মুহাম্মদ ইশরাক (Mohammad Ishrak)·
জাহাঙ্গীরনগরে পড়ার সময় নিশাত আবদুল্লাহকে চিনতাম আওয়ামী লীগ বিরোধী হিসাবে। হলে থেকেও আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে লেখালেখি করত।
পরে একদিন জানলাম যে ছাত্রলীগের হাতে নির্যাতিতও হয়েছে।
ফ্যাসিবাদের আমলে ও জানত যে আমি একসময় শিবিরের সাথে যুক্ত ছিলাম। তখন শিবিরের আদারাইজেশনের বিপক্ষে ওর অবস্থান ছিল।
অথচ ৫ই আগস্টের পর থেকে সবাই ফাহাম আব্দুস সালাম হয়ে গেল- গতকাল জাহাঙ্গীরনগরে ও ছাত্রদলের কমিটিকে শিবির ট্যাগ দিয়ে আন্দোলন করেছে!
হ্যাঁ, আমি ওর মত সাহসি হয়ত ছিলাম না। জাহাঙ্গীরনগর থেকে পালিয়ে আসতে হয়েছে ছাত্রলীগের হুমকির কারণে। নিশাত ছাত্রদল করত বিধায় ওকে হত্যার বৈধতা ছিল না।
কিন্তু আমাকে শিবির সন্দেহে মারার কিছু ছিল না। আমি প্রমাণিত সাবেক শিবির। ফলে পালানো ছাড়া আর কোন রাস্তা ছিল না ও হলে থেকে প্রতিবাদ অব্যাহত রেখেছিল সেজন্য ওকে সাধুবাদও জানিয়েছি সবসময়।
কিন্তু সেদিনের সাহসিকতা কি কাউকে আজকে জালেম হয়ে ওঠার বৈধতা দেয়?
৫ই আগস্টের পর থেকে যেভাবে আশেপাশের মানুষজন নিজেদের এতদিনের অবস্থান থেকে ১৮০ ডিগ্রি উল্টা ঘুরে গেছে তা অবশ্যম্ভাবীই ছিল। বইপত্রে পড়েছি। কিন্তু এরপরও মানতে কষ্ট হচ্ছে।
স্বার্থ মানুষকে কিভাবে বদলে দেয়!