Image description

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু মারা গেছেন। শনিবার রাতের কোনো এক সময় ছোট ভাই পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের ঢাকার বাড়িতে চুয়াডাঙ্গার জনপ্রিয় এই নেতা মারা যান।

 

শনিবার রাত থেকে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় রিসিভ করেননি, রোববার সকালে দরজা ভেঙে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। সকালে এ খবর চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছলে জেলাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।

বিএনপি নেতা শিপলু ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। তিনি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা কোর্টপাড়ার প্রয়াত মির্জা আবদুল হক ও মির্জা আমেনা হকের বড় ছেলে এবং নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদের বড় ভাই।

সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গায় তার দাফন সম্পন্ন হবে। তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মির্জা ফরিদুল ইসলাম শিপলু (৫০) বছরখানেক আগে হার্টে রিং স্থাপন করেন। গত দুই দিন আগে চেকআপের জন্য তিনি ঢাকায় গিয়েছিলেন। শনিবার রাতে ঢাকার ধানমন্ডিতে সোবহানবাগ এলাকায় ছোটভাই মির্জা সায়েম মাহমুদের বাড়িতে একাই ছিলেন। ওই রাত ১২টার পর থেকে তার মোবাইল রিসিভ হচ্ছিল না। রোববার সকালে দরজা ভেঙে দেখা যায় মৃত অবস্থায় বিছানায় পড়ে আছেন তিনি।

শিপলুর স্ত্রী শিমু খাতুন জানান, তাদের ধারণা রাতে ঘুমের মধ্যে আকস্মিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শিপলু মারা গেছেন।

শিপলুর ছোট ভাই নেত্রকোনা জেলার পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বিপুল জানান, সোমবার সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গায় তার জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ যুগান্তরকে বলেন, বিএনপি দলের একজন নিবেদিত মানুষকে হারাল। জনপ্রিয় এই নেতার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা বিএনপির অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমরা তার আকস্মিক ও অকাল মৃত্যুতে শোকাহত।