Image description
শুরুতে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ, প্রথম সারিতে র‌্যাবের সাবেক ডিজি এম খুরশিদ হোসেন, হারুন অর রশিদ, আনোয়ার লতিফ খান, লে. কর্নেল সারোয়ার বিন কাশেম। দ্বিতীয় সারিতে ব্রি. জে. জাহাঙ্গীর আলম, তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, র‌্যাব কর্মকর্তা কেএম আজাদ, লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম। তৃতীয় সারিতে ব্রি. জে. কামরুল হাসান, মাহবুব আলম, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন, লে. কর্নেল মশিউর রহমান জুয়েল।

গুম-খুনের মাস্টারমাইন্ড অভিযুক্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংশ্লিষ্ট সামরিক জেনারেলদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহ-সভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম।

শনিবার গুম কমিশনের প্রকাশিত তথ্য ও প্রামাণ্যচিত্র নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে শেয়ার করে এ দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, গত পনেরো বছরের দুঃশাসনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার প্রক্রিয়ায় এখনো ষড়যন্ত্র চলছে।

ডাকসু থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভিপি সাদিক কায়েম বলেন, ‘গুম, খুন, ধর্ষণসহ রাষ্ট্রক্ষমতার অপব্যবহার করে সংঘটিত সব অপরাধের বিচার কোনোভাবেই এড়ানো যাবে না। যারা এসব জঘন্য অপরাধে জড়িত, তাদের রাজনৈতিক পরিচয় বা পেশাগত অবস্থান যাই হোক না কেন, অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’

তিনি আরো বলেন, গত পনেরো বছরে রাষ্ট্রের সামরিক ও বেসামরিক কাঠামোকে ব্যবহার করে পরিকল্পিতভাবে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। গুম হওয়া রাজনৈতিক নেতাদের পরিবারের দীর্ঘ অপেক্ষার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ওয়ালীউল্লাহ, আল মুকাদ্দাস, ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার এখনো ন্যায়বিচারের প্রত্যাশায় দিন কাটাচ্ছেন। অথচ এসব অপরাধে জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়ায় এখন নানা ষড়যন্ত্র চলছে।’

ভিপি সাদিক আরও বলেন, যে কোনো পরিচয়ের খুনি, ধর্ষক বা গুমকারী-তাদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রসমাজ শান্ত থাকবে না। অপরাধীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।