জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, দায়সারাভাবে জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের আইনি ভিত্তি ও নিশ্চয়তা না পাওয়ায় তার দল 'জুলাই সনদ'-এ স্বাক্ষর করেনি। তিনি স্পষ্ট জানান, এনসিপি তাদের অবস্থান থেকে আগামী দিনে জনগণের স্বার্থকে সবার আগে প্রাধান্য দিয়ে রাজনীতি করবে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট শহরের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স মিলনায়তনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সারজিস আলম এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, "এনসিপি বিশ্বাস করে জনগণের স্বার্থ মানেই দেশের স্বার্থ। আমরা দেখেছি, জুলাই সনদে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষাগুলো বাস্তবায়ন হওয়া প্রয়োজন ছিল, সেই সনদ বাস্তবায়নের কোনো আইনি ভিত্তি দেখি না। যখন আমরা কোনো সঠিক ক্লিয়ারেন্স পাই না, তখন আমাদের জায়গা থেকে দায়সারা সনদে স্বাক্ষর করিনি।"
সারজিস আলম আরও বলেন, "আমরা দলীয়ভাবে কিছু চাইনি। আমরা জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রোডম্যাপ ও নিশ্চয়তা চেয়েছি। আমরা শুধু নির্বাচনে যাব আর কয়েকটি আসন পাব, সেটাকে সামনে রেখে জুলাই সনদে স্বাক্ষর করতে পারি না। কারণ, এটা জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিপরীত।"
শাপলা প্রতীক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রতিষ্ঠান থেকে যৌক্তিক অধিকার বা দাবি পেতে এতকিছুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, এটা খুবই অপ্রত্যাশিত।
তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, আইনিভাবে শাপলা প্রতীক পেতে এনসিপির কোনো বাধা নেই। তাদের স্পষ্ট অবস্থান হলো, যেহেতু কোনো আইনি বাধা নেই, তাই কর্তৃপক্ষকে হয় শাপলা প্রতীক দিতে হবে, নয়তো কেন দেবে না তার আইনি ব্যাখ্যা দিতে হবে। প্রয়োজনে এনসিপি আইনিভাবে এবং রাজনৈতিকভাবে রাজপথে লড়াই করবে।
এর আগে, সকাল ১০টায় সারজিস আলম জাতীয় নাগরিক পার্টির জয়পুরহাট জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন। এ সময় রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান ইমন এবং বগুড়া অঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক সাকিব মাহদীসহ দলের জেলা ও উপজেলা কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
