে এনসিটির পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও বারবার বলে আসছে বর্তমানে ড্রাইডকের মাধ্যমে এনসিটি দক্ষ ও সুশৃঙ্খল পরিচালনায় সবাই খুশি ও সন্তুষ্ট।

এর সুবাদে বছর শেষে ভলিয়ম বৃদ্ধি পেয়ে এনসিটিতে প্রায় ১৫ লাখ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সম্ভাবনা হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল। বাড়বে রাজস্ব আয়ও। তাছাড়া এনসিটি সুপার স্ট্রাকচার সমৃদ্ধ এবং সর্বাধুনিক গ্যানট্রি ক্রেনসহ যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ হওয়ায় এখানে নতুন করে বিনিয়োগের আর কোনো অবকাশ বা প্রয়োজনও নেই আদৌ। জোয়ার-ভাটা নির্ভরতার সীমাবদ্ধতা এবং আঁকাবাঁকা ও সাড়ে ৯ থেকে ১০ মিটার ড্রাফটের সীমিত চ্যানেলের ধারেই এনসিটির অবস্থান। এর ফলে যথেচ্ছ ‘বড়সড়’ এবং ‘অগণিত’ জাহাজ সেখানে বার্থিং (ভিড়ার) কোনো টেকনিক্যাল সুযোগই নেই। এনসিটির সঙ্গে লাগোয়া নেভির গুরুত্বপুর্ণ স্থাপনা থাকায় এর সাথে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও ভূ-কৌশলগত গুরুত্বের প্রশ্ন জড়িত বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা অনেক আগেই সতর্ক করে আসছেন।

এদিকে নিউমুরিং কন্টেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) বিদেশি ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে ইজারায় হস্তান্তরের নয়া তোড়জোড় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান ড্রাইডকের মাধ্যমে বর্তমানে এনসিটি দক্ষতার সাথে পরিচালিত হচ্ছে। তা সত্ত্বেও কেন আবার ডিপি ওয়ার্ল্ডের কাছে ইজারা দেয়া হচ্ছে সেটা কিন্তু আমার কাছে পরিস্কার নয়।
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক কন্টেইনার ওঠানামার রেকর্ড হয় গত আগস্ট মাসে।। আর এই রেকর্ড হয়েছে টার্মিনালটির পরিচালনার দায়িত্ব নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লি. (সিডিডিএল) হাতে নেয়ার মাত্র দুই মাসের মাথায়।

বন্দর সূত্রে জানা গেছে, আগস্টে এনসিটির ৪টি জেটি ব্যবহার করে জাহাজ থেকে এক লাখ ২২ হাজার ৫১৭ একক কন্টেটইনার হ্যান্ডলিং করা হয়েছে। মাসভিত্তিক কন্টেইনার ওঠানামার এই সংখ্যা এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ড। এর আগের ছিল গত জানুয়ারিতে। জানুয়ারিতে এ টার্মিনানে হ্যান্ডলিং করা হয় এক লাখ ১৮ হাজার একক কন্টেইনার, যা এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। গত বছর আগস্টে এনসিটিতে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ৯৬ হাজার। সেই হিসাবে গত বছরের আগস্টের তুলনায় গেল আগস্টে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং প্রায় ২৭ শতাংশ। তাছাড়া বন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ড্রাইডক লি. এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর টার্মিনালটি সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। টার্মিনালে জাহাজের গড় অবস্থান সময়ও কমে এসেছে। সাশ্রয় হচ্ছে সময় ও আর্থিক। এর ফলে এনসিটিতে বছরে প্রায় ১৫ লাখ একক কন্টেইনার হ্যান্ডলিং করা সম্ভব।

প্রসঙ্গত গত ১২ অক্টোবর ঢাকায় ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) এক সেমিনারে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ তথ্য প্রকাশ করেন, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি, লালদিয়ার চর টার্মিনাল এবং ঢাকার কেরাণীগঞ্জের পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেনার টার্মিনাল পরিচালনার জন্য বিদেশি অপারেটরদের সঙ্গে আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি সম্পন্ন করা হবে। এর মধ্যে লালদিয়ার চর টার্মিনালে পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হবে ৩০ বছরের জন্য এবং এনসিটি ও পানগাঁও টার্মিনাল পরিচালনার মেয়াদ হবে ২৫ বছর। তিনি বলেন, আশা করছি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে একটা চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে। বিদেশি অপারেটরের সুবিধার জন্য আগেভাগে চট্টগ্রাম বন্দরের ট্যারিফ একলাফে ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে বলেও সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। কিছুদিন চাপা থাকলেও নতুন করে এনসিটিকে বিদেশি কোম্পানি তথা ডিপি ওয়ার্ল্ডকে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের তোড়জোর শুরু হওয়ার সাথে সাথেই আবার নতুন করে মাঠের আন্দোলনের কর্মসূচি দানা বেঁধে উঠেছে।

বাংলাদেশের টাকায় সুপার স্ট্রাকচার-সমৃদ্ধ ‘রেডি বন্দর’ এনসিটি চালাবে ডিপি ওয়ার্ল্ড!
চট্টগ্রাম বন্দরের ‘হৃৎপিন্ড’ নিউমুরিং টার্মিনাল (এনসিটি) বন্দর কর্তৃপক্ষের (চবক) মুনাফায় সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে ২ হাজার কোটি টাকায় নির্মিত হয়। এনসিটিতে ব্যবহৃত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ভারী যান্ত্রিক সরঞ্জামাদি (ইকুইপমেন্টস) বিদেশ থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বন্দরের টাকায়। এতে এ যাবত ব্যয় হয়েছে এ যাবত প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ, লাভজনক ও সক্ষমতাসম্পন্ন স্থাপনা। বন্দরের নিজস্ব টাকায় পর্যাপ্ত আধুনিক ভারী যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ফলে কী গ্যানট্রি ক্রেন, রীচ স্টেকার, স্ট্র্যাডেল ক্যারিয়ারের মতো ইকুইপমেন্টস প্রয়োজনের চেয়ে বেশিই রয়েছে। যে পরিমাণ যান্ত্রিক সরঞ্জাম আছে তা দিয়ে আগামী ১৫ বছর অনায়াসেই এনসিটি পরিচালনা করা সম্ভব। দক্ষ-অভিজ্ঞ জনবলও রয়েছে দেশেই।

বন্দর-শিপিংখাত সংশ্লিষ্টরা জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি সুপার স্ট্রাকচার-সমৃদ্ধ আন্তর্জাতিকমানের টার্মিনাল। সর্বাাধুনিক কন্টেইনার স্থাপনা এনসিটি ৯৫০ মিটার দীর্ঘ টার্মিনাল। এনসিটির বার্থে একত্রে চারটি সমুদ্রগামী কন্টেইনার জাহাজ এবং একটি ছোট জাহাজ ভিড়ানো যায়। গতবছর ২০২৪ সালে বন্দরের মোট কন্টেইনারের ৪৪ শতাংশ হ্যান্ডলিং করা হয় এবং বন্দরের মোট আয়ের প্রায় ৬০ শতাংশই আসে এনসিটি থেকেই। জাহাজ থেকে ইয়ার্ডে কিংবা ইয়ার্ড থেকে জাহাজে কন্টেইনার ওঠা-নামার জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয়, অত্যাধুনিক, দামি সরঞ্জাম গ্যানট্রি ক্রেন এনসিটিতে চাহিদা বর্তমানে ১২টির। অথচ সেখানে এই ইকুইপমেন্ট রয়েছে ১৪টি। পুরোপুরি সক্ষম ও স্বয়ংসম্পূর্ণ এনসিটি বিদেশি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেয়ার যৌক্তিকতা কোথায়?

প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম এনসিটিতে আছে চাহিদা অনুপাতে পর্যাপ্ত, কোন কোনটি অতিরিক্ত। সবকিছুই বিদেশ থেকে কেনা হয়েছে বন্দরের মুনাফার টাকায়। এর ফলে এনসিটিতে নতুন কোনো দেশি কিংবা বিদেশি বিনিয়োগের প্রয়োজনই নেই। এনসিটি আর সম্প্রসারণের কোনো সুযোগ নেই; যেহেতু এনসিটির পাশেই নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এনসিটিতে নতুন বিনিয়োগের কথাই অবান্তর বলে মনে করছেন শ্রমিক নেতারা।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বন্দর সম্প্রসারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় প্রকল্প বে-টার্মিনাল, মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দর, লালদিয়ার চর টার্মিনালে বিদেশি বিনিয়োগ ও বিদেশি অপারেটরকে ছেড়ে দেয়া নিয়ে কারও আপত্তি নেই। সেখানে জেটি-বার্থ নির্মাণসহ বিদেশি বিনিয়োগ এবং সুপার স্ট্রাকচার উন্নয়নের অনেক সুযোগ অধরা রয়েছে। অথচ ডিপি ওয়ার্ল্ড, পোর্ট-সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির বিপুল অঙ্কের বিনিয়োগে বে-টার্মিনাল প্রকল্প ‘অবিলম্বে’ শুরু করা নিয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া আশ^াসের ফুলঝুরি হিমাগারে পাঠানো হয়েছে বলছেন বন্দর ব্যবহারকারী ও শ্রমিক নেতারা।