Image description
 

‘কিউআরএফ সদস্যের গায়ে হাত দিয়ে অপরাধ করেছি। সে অপরাধের শাস্তি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে যে মারা হয়েছে, তার বিচার পাইনি।’কথাগুলো সম্প্রতি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের হাতে মারধরের শিকার মোহাম্মদ সাঈদ উদ্দিনের।কারণে হোক বা অকারণে কোনো অবস্থায় একজন নাগরিক আরেকজনের গায়ে হাত তুলতে পারেন না। কিন্তু তার তোয়াক্কা করছেন না শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যরা। বিমানবন্দরটিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদস্যদের কাছে প্রায়ই লাঞ্ছিত হচ্ছেন প্রবাসী যাত্রীরা।

২০২৪ সালের মার্চে শাহজালাল বিমানবন্দরে এক সৌদি আরব প্রবাসীকে মারধর করেন আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সদস্যরা। সর্বশেষ গত ৮ জানুয়ারি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নরওয়ে প্রবাসী সাঈদ উদ্দিনের নাক-মুখ ফাটিয়ে রক্তাক্ত করেন বিমানবন্দরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিমানবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্সের (কিউআরএফ) আনসার সদস্যরা।

 
 

যদিও কয়েক মাস আগে প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ সম্বোধন করতে শাহজালাল বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া। এ নির্দেশনার তিন মাসের মাথায় বিমানবন্দরে এমন ঘটনা ঘটলো। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে বেবিচক। ঘটনার সুষ্ঠু বিচারে তদন্ত কমিটি করেছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। তবে তদন্ত প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করা হয়নি।এদিকে নরওয়ে প্রবাসীকে লাঞ্ছিত করাসহ বিমানবন্দরে অনিয়ম বন্ধে গত ১২ জানুয়ারি বেবিচকসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। তিনদিনের মধ্যে তাদের নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

 

ভিডিওতে দেখা যায়, কিউআরএফ ও আনসারের ১০ জনের মতো সদস্য চারদিক থেকে ঘিরে ধরে সাঈদ উদ্দিনকে মারধর করছেন। এ সময় একজন নারী চিৎকার করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। হট্টগোলের মধ্যে রক্তাক্ত সাঈদকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়, ‘কী করেছে, কী করেছে রে...’।

যেভাবে ঘটনার সূত্রপাত

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, গত ৮ জানুয়ারি নরওয়ে থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন ফেনীর সোনাগাজীর সাঈদ উদ্দিন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার বাবা গিয়াস উদ্দিন, মা বেগম মনোয়ারা, ছোট ভাই মোহাম্মদ মহি উদ্দিন ও ভাইয়ের স্ত্রী ইপসা জান্নাতুল নাঈম। এরই মধ্যে লাগেজ নিয়ে গিয়াস উদ্দিন আগমনী ক্যানোপি-২ এর সামনে দাঁড়ান এবং পরিবারের লোকদের খুঁজতে থাকেন। এ সময় বিমানবাহিনীর কুইক রেসপন্স ফোর্সের (কিউআরএফ) এক সদস্য তাদের দ্রুত ক্যানোপি ফটকের সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। এ নিয়ে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান তারা। একপর্যায়ে সাঈদ উদ্দিন এগিয়ে আসেন। তখন তাদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। কিউআরএফ ও আনসারের কয়েকজন সদস্য সাঈদ উদ্দিনকে মেরে রক্তাক্ত করেন।

‘অপরাধের শাস্তি পেয়েছি কিন্তু আমাকে মারার বিচার পাইনি’

পরে সাঈদ উদ্দিনের পরিবারের সবাইকে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষে নিয়ে যান কিউআরএফের সদস্যরা। তাদের দীর্ঘক্ষণ বসিয়ে রেখে ১৯৮০ সালের দণ্ডবিধির ১৮৯ ধারায় সাঈদ উদ্দিনকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. ফারুক সুফিয়ান। এই ধারায় সরকারি কর্মচারীকে হুমকি কিংবা তার কর্তব্য পালনে বাধা সৃষ্টির অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুই বছরের জেল বা জরিমানা কিংবা উভয়দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারেন।

অথচ মারধরের ঘটনার একটি ভিডিওতে দেখা যায়, কিউআরএফ ও আনসারের ১০ জনের মতো সদস্য চারদিক থেকে ঘিরে ধরে সাঈদ উদ্দিনকে মারধর করছেন। এ সময় একজন নারী চিৎকার করে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন। হট্টগোলের মধ্যে রক্তাক্ত সাঈদকে জড়িয়ে ধরে বলতে শোনা যায়, ‘কী করেছে, কী করেছে রে...’।

অন্য একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মারধরে সাঈদের মুখমণ্ডল রক্তাক্ত হয়েছে। মুখের নিচে ও বাঁ চোখের পাশে রক্ত লেগে আছে।

‘কিউআরএফের এক সদস্য ধমক দিয়ে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে ধাক্কা দেন। এটা দেখে বড় ছেলে সাঈদ উদ্দিন কিউআরএফ সদস্যকে ধাক্কা দেন। তখন অন্যান্য কিউআরএফ ও আনসার সদস্য আমার ছেলেকে মারধর করেন।’- সাঈদ উদ্দিনের বাবা গিয়াস উদ্দিন

বাবাকে ধাক্কা দেওয়ার পর ধাক্কা দেন সাঈদ

সাঈদ উদ্দিনের বাবা গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি হয়েছে। আমি যখন ক্যানোপি-২ দিয়ে বের হই, তখন ছোট ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। এজন্য ক্যানোপি ফটক থেকে পাঁচ-ছয় ফুট দূরে দাঁড়াই। কিন্তু কিউআরএফের এক সদস্য ধমক দিয়ে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে ধাক্কা দেন। এটা দেখে বড় ছেলে সাঈদ উদ্দিন কিউআরএফ সদস্যকে ধাক্কা দেন। তখন অন্যান্য কিউআরএফ ও আনসার সদস্য আমার ছেলেকে মারধর করেন।’

‘অপরাধের শাস্তি পেয়েছি কিন্তু আমাকে মারার বিচার পাইনি’

‘মারধরের পর তারা আমাদের সবাইকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষে নিয়ে যান। প্রায় সাত ঘণ্টা সেখানে আমাদের বসিয়ে হয়রানি করেন। পরে আমার ছেলেকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও ভাইরাল হলে আমাদের কল দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন বেবিচক চেয়ারম্যান। এখন মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব কি না, সে সিদ্ধান্ত নেব।’

গিয়াস উদ্দিন বলেন, ‘আমার ছেলে যদি ওই দিন অন্যায় করে থাকে, আইন অনুযায়ী তার বিচার হবে। কিন্তু তাকে কেন মারা হলো? আবার যারা মেরেছে, এখনো তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’

বিচার সন্তোষজনক না হলে নরওয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের বিচার একপাক্ষিক হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সাঈদ উদ্দিন। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘কিউআরএফ সদস্যের গায়ে হাত দিয়ে আমি অপরাধ করেছি। সে অপরাধের শাস্তি পেয়েছি। কিন্তু আমাকে যে মারা হয়েছে, তার বিচার পাইনি। পাশাপাশি যে ম্যাজিস্ট্রেট আমার বিচার করেছেন, তিনি শুধুই একপাক্ষিক বিচার করেছেন। মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কাছে এসব ঘটনা বলেছি। দেখি মন্ত্রণালয় কী প্রতিবেদন দেয় আর কী বিচার করে। তাদের বিচার সন্তোষজনক না হলে আমরা নরওয়ে সরকারের কাছে অভিযোগ করবো।’

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বিমানবন্দরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারুক সুফিয়ানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।তবে বিমানবন্দর সূত্র জানিয়েছে, ওই বিচারের আদেশে বলা হয়েছে, সাঈদ উদ্দিন বিমানবন্দরে দায়িত্বরত সদস্যদের গায়ে হাত দিয়েছেন, এজন্য তাকে জরিমানা করা হয়েছে। আর তাকে যারা মেরেছেন, সেটা ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধের বিচারের জন্য সাঈদ উদ্দিনকে থানায় মামলা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এখানে ম্যাজিস্ট্রেট কোনো পক্ষ নেননি।

‘সবাইকে যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে বলেছি। কোনো যাত্রী অপরাধ করলে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যেতে বলেছি। কোনো ক্রমেই যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না।’- বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া

ভালো ব্যবহার করতে নির্দেশনা

গত ১১ জানুয়ারি বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি যাত্রী, বিমানবন্দরে কর্তব্যরত এভিয়েশন সিকিউরিটি (এভসেক), ইমিগ্রেশন, এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন, বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ, সদ্য উদ্বোধন করা প্রবাসী লাউঞ্জের কর্মী, সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। বিমানবন্দরের বিদ্যমান যাত্রীসেবা আরও বেগবান করতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেন।

বেবিচকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দাবি, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর পরিবর্তনের ছোঁয়া লেগেছে শাহজালাল বিমানবন্দরে। সেবার মানে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ কমেছে। দ্রুত লাগেজ পাওয়া, প্রবাসীদের জন্য লাউঞ্জ স্থাপন, ফ্রি ফোন কল, ওয়াই-ফাইয়ের ব্যবস্থায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। যাত্রীসেবার এ ধারা অব্যাহত থাকবে। ভবিষ্যতে যাতে কোনো যাত্রী অসন্তুষ্টির ঘটনা না ঘটে, এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন তারা।

জানতে চাইলে বেবিচক চেয়ারম্যান মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, ‘ওই দিন নরওয়ে প্রবাসীকে স্যার বলেই সম্বোধন করেছিলেন বিমানবন্দরে দায়িত্ব থাকা কর্মীরা। কিন্তু তিনি (সাঈদ উদ্দিন) বিমানবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছেন। মেরে ফ্লোরে ফেলে দিয়েছেন। এই ঘটনায় মন্ত্রণালয় তদন্ত করেছে। এরই মধ্যে গঠিত কমিটি মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এখন এটি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে পাঠানো হবে।’

মঞ্জুর কবীর ভূঁইয়া বলেন, বিমানবাহিনীর যে দুজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাদের বাহিনীতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিমানবাহিনীর সদস্যদের দায় থাকলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘ওই ঘটনার আগে ও পরে বহুবার নিজে বিমানবন্দর পরিদর্শন করেছি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে যাত্রীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতে বলেছি। কোনো যাত্রী অপরাধ করলে তাকে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিয়ে যেতে বলেছি। কোনো ক্রমেই যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করা যাবে না। ভবিষ্যতে যাত্রী সেবার মান আরও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।’ যোগ করেন বেবিচক চেয়ারম্যান।

সৌদি প্রবাসীর ওপর হামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি

২০২৪ সালের ২৪ মার্চ শাহজালাল বিমানবন্দরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কালিকাপুরের সৌদি প্রবাসী জাহিদ হাসানের ওপর হামলা করেছিলেন এপিবিএন সদস্যরা।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ওই ঘটনায় জড়িত এপিবিএন সদস্যদের চিহ্নিত করে এবং তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন করেছিল বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পরে তাদের বিরুদ্ধে আর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে জানা গেছে।

‘নরওয়ে প্রবাসী অপরাধ করলে তার বিচার হবে। কিন্তু এজন্য তো তাকে মারধর করা যাবে না। বিমানবাহিনীর সদস্যরা সে কাজটাই করেছেন। তাদের বিমানবন্দরে যাত্রীনিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে। তারা আমাদের রক্ষক। তারা কোনো অবস্থায় কোনো যাত্রী বা প্রবাসীর গায়ে হাতে তুলতে পারেন না।’- আইনজীবী মুহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া

বেবিচককে লিগ্যাল নোটিশ

গত ১২ জানুয়ারি বেবিচকসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মুহাম্মদ ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। এই নোটিশে বিমানবন্দরে নিরাপত্তা বাড়াতে এপিবিএনকে পূর্ণ দায়িত্বে বহাল, স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধ, বিমানবাহিনীর সদস্যদের সরিয়ে নেওয়া, প্রবাসীদের সম্মান জানানো ও নরওয়ে প্রবাসীকে মারধরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।

জানতে চাইলে ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বিমানবন্দরে নরওয়ে প্রবাসী রেমিট্যান্সযোদ্ধাকে মারধরের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। লিগ্যাল নোটিশে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।তিনি বলেন, নরওয়ে প্রবাসী অপরাধ করলে তার বিচার হবে। কিন্তু এজন্য তো তাকে মারধর করা যাবে না। বিমানবাহিনীর সদস্যরা সে কাজটাই করেছেন। তাদের বিমানবন্দরে যাত্রী নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে। তারা আমাদের রক্ষক। তারা কোনো অবস্থায় কোনো যাত্রী বা প্রবাসীর গায়ে হাতে তুলতে পারেন না।