
চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থানার মহব্বত গলি পুরাতন কাস্টম এলাকা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন কয়েকজন কিশোর-তরুণ। হঠাৎ তিনটি মোটরসাইকেলে ১২ থেকে ১৫ জন এসে তাঁদের লক্ষ্য গুলি-ছুরিকাঘাত করে চলে যান। গতকাল বুধবার রাত একটার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।
এতে গুলিবিদ্ধ হয় মো. রিয়াদ (১৭)। ছুরিকাঘাতে আহত হন মো. সাইফুল (১৭), মো. আরমান (২২) ও নুর উদ্দিন (২৪)। তাঁরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ বলছে, পূর্ববিরোধের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এক মাদক ব্যবসায়ীকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী হাতে ধরিয়ে দেওয়াকে কেন্দ্র করে এ হামলা হতে পারে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, ৬টি মোটরসাইকেল করে ১২ থেকে ১৫ জন এসেছিলেন। প্রথমে দাঁড়িয়ে থাকা নুর উদ্দিনকে কোপানোর চেষ্টা করা হয়। পরে সাইফুলকে কোপানো হয় কিরিচ দিয়ে। আরমান ও নূর উদ্দিনের মধ্যে একজনকে হাতে ও অন্যজনকে মুখে কোপ দেওয়া হয়। এরপর ভয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় কিশোর রিয়াদকে গুলি করে। হামলায় নেতৃত্ব দেন স্থানীয় সন্ত্রাসী নাক্কা আলম।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর রাত আটটার দিকে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সেনাবাহিনীর টাস্কফোর্স-৪ (৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড) এর অধীনে পূর্ব মাদারবাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রামে পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর মাঝিকে গ্রেপ্তার করে। জাহাঙ্গীর মাঝি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারি। দীর্ঘদিন ধরে জাহাঙ্গীর মাঝি সদরঘাটসহ আশপাশের এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম, চাঁদাবাজি ও মাদক কারবারের সঙ্গে জড়িত।
নাক্কা আলম জাহাঙ্গীর মাঝির ভাই। পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাই মিলে ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা করে আসছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যা, মাদকের মামলা রয়েছে।
সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম প্রথম আলোকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীরকে গ্রেপ্তার করায় তাঁর সহযোগীরা সন্দেহ করছেন ধরিয়ে পেছনে আহত কিশোর-তরুণদের হাত রয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোটরসাইকেলে এসে গুলি ও হামলা চালান। এই ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।