Image description
 

দখিনের শান্ত জেলা ঝালকাঠি। চারদিকে নদীবেষ্টিত এ জেলার মানুষ বরাবরই শান্তিপ্রিয়। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা থাকলেও ২০০৯ সালের নির্বাচনের আগপর্যন্ত জেলায় মোটামুটিভাবে রাজনৈতিক সহাবস্থান ছিল। তবে ২০০৯ সালের সাজানো নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরই পাল্টে যায় জেলার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট। শুরু হয় প্রতিহিংসার রাজনীতি। একে পৃষ্ঠপোষকতা দেন ঝালকাঠি-২ আসনের এমপি আমির হোসেন আমু।

 
 

২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগপর্যন্ত ঝালকাঠি ছিল আমুর একচ্ছত্র শাসনে। যেখানে বিরোধীদল, প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছিলেন অসহায়। আমুর ক্যাডাররা শহরের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ও ইউনিয়নে জারি করে বর্গি শাসন। আমুর প্রধান সহযোগী হিসেবে পরিচিত চার ক্যাডারের নৃশংসতার কথা স্মরণ করে এখনো আঁতকে ওঠে শহরের মানুষ। গত ১৫ বছরে এ ফ্যাসিবাদী শাসনে বাকশালেরই প্রতিচ্ছবি দেখেছেন ঝালকাঠিবাসী। তবে ভয়ে মুখ খুলতে সাহস করেননি কেউ।

 

চার স্বজনকে গুম

আওয়ামী দুঃশাসনে তছনছ হয়ে গেছে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার একটি পরিবার। ২০১০ সালের ১৭ এপ্রিল গুম করা হয় উপজেলার সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি গ্রামের মিজানুর রহমান জোমাদ্দারকে। এরপর ২০১১ সালের ১০ আগস্ট গুম হয় তার ভাই মোরশেদ জোমাদ্দার। ২০১১ সালের ২৫ জুন গুম হয় মিজানের সম্বন্ধীর ছেলে সুমন সিকদার। ২০১১ সালের ২৬ জুলাই গুম করা হয় মিজানের শ্যালক মিজান সিকদারকে।

 

মিজান জোমাদ্দারের স্ত্রী মহিলা দল নেত্রী নাসিমা বেগম আমার দেশকে বলেন, এদের সবাইকে রাজাপুরের সাতুরিয়া ইউনিয়নের নৈকাঠি গ্রাম থেকে সাদা পোশাকের একদল ব্যক্তি ধরে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুম হওয়া সবাই যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী। মিজান জোমাদ্দার সাতুরিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি ছিলেন। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে রাজাপুর থানায় তিনটি মামলা হয়েছে। তবে তদন্তে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

নাসিমা বেগম জানান, তাদের পরিবারে প্রতি মাসেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ আমার দেশকে বলেন, সাতুরিয়ায় গুম হওয়া চারজনই আমাদের নেতাকর্মী। আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাদের গুম করেছিল। আমরা গুম হওয়া চারজনকে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি এবং এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

 

যেভাবে হত্যা করা হয় বিএনপি নেতা অনাদী দাসকে

২০১৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কারামুক্তি দিবস পালন উপলক্ষে ঝালকাঠি শহরের মিতু সিনেমা হলের সামনে কর্মসূচি ছিল বিএনপির। কর্মসূচি চলাকালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডাররা তৎকালীন শহর বিএনপির সভাপতি অনাদী দাসের ওপর হামলায় চালায়। তার ঘাড়ে জিআই পাইপ দিয়ে চারটি আঘাত করে যুবলীগের সন্ত্রাসীরা। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। এ সময় তার মোটরসাইকেলটিও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঝালকাঠি, পরে বরিশাল শেবাচিমে এবং অবশেষে ঢাকায় ভর্তি করা হয়। তবে তিনি আর কখনো সুস্থ হতে পারেননি। শেষে ভারতের চেন্নাইয়ে চিকিৎসার জন্য নিলেও তাকে আর বাঁচানো যায়নি। কয়েক বছর অসুস্থ থেকে ২০২০ সালে তিনি মারা যান। তার স্ত্রী কণিকা দাস আমার দেশকে বলেন, যুবলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হামলায় পাইপের আঘাতের কারণে তার মাথার শিরা শুকিয়ে গিয়েছিল। ফলে তাকে আর বাঁচানো সম্ভব হয়নি। সে সময় এ ঘটনার প্রতিকার চাওয়ার কোনো পরিবেশ ছিল না। এখন আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

 

গুমের শিকার শিবির নেতা ওয়ালিউল্লাহ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র ওয়ালিউল্লাহর বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া উপজেলার পশ্চিম শৌলজালিয়া গ্রামে। তিনি দাওয়াহ অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র এবং ছাত্রশিবিরের নেতা ছিলেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করতেন। ২০১২ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা থেকে কুষ্টিয়া যাওয়ার পথে সাভার নবীনগর এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয় তাকে। এ সময় ওয়ালিউল্লাহর সঙ্গে থাকা আরেক শিবির নেতা কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আল-মুকাদ্দাসকেও তুলে নেওয়া হয়। মুকাদ্দাসের বাড়ি পিরোজপুর জেলার খানা কুনিয়ারী গ্রামে। এখন পর্যন্ত হতভাগ্য দুই শিবির নেতার সন্ধান পাওয়া যায়নি। ছেলেকে হারিয়ে ওয়ালিউল্লাহর বৃদ্ধ বাবা-মা পাগলপ্রায়।

 

আমুর রাজ্যে সবাই ছিলেন অসহায়

১৫ বছর ফ্যাসিবাদী শাসনে সদর আসনের এমপি ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমুর একক আধিপত্যে সবাই ছিল অসহায়। জমি দখল, প্রতিটি টেন্ডার থেকে অন্তত ১০ পারসেন্ট ঘুস গ্রহণ, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে টাকার বিনিময় প্রার্থীর মনোনয়ন, টেন্ডার ও নিয়োগবাণিজ্য নিয়ন্ত্রণসহ নানা অভিযোগ রয়েছে আওয়ামী লীগের এ বিতর্কিত নেতার বিরুদ্ধে। আমুর বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ঝালকাঠি কালেক্টরেট স্কুলের জমি এবং নিজের বাবা-মায়ের নামে কলেজ করার জন্য শহরের বিশ্বরোডে নামমাত্র মূল্যে সাধারণ মানুষের জায়গা জোরপূর্বক দখলের অভিযোগও রয়েছে। আকলিমা-মোয়াজ্জেম হোসেন কলেজের জন্য ২০১২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে ছয় একর জমি নামমাত্র মূল্যে লিখে নেন।

 

ভুক্তভোগী ফজলুল হক হাওলাদার বলেন, আমুর কলেজের পাশে তার ৩৬ শতাংশ এবং তার জামাতার ৭৫ শতাংশ জমিতে তিনি হাওলাদার ফিলিং স্টেশন নামে একটি পেট্রোল পাম্পের কাজ শুরু করেছিলেন। এ কাজে তিনি ৩৬ লাখ টাকা খরচও করেন। কিন্তু তার এ জমিতে চোখ পড়ে আমুর। আমু জমি লিখে দিতে তাকে চাপ দেন। তিনি রাজি না হলে আমু তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে হুমকি দেন। পরে বরিশাল বগুড়া রোডের বাসায় ডেকে ফজলুল হককে নামমাত্র মূল্যে আমু জমি লিখে দিতে বাধ্য করেন।

 

খলিলুর রহমান নামে আরেকজন জমির মালিক জানান, কলেজের পাশে তিনি ছয় শতাংশ জমি কিনে একটি টিনশেড ঘর তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। কিন্তু আমু মাত্র আট লাখ টাকা দিয়ে আমার জমি লিখে দিতে বাধ্য করেন।

 

শুধু জমি দখলই নয়, আমুর ছত্রছায়ায় তার ক্যাডাররা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ও ইউনিয়নে বর্গি শাসন চালু করে। বিশেষ করে ঝালকাঠি পৌরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডে বালু ফেলা, নতুন ভবনের প্ল্যান পাস, নতুন হোল্ডিং নম্বর বসানোসহ নতুন কোনো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান করলেও আমুর অনুসারীদের চাঁদা দেওয়া বাধ্যতামূলক ছিল।

ঝালকাঠিতে আমুর এসব অপকর্মের প্রধান সহযোগী ছিল চারজন—সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আল মাহমুদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন সুরুজ, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রেজাউল করিম জাকির ও যুগ্ম আহ্বায়ক কামাল শরীফ। এছাড়াও তার ভায়রা ফখরুল মজিদ কিরণও ছিলেন এসব অপকর্মের অন্যতম সহযোগী।

 

৯৩ গায়েবি মামলা

১৫ বছরে ফ্যাসিবাদী সরকার বিরোধীদলীয় বিভিন্ন কর্মসূচি কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের নামে ৯৩টি গায়েবি মামলা দিয়েছে। এর মধ্যে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ৫০টি এবং জামায়াতের নেতাকর্মীদের নামে ৪৩টি মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলায় দল দুটির প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। ১৫ বছরে এসব মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীরা বহুবার কারাবরণ করেন। এছাড়া গত ১৫ বছরে তিনবার আগুন দেওয়াসহ বিএনপি অফিস ভাঙচুর করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।

 

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও ঝালকাঠি-২ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী মাহবুবুল হক নান্নুর বিরুদ্ধে দেওয়া হয় শতাধিক গায়েবি মামলা। নান্নু আমার দেশকে বলেন, হাসিনার শাসনামলে শতাধিক মামলায় আমি পাঁচ বছর ছয় মাসের বেশি সময় কারাগারে ছিলাম। আমাকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি রফিক হাওলাদারের বিরুদ্ধে দেওয়া হয় অর্ধশতাধিক গায়েবি মামলা। রফিক হাওলাদার আমার দেশকে বলেন, ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকার আমার নামে ৫০টির বেশি মিথ্যা মামলা দিয়েছে। এসব মামলায় আমি ছয়বার জেলে গিয়েছি। ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য ব্যারিস্টার এমজি জাকারিয়া আমার দেশকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ৪৫টি মামলা দিয়েছিল। এসব মামলায় আমি বহুবার জেলে গিয়েছি।

 

রক্তাক্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা জামাল

বিএনপির কেন্দ্রীয় ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম জামালের ওপর হামলা করে ছাত্রলীগ-যুবলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। ২০২২ সালের ৭ আগস্ট কেন্দ্রীয় কর্মসূচি পালন শেষে ঢাকায় ফেরার পথে শিল্পকলা একাডেমির সামনে হামলা চালালে তার সাদা পাঞ্জাবি রক্তে লাল হয়ে যায়। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর ঝালকাঠি থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

 

১২ বছর নির্বাসনে সেলিম রেজা

প্রবাসে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা রাখায় ১২ বছর দেশে নিজ বাড়িতে আসতে পারেননি নিউ ইয়র্ক দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা। তিনি আমার দেশকে বলেন, ২০২৩ সালের ১ মে ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে শেখ হাসিনার আগমনের প্রতিবাদে বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে আমি নেতৃত্ব দিয়ে শেখ হাসিনার রোষানলে পড়ি। এ কারণে ২০২৩ সালের মে মাসে ঢাকায় ও গ্রামের বাড়িতে আমার স্বজনদের ডিবি পুলিশ পাঠিয়ে হুমকি-ধামকি দেওয়া হয়। গুম হয়ে যাওয়ার ভয়ে আমি ১২ বছর দেশে আসতে পারিনি। এমনকি মায়ের মৃত্যুর পর দেশে গিয়ে জানাজায়ও অংশ নিতে পারিনি।

 

জুলাই বিপ্লবে ১০ শহীদ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ঝালকাঠি জেলায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে ১০ জন শাহাদাতবরণ করেন। এর সবাই ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। জেলার রাজাপুরের মনির হোসেন ভাটারা থানা এলাকায়, কাঠালিয়ার সুজন কেরানীগঞ্জের কদমতলী এলাকায়, সদর উপজেলার হৃদয় হাওলাদার মিরপুর-১০ এলাকায়, নলছিটির সেলিম তালুকদার রামপুরা বিটিভি ভবনের সামনে, সদর উপজেলার কামাল হোসেন শাহজাহানপুরে, রাজাপুরের রুবেল হোসেন আশুলিয়ায়, কাঠালিয়ার রাকিব হাওলাদার চানখাঁরপুলে, সদর উপজেলার সাইফুল ইসলাম উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টর এলাকায়, নলছিটির নাঈম যাত্রাবাড়ী এলাকায় এবং সদর উপজেলার মিজানুর রহমান ঢাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদাতবরণ করেন। এছাড়া জুলাই বিপ্লবে ঝালকাঠি জেলায় মোট ৯০ জন আহত হয়।

 

নেতাদের প্রতিক্রিয়া

ঝালকাঠি জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সৈয়দ হোসেন আমার দেশকে বলেন, ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে আমরা অফিস খুলতে পারেনি। তিনবার আমাদের অফিসে আগুন দেওয়া হয়েছে। নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারেননি। গণঅভ্যুত্থানের আগের দিন ৪ আগস্টও আমার বাসায় হামলা করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। এসব সন্ত্রাসীর নামে মামলা হলেও পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করছে না। এ ব্যাপারে ঝালকাঠি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। সন্ত্রাসীরা দলবদ্ধ হয়ে যে কোনো নাশকতা ঘটাতে পারে, তাই আমি মামলার আসামি আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।

 

জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান আমার দেশকে বলেন, আওয়ামী দুঃশাসনে ঝালকাঠিতে বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। ১৫ বছর অফিস খুলতে পারিনি। জামায়াতের ১৫ জন নেতাকর্মীকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অনেক নেতাকর্মীকে দীর্ঘ সময় পালিয়ে থাকতে হয়েছে।

 

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখনো বিভিন্ন মামলার আসামি আওয়ামী ক্যাডাররা ঘুরে বেড়াচ্ছে, কিন্তু তাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। দুর্ধর্ষ ক্যাডাররা পার্শ্ববর্তী জেলা বরিশালে আস্তানা গেড়েছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার দাবি করছি।