Image description

ফ্রান্স তার সিরিয়ায় আটক থাকা নাগরিকদের দেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছে। ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মনে করে, অপরাধ যেখানে সংঘটিত হয়েছে, বিচারও সেখানেই হওয়া উচিত।প্যারিসে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ লেমোইন জানান, সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে আটক থাকা ফরাসি নাগরিকদের স্থানীয়ভাবে বিচার করা উচিত। তিনি বলেন, এই নাগরিকরা নিজেদের ইচ্ছায় সিরিয়ায় গিয়ে আইএসআইএসের পক্ষে লড়াই করেছে। ফলে তাদের অপরাধের বিচার ঘটনাস্থলেই হওয়া উচিত।

ক্রিস্টোফার লেমোইন বলেন, ফ্রান্স শিশুদের বিষয়ে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি রাখে। যারা পরিবারের সঙ্গে সিরিয়ায় গিয়েছিল, তারা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী নয়। ২০১৯ সাল থেকে ফ্রান্স শিশুদের দেশে ফিরিয়ে আনছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, পিকেকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত। তবে পিকেকে এবং অন্যান্য শান্তিপূর্ণ কুর্দি আন্দোলনের মধ্যে পার্থক্য আছে।

তুরস্কের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লেমোইন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। এদিকে, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান ফ্রান্সের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে বলেছেন, তাদের নাগরিকদের দেশে বিচার না করা দায়িত্ব এড়ানোর প্রমাণ।ফ্রান্সের এই নীতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ধরনের সিদ্ধান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় জটিলতা বাড়াতে পারে।

তথ্যসূত্র : আনাদোলু এজেন্সি