বিভিন্ন কারণেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমেই কমেছে। দেশের বিভিন্ন খাতে বিদেশিদের আকর্ষণে বিভিন্ন সময়ে নানামুখী নীতি প্রণয়ন হলেও সেগুলোর ধারাবাহিকতা নেই। ফলে বিনিয়োগের উপযোগী হিসেবে আস্থা অর্জন থেকেও বারবার ছিটকে পড়েছে বাংলাদেশ। আবার বিনিয়োগ ধরে রাখতে সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে যে দীর্ঘসূত্রতা ও সমন্বয়হীনতা; তাও দূর করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বারবার। তারপরও সেগুলো দূর হয়নি গত তিন দশকে। সব মিলিয়ে হাতে গোনা দু-একটি কোম্পানি ছাড়া বিদেশি বিনিয়োগের বড় সফলতা পায়নি বাংলাদেশ। তবে সব অন্তরায় কাটিয়ে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে তৈরি পোশাক, বস্ত্র ও নবায়ণযোগ্য জ্বালানিসহ মোট ১৯টি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটি ‘হিটম্যাপ’ বা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।
বিনিয়োগ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে ক্রমেই বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম কারণ হচ্ছে— রাজনৈতিক অস্থিরতা, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলার অভাব, বিনিয়োগনীতির ধারাবাহিকতার অভাব, অর্থাৎ বছর বছর বিনিয়োগ-নীতির পরিবর্তন, বিনিয়োগে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর সক্ষমতার অভাব ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, ডলার সংকট, দফায় দফায় কর কাঠামোর পরিবর্তন, বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকট এবং উচ্চ সুদের হার। এসব সংকট দূর করতেই ‘হিটম্যাপ’ হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে ২০টি প্রতিষ্ঠানের মতামত নেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে ১৯টি অগ্রাধিকার খাত নির্বাচন করা হয়েছে।
হিটম্যাপ অনুযায়ী, নির্বাচিত এই খাতগুলোতে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, আগামী ৭ থেকে ১০ এপ্রিল বিনিয়োগ সম্মেলন করার ঘোষণা দিয়েছে বিডা। এই সম্মেলনে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বিভিন্ন ইকোনমিক জোনগুলো পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হবে। ভ্যাট পরিস্থিতির বিষয়টি নিয়েও বিডা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবে। বিডা মনে করে শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ থাকা উচিত।
বিডা’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে ১ হাজার ৮৩টি ব্যবসা প্রকল্পের জন্য ১ হাজার ৩৩৪ কোটি ৫১ লাখ ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব নিবন্ধন হয়েছে। পরের বছর ২০২২ সালে এক হাজার ৮১টি ব্যবসা প্রকল্প নিবন্ধনের মাধ্যমে ১ হাজার ২৮৮ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছিল। ২০২৩ সালে আরো কমে ব্যবসার ৯৯৮টি প্রকল্পে ৮৯৭ কোটি ৮৫ লাখ ডলার হয়। আর ২০২৪ সালে ব্যবসার ৭৪২টি প্রকল্পে এক হাজার ১৬৩ কোটি ডলার বিনিয়োগ নিবন্ধন হলেও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকেই ২৫৪ প্রকল্পে ৬৬৬ কোটি ৮০ লাখ ডলার হয়। রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকার পরিবর্তনকালীন জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে তা কমে ১৮৬ প্রকল্পে মাত্র ১৮৬ কোটি ৭১ লাখ ডলার হয়েছে।
আর দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাস জুলাই-নভেম্বরে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র বা এলসি খোলা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ শতাংশ কমেছে। একইভাবে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে প্রায় ২২ শতাংশ। এটি দেশে নতুন বিনিয়োগ কমার ‘উল্লেখযোগ্য লক্ষণ’ বলেই মনে করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিনিয়োগ কমার পেছনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পরিস্থিতিও দায়ী। রিজার্ভের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে বিদেশি বিনিয়োগ। রিজার্ভ যেমন কমছে, বিদেশি বিনিয়োগও কমছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশে নেট বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে নেট বিদেশি বিনিয়োগ হয়েছে ১৪৭ কোটি ডলার, এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছর শেষে যা ছিল ১৬১ কোটি ডলার। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলার।
বিনিয়োগ সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে গ্রহণ করা উদ্যোগগুলো এখনো কোনও কার্যকারিতা দেখাতে পারেনি। উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক রূপান্তরে সরাসরি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)। আশির দশক-পরবর্তী সময়ে ভিয়েতনাম, চীন, মেক্সিকো ও ভারতের মতো দেশগুলোর অর্থনৈতিক সম্প্রসারণে অবদান রেখেছে এফডিআই। বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং খাতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ স্থিতিশীল রাখার ক্ষেত্রে প্রভাবক হিসেবে কাজ করে এফডিআই।
তারা মনে করেন, অতি দ্রুত বিদেশে ব্যয়বহুল বিনিয়োগ সম্মেলন আর বাণিজ্য মেলা থেকে সরে এসে প্রচলিত নীতিমালাগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে, শিক্ষার মান বাড়াতে হবে, নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোকে লাইসেন্স-নির্ভর মনোভাব থেকে বেরিয়ে ব্যবসাবান্ধব করাসহ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, বিনিময় হার, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, ব্যাংক ব্যবস্থা, বন্দরের সক্ষমতা, অভ্যন্তরীণ বাজার ও বৈদেশিক বাণিজ্য পরিস্থিতি নাজুক থাকলে বিনিয়োগ বাড়বে না। দেশের রাজনৈতিক ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিসহ বিনিয়োগ অনুকূল পরিবেশ দেখেই আসবেন উদ্যোক্তারা। আর বিদেশি বিনিয়োগ আসার বিষয়টি শ্রম সংস্কার, প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাকে স্থিতিশীলতা ইত্যাদি সামগ্রিক পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
আইএফসির বিভিন্ন প্রতিবেদনে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যে প্রতিবন্ধকতাগুলো চিহ্নিত করেছে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। পাশাপাশি ট্যাক্স, শুল্কছাড় ও মুনাফার প্রত্যাবাসন অন্যতম। এ ছাড়া দক্ষ জনশক্তির অভাব, অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও জমির দুষ্প্রাপ্যতাকেও প্রতিবন্ধকতা বলে মনে করে আইএফসি।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা বলছেন, গত কয়েক বছর ধরেই অর্থনীতিতে নানা রকমের সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তাতে অনেকগুলো কারণেই কমেছে বিদেশি বিনিয়োগ। এর মধ্যে ডলার সংকট, টাকার দরপতন, বিদেশিরা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাবে কিনা সেই উদ্বেগ উৎকণ্ঠার বিষয়গুলোও উল্লেখযোগ্য।
সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও রাজনৈতিক অস্থিরতা কমানো গেলে বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বৃদ্ধি সম্ভব। বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রধান উপাদান হলো সস্তা শ্রম। কিন্তু শুধু সস্তা শ্রম দিয়ে খুব বেশি বিনিয়োগ আনা যাবে না, এমনকি যাচ্ছেও না। সে জন্য তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে প্রশিক্ষিত জনবল তৈরিতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানো প্রয়োজন। একই সঙ্গে শিল্পকারখানা স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় জমি, উন্নত অবকাঠামো ও যোগাযোগব্যবস্থা উন্নত করতে হবে। সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে, যেসব শিল্প বৃহৎ পুঁজি আকর্ষণ করে। বৃহৎ পুঁজি ও বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠান অধিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের মতো জনবহুল দেশে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সংশ্লিষ্টরা আরও মনে করেন, মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক উন্নয়নের মূলে ছিল ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিকস শিল্পে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অন্যান্য দেশের বিনিয়োগ। জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো মালয়েশিয়ায় প্রচুর বিনিয়োগ করেছে। ১৯৯১-৯৯ সাল পর্যন্ত বেশির ভাগ সময় মালয়েশিয়ার ইলেকট্রনিকস শিল্পের মোট বিনিয়োগের ৮০ শতাংশের বেশি ছিল বৈদেশিক বিনিয়োগ।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিটি ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন রশীদ বলেছেন, দেশে-বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগানো বা ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতায় আমার মনে হয়েছে, বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা পত্রপত্রিকা পড়ে নয়, বরং ইতিমধ্যে ব্যবসা করছেন এমন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অভিজ্ঞতাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন। বিনিয়োগে লাভের সম্ভাবনা, আর্থিক খাতের গভীরতা আর ব্যাংকঋণ পাওয়ার সহজলভ্যতা, দক্ষ শ্রমিক বা ব্যবস্থাপক পাওয়ার সুবিধা, যাতায়াত বা পরিবহন অবকাঠামো, মুনাফা বাইরে নিয়ে যাওয়ার সুবিধা, প্রচলিত আইনি কাঠামো আর দুষ্ট প্রভাবমুক্ত বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা এবং দুর্নীতির প্রকোপ থেকে দূরে থাকতে পারার সুযোগ, সেই সঙ্গে ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতা ও ভোক্তা ব্যয়ের রকমফেরও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিবেচ্য হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বৈচিত্র্য আনতে এবং কর্মসংস্থান প্রসারে নতুন নতুন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাবকের ভূমিকা পালন করে বিনিয়োগ তথা বিদেশি বিনিয়োগ। কোনও দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ আসার অর্থ হচ্ছে তাদের উদ্যোক্তাবান্ধব পরিবেশ আছে এবং সেখানে ব্যবসা লাভজনক। কিন্তু বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য সফলতা নেই বলে মনে করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন জানিয়েছেন, দেশি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর অংশ হিসেবে হিটম্যাপ নামে একটা পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে বিডা। এতে ২০টি প্রতিষ্ঠানের মতামত নেওয়া হয়েছে। এর ভিত্তিতে ১৯টি অগ্রাধিকার খাত নির্বাচন করা হয়েছে। হিটম্যাপ অনুযায়ী এসব খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এছাড়াও আগামী ৭-১০ এপ্রিল বিনিয়োগ সম্মেলনেরও আয়োজন করা হয়েছে। এর বাইরে আপাতত পাঁচটি ইজেডকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। কারণ ১০০ ই-জেডে বিনিয়োগের অফার করার সক্ষমতা আছে কিনা তা দেখতে হবে। এ জন্য অধিগ্রহণ করা জমি ফেলে না রেখে অব্যবহৃত সেই জমিতে সোলার পার্ক করার চিন্তাভাবনা চলছে।
এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট এ কে আজাদ বলেন, গ্যাস সরবরাহে সিস্টেম লসের নামে ১০ শতাংশ চুরি বন্ধ করা গেলে নতুন করে গ্যাসের দর বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারই পারে এই চুরি বন্ধ করতে। কারণ তাদের ভোটের প্রয়োজন নেই।
নতুন করে গ্যাসের দর বৃদ্ধি ও ভ্যাট-ট্যাক্স বাড়ানোর সমালোচনা করে এ কে আজাদ বলেন, সরকার যে নীতি নিচ্ছে, এগুলো বাস্তবায়িত হলে আমরা কোথায় যাবো? গ্যাস এবং ভ্যাট বৃদ্ধির আগে অর্থনীতি এবং জনজীবনে এর কী প্রভাব পড়বে তা খতিয়ে দেখা হয়নি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এ নিয়ে কোনও আলোচনাও করা হয়নি। এসবই নতুন বিনিয়োগের অন্তরায়।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক প্রেসিডেন্ট আবুল কাশেম খান বলেন, নীতির ধারাবাহিকতার অভাব বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রধান প্রতিবন্ধকতা। এসআরও জারি করে সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীর সুবিধার জন্য ঘনঘন নীতির পরিবর্তন করা হয়। নীতি গ্রহণে বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করা হয় না। দুর্নীতির কারণে সব খাত নষ্ট হয়ে গেছে। এসব ভেঙে দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্থার করতে হবে। যাতে টেকসই বিনিয়োগ পরিবেশ তৈরি হয়।
লাফার্স হোলসিম বাংলাদেশের সিইও মোহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী বলেন, ‘নতুন বিনিয়োগ আনতে দেশের বাইরে গিয়ে রোড শো করা হয়েছে। অথচ দেশের বিদ্যমান বিনিয়োগের পরিস্থিতি বোঝা দরকার ছিল। তাদের চ্যালেঞ্জগুলো শনাক্ত করার দরকার ছিল। বিনিয়োগকারীদের সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেই। অথচ এই বিনিয়োগকারীরাই বৈদেশিক বিনিয়োগে দেশের পক্ষে কাজ করবে।’