
ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের শিক্ষার্থী ইসমাইল হোসেন জিসান হত্যার মামলায় মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী শ্রাবন ওরফে শাওনকে ঢাকা হতে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) র্যাব-১১–এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. নাঈম উল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি (রবিবার) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফারজানা ইয়াসমিন মামলায় অভিযুক্ত হাসিবুল হোসেন ওরফে হাসিব, শ্রাবণ ওরফে শাওন ও আব্দুল্লাহ আল নোমানকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। এছাড়াও রায়ে সজনী আক্তার নামের এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের মধ্যে তখন পলাতক ছিলেন শাওন। শাওন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চর গোবরার ওবায়দুল্লাহ মোল্লার ছেলে। আদালত তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। অপর দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি শরীফুল ইসলাম লিটন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন জিসান পড়াশোনার পাশাপাশি বাইক শেয়ারিংয়ের (পাঠাও) কাজ করতেন। ২০১৯ সালের ১২ মে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শেরেবাংলা নগর থানাধীন শ্যামলীর সামনের রাস্তা থেকে নিখোঁজ হন। এ ঘটনায় তাঁর বাবা সাব্বির হোসেন সহিদ গাজীপুরের গাছা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পরে শেরেবাংলা নগর থানায়ও জিডি করেন। ২৩ মে গাছা থানাধীন মধ্য কামার জুড়ির হাসিবুল হোসেনের বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে জিসানের হাত-পা বাঁধা অবস্থায় গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় সাব্বির হোসেন সহিদ ২৩ মে শেরেবাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই সুজানুর ইসলাম।
২০২২ সালের ৩০ মার্চ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। আদালত ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।